শিরোনাম

শীতে কাঁপছে গ্রামের মানুষ: পৌঁছেনি শীতবস্ত্র

 

এম.কলিম উল্লাহ, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশার ঘন আস্তরণে ঢাকা পড়েছে সূর্য। হিমবুড়ির হাওয়ায় গরম পোশাকে উষ্ণতা খুঁজছে জেলাবাসী। পৌষের শীতে হাড়ে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

ক’দিন ধরে সকালে বৃষ্টির পানির মতো পড়ছে শীতের কুয়াশা, তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জেলাবাসীর জীবন। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করা এবারের শীতে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষগুলো কাঁপছে কনকনে শীতে।

কক্সবাজারের উখিয়ার আলী আহমদ (৬৫) বলেন, এমন শীত আর দেখিনি। তাহার গায়ে শীত নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত শীতের কাপড় নেই কোনমতে একটি ছেড়া পুরনো চাদর গায়ে জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের বদান্যতায় জেলা সদরের অলিগলি ও উপজেলার কিছু শীতার্ত মানুষের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছলেও অনেক উপজেলার ছিন্নমূল মানুষের কাছে এখনো পৌঁছেনি শীতবস্ত্র। গ্রামের মানুষগুলো তাকিয়ে আছে উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও), রাজনীতিবিদ, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিত্তশালী ও সরকারের তরফ থেকে শীত বস্ত্র বিতরনের আশায়।

একটু রাত করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের রাস্তায় বের হলে দেখতে পাওয়া যায় দুঃস্থ মানুষগুলোর আহাজারি। গ্রাম অঞ্চলে অনেক অভাবী মানুষ আছে যারা শীতবস্ত্রের অভাবে গায়ে জীর্ণশীর্ন পুরাতন কাপড় ও কাঁথা মুড়িয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শীতবস্ত্রের প্রয়োজনীয়তাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা গলাকাটা বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। দাম বেশি চাওয়াতে গরীব মানুষেরা চাহিদামত শীতবস্ত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের ঠাঁয় হচ্ছে ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের পুটলিতে।

এবারে শীতে ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাম অঞ্চলের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। প্রচন্ড শীতে অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত রোগী, বৃদ্ধ ও শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগবালাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে না আসলে শীতার্ত মানুষগুলোর কাছে উষ্ণতার বার্তা পৌঁছিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে একটি মাত্র কম্বল, জ্যাকেট, ব্যবহৃত যেকোনো শীতবস্ত্র দিয়ে শীতার্তদের শীত নিবারণে আপনার এগিয়ে আসাতে গ্রাম অঞ্চলের গরীব,অসহায়,বৃদ্ধ, শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগবলাই থেকে রক্ষা পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন :