শিরোনাম

লৌহজংয়ে জুয়াড় আসর, উঠতি বয়সী তরুণরা বিপদগামী হচ্ছে!

আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি:
লৌহজংয়ের কনকসার ইউনিয়নস্থ ধীৎপুরের কলাবাগানে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে নেশাখোর জুয়াড়ীরা। ফরিদপুরের অনেক লোকজন এখানে বছর চুক্তিতে জায়গা ভাড়া নিয়ে নিয়মিত বসবাস করছে। তাদের আদরের উঠতি বয়সী ছেলেরা পেশায় টিনের ঘর তৈরির মিস্ত্রি হলেও জুয়াই তাদের প্রধান নেশা।

দূর দূরান্ত থেকেও ওদের জুয়াড়ী বন্ধুরা হিন্দু ধর্মালম্বী মুদি দোকানদার মিন্টু ও ল্যাংড়া মুদি দোকানদারের ভাড়া দেওয়া কেরাম বোর্ডে নিয়মিত জুয়া খেলতো। প্রায় প্রতিদিন জুয়াড়ীরা জুয়ার টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-ফ্যাসাদ ও মারামারি করে। সম্প্রতি ল্যাংড়ার দোকানে জুয়া খেলার সময় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়।

এতে দু’জন জুয়াড়ীর মাথা ফেটে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয় হাটভোগদিয়া সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর জুয়াড়ীদের অবস্থা আশংকাজনক হলে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। লৌহজং থানায় মামলা হলেও আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল ঢালী দিন ক্ষণ নির্ধারণ করে সমাজে শান্তি বজায় রাখতে উভয় পক্ষের জুয়াড়ীদের মীমাংসা করে দেন।

থানা থেকে মামলা ওঠে গেলেও থানা থেকে আর কেরাম জুয়া না খেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কতিপয় জুয়াড়ী এখনো ল্যাংড়ার দোকানের সম্মূখে টুলে বসে এনড্রুয়েড মোবাইলে লুডু খেলার মাধ্যমে জুয়া খেলছে। অধিকাংশ জুয়াড়ী বতর্মানে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা সহ বিভিন্ন নেশায় ওরা আসক্ত হয়ে পড়েছে।

কেউবা জুয়ার পাশাপাশি এখানে দেদারসে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা করছে বলে আভিযোগ পাওয়া গেছে। ওরা মানছেনা কারো বিধি নিষেধ। তারা এখন হয়ে ওঠেছে অপ্রতিরোধ্য। প্রকাশ্য দিবালোকে দলবদ্ধ হয়ে কলাবাগানস্থ আকাশ মনি গাছ বাগানে সকাল দুপুর ও গভীর রাত পযর্ন্ত পালাক্রমে নেশায় আসক্ত হয়ে তিন তাস, কল ব্রীজ ও টুয়েন্টি নাইনের জুয়া খেলছেই।

ওঠতি বয়সী তরুণরাও জুয়াড়ীদের সংস্পর্শে এসে বিপদগামী হচ্ছে। পুলিশের ভয় দেখিয়ে ওদের জুয়া খেলা বন্ধের নিষেধ করলে ” জেলখানায় আটকিয়ে শাস্তি দেওয়ার মতো লোক এই দুনিয়ায় এখনো পয়দা হয়নি ” বলে। কতিপয় জুয়াড়ী আকাশ মনি কাঠ গাছের বাগানে জুয়া খেলতে যাওয়ার সময় ক্যামেরায় দৃশ্য ধারন করা হয়।

দৈনিক ওলামা কন্ঠ’র রিপোর্টের’র বাড়ি জুয়া খেলার স্থানের নিকটবর্তী হওয়ায় মাঝে মধ্যে তিনি বিপাকে পড়েন। গভীর রাত অবধি ওদের অযথা চিৎকারে সন্তানদের লেখা -পড়া ও পরিবারের সবার ঘুমে বিঘ্ন ঘটে। প্রতিবাদ করাতে আমাদের ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধির গাছের বিভিন্ন ফল গভীর রাতে চুরি করে নিয়ে যায়। প্রায়ই ওরা ল্যাট্রিনে রক্ষিত বদনায় পানির সাথে মরিচের গুড়া মিশিয়ে দেয়। কখনো বা চুপিসারে বাহির থেকে দরজায় শিকল আটকিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে লৌহজং থানার অফিসার রাকিবুল হোসাইনকে অবগত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন :