আ স ম আবু তালেব, বিশেষ প্রতিনিধি: লৌহজংয়ে পীর নামে ভন্ডামী চলছে। ভারত উপ মহাদেশের অন্যতম দু’জন পীর খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) ও আলাউদ্দীন সাবের (রঃ)। দু’অলীর ত্বরিকার সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে দ্বীন থেকে বিচ্যুত মানুষকে খুব সহজেই আল্লাহর অলি বানানোর শতভাগ ফলপ্রসু চিশতীয়া- সাবেরিয়া ত্বরিকা।
১২৬ টি ত্বরিকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সংক্ষেপ ও তাছির যুক্ত বলেই অসংখ্য খুনি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত এবং লম্পট সহ ভয়ংকর অপরাধী ঐতিহ্যবাহী চরমোনাইর অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুনের ওয়াজ মাহফিলে এসে বয়াত গ্রহণ করেন।
এই ত্বরিকা জেনে মেনে সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে। মূল্যবান জিনিসে ভেজাল হওয়ার মতোই দুনিয়াদার জেনারেল শিক্ষিত ভন্ডরা পীর সেজে এই হক্ব ত্বরিকার অস্তিত্ব দুনিয়া থেকে নস্যাৎ করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেছে। এক মণ দুধে এক ছটাক চনার মতোই ভেজাল ঢুকিয়ে চিশতীয়া- সাবেরিয়া নাম দিয়ে মুরিদ নামধারী অশিক্ষিতদের থেকে দেদারসে দু’হাতে টাকা কামাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, শরীয়তপুরের সু্ন্নাত বিহীন সিগারেটখোর ভন্ড ফারুকের নিকট থেকে প্যান্ট শার্ট পরহিত লৌহজং উপজেলার কনকসার গ্রামের পীর নামধারী আবুল কালাম (মৃত) দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে খেলাফত লাভ করেছিল। পীর হয়ে কেন সুন্নাতী লেবাস পরিধান করেন না, দাড়ি রাখেন না? মৃত্যুর পূর্বে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, উপর থেকে এলহাম এখনো এসে পৌঁছেনি।
এলহাম এলেই সুন্নাতী লেবাস পরিধান করবো এবং দাড়ি রাখবো। তার মৃত্যুর পর তারই প্রতিষ্ঠিত নূর নবী (সাঃ) মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে তার কবরের উপর বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফুলের মালা দিয়ে মাজারের রূপ ধারণ করা হয়েছে। বতর্মানে পীর সেজেছেন সুন্নাত বিহীন তারই আদরের ভাতিজা রাজু (৪০)।
শিরক যুক্ত মিলাদ- কেয়াম করায় আটরশি, চন্দ্রপাড়া ও ভান্ডারীর মুরীদ সহ মিলাদ সমর্থিত অনেকেই নকল চিশতীয়া – সাবেরিয়া ত্বরিকার ভন্ড পীরের প্রতিটি ওরশ মাহফিলে নিয়মিত আসেন বলে জানা গেছে।
গ্রামের সচেতন মুসলমান ও মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (দাঃ) চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের মুরীদগণ অতিষ্ঠ হয়ে মাত্র কয়েক গজ দূরে খাস জমিতে ঈমানী চেতনায় আল মদিনা নামক একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। উক্ত মসজিদের সম্মানিত ঈমাম ও খতীব হযরত মাওলানা ফজলুর রহমান জানান, মুসলমানরা গোমরাহী থেকে রক্ষার্থে এলাকার সচেতন মুসলমানগণ সম্মিলিত ভাবে আল মদিনা মসজিদ প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তাই হক্ব পন্থী অনেক মুসল্লী এ মসজিদে নিয়মিত এসে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায় করছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন বিভ্রান্তির জালে আটকে পথভ্রষ্ট না হয়। এজন্যই সাপ্তাহিক হালকা জিকির এবং বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলেরও আয়োজন করে থাকে।