শিরোনাম

লৌহজংয়ে বেদের জমজমাট ব্যবসা!

 

আ. স. ম. আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি: ঐতিহ্যবাহী লৌহজংয়ের মাওয়া ঘাটে বেদেদের জমজমাট ব্যবসা। লোকজন সচেতন হওয়ায় সর্ব রোগের তাবিজ বিক্রি, মন্ত্র পড়ে ফুঁ দেওয়া, সিঙ্গা দিয়ে রস বাত খসানো। কম মূল্যোর চুড়ি বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেশি মূল্যে বিক্রি করা। সাপের খেলা দেখানো এখন আর চলে না।

বেদে সম্প্রদায়ের পুরুষেরা সুন্নাতী লেবাস পরিধান করে মসজিদ ও মাদ্রাসার রশিদ ছেঁপে মাওয়া ঘাটে ফেরিঘাট- এ চাঁদা কালেকশন করে। দক্ষিণাঞ্চলের বাসে ওঠে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করে বা দানের ফজিলত বর্ণনা করে যাত্রীদের আকৃষ্ট করে ভূয়া রশিদ ধরিয়ে দিয়ে দেদারসে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এছাড়া মহিলা বেদেনিরা মাওয়া লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন বাস ষ্টেশনে ঢাকা- মাওয়াগামী বাস গুলোর চিবিতে সারিবদ্ধভাবে ওঁৎ পেতে দাড়িয়ে থাকে। ওপারের কোন যাত্রীকে বাগে পেলেই চতুর্দিকে ব্যরিকেড দিয়ে ধরে। লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে কাটা বাস সার্ভিস থেকে আগত যাত্রীদের গলা অথবা হাত ধরে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করে।

মান- ইজ্জতের ভয়ে বাধ্য হয়ে দাবিকৃত টাকা দিয়ে আগত যাত্রী দ্রুত বেগে চম্পট দেয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক সভ্যতার আলোতে সচিত্র প্রতিবেদন ছাঁপা হলে কয়েক দিন অন্তরালে ছিল। এখন আবার ওরা সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। ওদের কবলে পড়ে ওপারের যাত্রীরা টাকা খুঁইয়ে প্রায় প্রতিদিন বিষন্ন মনে বাড়ি ফিরছে।

ঘাট সংলগ্ন খড়িয়া গ্রামের বেদে সম্প্রদায়ের পুরুষ ও মহিলারাই ঘৃণিত এহেন কার্যকলাপে জড়িত বলে গুরতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাত্র কয়েক গজ দূরেই পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্বেও প্রতিদিন দলবদ্ধ হয়ে কিভাবে ওরা ছিনতাই করে। তা সচেতন মহলের প্রশ্ন। মহিলা বেদেনিদের ছিনতাইয়ের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করলে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিলে যায়। ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন :