আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি ঃ- মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় মা ও ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশলদিয়া গ্রামের পুর্নবাসন কেন্দ্রে গত রোববার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে আরাফাত মৃধা (১৯) ও পারভিন বেগম (৪০) নামক মা ও ছেলে গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে রোববার রাতে লৌহজং থানায় ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন জামাল মৃধা।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, রোববার বিকালে সাগর, রুবেল, জয়, শাকিল, বিশু ও আশিকসহ আর ৪/৫ জন যশলদিয়া পুর্নবাসন কেন্দ্রে আরাফাতকে অটোতে তুলে নিয়ে যায়। পরে অটোর মধ্যেই তাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষিসহ পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। এ সময় এলাকারবাসী ছুটে আসলে সন্ত্রাসীদল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় আরাফাতে মা ছেলেকে বাঁচাতে আসলে তাঁকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী তাদের দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এরপর রাতে আরাফাতের বাবা জামাল মৃধা লৌহজং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার বিবরণে জামাল মৃধা জানান, সালমা আক্তার (১৫) ছদ্মনাম এ মেয়ের সাথে আরাফাত আমার ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরে মেয়েটির বাবা আমাকে জানালে আমি তাদের সাথে ১৫ রোজায় বসি। এবং ছেলে ও মেয়ের বয়স কম হওয়ায় তাদের সিদ্ধান্ত হয় দুই বছর পরে ওদের বিবাহ দিবে। তবে এ দুই বছরে কেউ কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই ছেলে ও মেয়ে দুইজন সরাসরি কথা বলে। তাই মেয়ের ভাই আমার ছেলেকে তাদের দলবল নিয়ে মারধর করে। এ বিষয়ে লৌহজং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এসছিলো এবং আমাদের পুর্নবাসন কেন্দ্রের সভাপতি সজল খানসহ এলাকার গণ্যমাণ্যদের বিচারে বসার কথা ছিলো। তিনি আরও জানান, বিচার তো পেলামই না। তারপর গত রোববার আবারও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে। তখন সন্ত্রাসীদের হাতথেকে ছেলেকে বাঁচাতে গেলে আমার স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো আলমগীর হোসাইন জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জামাল মৃধা। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।