আ.স.ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি: বৃটিশ আমলে ভারত উপ মহাদেশ ইংরেজ হটাও আন্দোলনে কওমী মাদ্রাসার আলেম- ওলামাদের ভূমিকা ছিল বিরল। অসংখ্য আলেম- ওলামাদের জিহাদী প্রেরণায় ভারত বর্ষের শিশু কিশোর আবাল বৃদ্ধ বণিতা ইংরেজদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে।
কওমী মাদ্রাসার আলেম- ওলামাদের দমন করতে ও ইসলাম ধর্মকে ভারত উপমহাদেশ থেকে চির বিদায় করতে আলেম নামধারী স্বার্থম্বেষী দালালদের মাধ্যমে আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে। যার বিরূপ প্রতিক্রিয়া আজও প্রতিফলিত হয়। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকলে এক পর্যায়ে জালিম ইংরেজরা কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে এ উপ মহাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
দূঃখজনক হলেও সত্য স্বনামধন্য মাদ্রাসার কতিপয় আলেম- ওলামাদের খারাপ স্বভাবের কারণে ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। প্রায়ই পত্রিকায় পাতা ওল্টালে মাদ্রাসার শিক্ষকদের কু-কর্মের কাহিনী নজরে পড়ছে।
তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে লৌহজং উপজেলাধীন ঘোড়দৌড় বাজারস্থ ঘোড়দৌড় হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসায়। নাজেরা বিভাগের মাত্র দশ বছরের ছেলে সাকিবুল হাসান পড়া না পারায় মোটা লাঠি হাতে নিয়ে শিক্ষক আব্দু্স সালাম তেড়ে এসে প্রচণ্ড প্রহার করে।
এতে সাকিবের ডান হাতের কব্জি ভেঙ্গে যায়। গোটা বাংলাদেশে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষালয়ে ছাত্র/ ছাত্রীদের অতিরিক্ত মারধর করায় কোন কোন ছাত্র/ছাত্রী ভয়ে শিক্ষা থেকে বিমূখ হচ্ছে। তবে কোন মামলা হয়নী, সমজতার চেষ্টা চলছে। এ দেশের সচেতন ও ছাত্র/ছাত্রীদের প্রাণের দাবি, ঐ সব শিক্ষকদের বিচারের আওতায় আনা হোক।