শিরোনাম

শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো জরুরী

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, আমরা সকলেই সবসময় বলে থাকি। কিন্তু এই শিশুদের ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য নেই না কোন পদক্ষেপ। শুধুমাত্র মুখে বলেই দায় সাড়া সবাই, আমরা যখন চলাফেরা করি তখন আমাদের চারপাশে কত হাজারো শিশুর ভবিষ্যৎ অকালে ঝড়ে যায়, অথচ দেখেও না দেখার মতো করে এড়িয়ে চলি।

প্রতিটি শিশুরই রাষ্ট্র বা সা‌মাজিক ভাবে তার পরিবারের কাছে কিছু অধিকার থেকে থাকে, কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। একটি শিশু যখন পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয় তখন রাষ্ট্রের কাছ থেকে অধিকার পাওয়ার কথা, কিন্তু রাষ্ট্রের কাছ থেকে যায়
তো বঞ্চিত হচ্ছে এমনকি তার পরিবারের কাছ থেকে ও বঞ্চিত হয়।

একটি শিশুর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বা ছায়াতল হলো তার পিতা মাতা। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় তা উল্টো চিত্র। শিশুরা তাদের পিতা মাতার কাছেও নিরাপদ নয়। যে পিতা তার ছায়া হয়ে থাকার কথা সেই পিতার হাতেই খুন এমনকি ধর্ষণ ও হচ্ছে। আর যেই মায়ের কাছে সন্তান নিরাপদ স্থান হয়ে থাকার কথা সেই মায়ে তার নিষ্পাপ শিশুটি কে রাস্তায় এবং ডাস্টবিনে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করে না। এই যদি কিছু পিতা মাতা এবং সমাজের অবস্থা তাহলে কোথায় আছে শিশুদের নিরাপদ স্থান?

আর এইসমস্ত পিতৃহারা মাতৃহারা শিশুরাই অবহেলা অযত্নে তাদের জীবন গড়ে উঠে আর তখনই তারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। এর জন্য দায়ী কে? সমাজ না কি রাষ্ট্র? আর এভাবেই দিন দিন সমাজ অবক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। জাতি সংঘের শিশু অধিকার সনদের শিশুদের অধিকারের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু কোথায় সেই আইন বা অধিকার? সরকার শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করেছে তারপরও কেনো সমাজ থেকে শিশু হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণ নির্মূল হচ্ছে না? তার কারণ একটাই তা হলো জনসচেতনতা।

সরকারের আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা যতদিন নিজেরা সচেতন না হবো এবং দৃষ্টি ভঙ্গি না বদলাবো ততদিন এই সমাজ বা রাষ্ট্র বদলাবে না। তাই যার যার অবস্থান থেকে যদি আমরা নিজেরা সচেতন হই এবং সঠিক আইনের প্রয়োগ হয় তাহলে সমাজ থেকে শিশু নির্যাতন, হত‍্যা, এমনকি ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমে আসবে। আর তাই শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরী।

লেখক-
মোহাম্মদ আলী, প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব, বঞ্চিত শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন।

নিউজটি শেয়ার করুন :