আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি ঃ :লৌহজং উপজেলা বালিগাঁও থেকে ঢাকা প্রায় ৫২ কিলোমিটার। যাত্রীদের ভাড়াও গুনতে হয় ৭০ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির পুরনো গাড়ি কিনে রঙ করে ঝকঝকে তকতকে বানিয়ে গাংচিল পরিবহন নামে দেয়া হয়। সড়ক পথে বিমানের ছোঁয়া তাদের পরিবহনে লিখে সড়ক দাপিয়ে বেড়ালেও যাত্রী সেবার বালাই নেই। অথচ এই রুটে মাসে কমপক্ষে কোটি টাকার বাণিজ্য করছে এই পরিবহন সংস্থাটি।
পদ্মার নয়নাভিরা সুন্দর সৌন্দর্য উপভোগ ,ব্যবসা,চাকুরী,পড়া-শোনা সহ নানা কারণে ঢাকা থেকে আসা-যাওয়া মুন্সিগঞ্জ জেলা লৌহজং যাতায়াত করে কিন্তু এই পরিবহন নিয়ে এই সড়কে চলাচল কারীদের অভিযোগের শেষ নেই।এক রকম বাধ্য হয়ে গাংচিল পরিবহনে যাতায়াত করতে হয়।বিকল্প না থাকায় গাংচিল পরিবহনের যন্ত্রণা নিয়ে যাত্রীদের আসা-যাওয়া করতে হয়। লৌহজং উপজেলা অন্য কোন বেসরকারী পরিবহনের না থাকায় গাংচিল পরিবহনের যাত্রীদের সেবার মান শূন্যের কোটায় পৌছেছে।
এছাড়া গাংচিল পরিবহনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।মূলত মুন্সিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ এই গাংচিল পরিবহনের মূল নিয়ন্ত্রক। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা প্রর্যন্ত ৩০থেকে ৪০ টি গাড়ি বালিগাঁও থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে বালিগাঁও চলাচল করে। প্রতিটি পরিবহন আসন সংখ্যা ৪১/৪২টি।যাত্রী সেন্টু, বাবুল,আওলাদ ব্যাপারী জানান প্রায় অনেক সময় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এই পরিবহন টি চলাচল করে এবং সামান্য মালামাল থাকলে আদায় করেন অতিরিক্ত ভাড়া।এক যাত্রী মো:রাজু জানান তিনি ঢাকা নয়াবাজার থেকে ইষ্টান ফ্যান নিয়ে গাংচিল পরিবহনে ওঠেলে পরিবহন শ্রমিক তার কাছে অতিরিক্ত ১০০ভাড়া দাবী করে তা না হলে গাংচিল তাকে যাত্রী হিসেবে নিবে না।
সে মোট ১৭০ টাকা ভাড়া দিয়ে মালিঅংক নামেন। আখলিমা জানান ভাই ঢাকা থেকে গাংচিল পরিবহনে আসলাম এখন কানে কিছুই শুনিনা পুরাতন ও খাটারা গাড়ি শব্দে কান আমার শেষ। ভোগান্তি চিত্র দেখা যায় বেপরোয়া রাস্তায় গাংচিল পরিবহন ঘোলতলী, উপজেলা হাসপাতাল রোড হাটভোগদিয়া, বালিগাঁও ব্যস্ত প্রধান সড়ক গুলো রাস্তার উপরে গাংচিল পরিবহন রাখা ভোগান্তি হাজার হাজার মানুষের,রাস্তার উপর বেপরোয়া ভাবে রাখার কারণে দিন দিন বেড়েই চলছে দূর্যটনা যানজট লেগেই আছে প্রতিদিন। জরুরী রোগীর এবং লাশবাহী পরিবহন বাদ যাচ্ছে না।প্রশাসনের ব্যাক্তিবর্গ অনেকেই এখান দিয়ে আসা যাওয়া কিন্তু তাদের নীরবতা শ্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহলের অনেকেই।
এই ব্যপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক বেজগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব মো:আমির হোসেন তালুকদার গাংচিল বেপরোয়া গাড়ি রাখার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা গাড়ি গুলো অতি দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছি”আমরা রাস্তায় গাড়ি রাখি খুব অল্প সময়ের জন্য। সাধারণ সম্পাদক সাহেব এসব কথাই বলে, কিন্তু গাড়ি সড়িয়ে নেয় না” দীর্ঘদিন গাড়ি রাস্তায় পরে থাকে।সাধারণ মানুষ তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ভয়ে কেউ কথাও বলে না।
দিন দিন বেড়েই চলছে যানযট ও দূর্টনা মানুষ কার কাছে গিয়ে বলবে এই প্রশ্ন থেকেই যায়।লৌহজং উপজেলা এলাকাবাসী প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ এ বিষয়ে দৃষ্টি দোওয়ার বিশেষ অনুরোধ করেছেন।