আ.স.ম. আবু তালেব, বিশেষ প্রতিনিধি: মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের গর্বিত সন্তান। এদেশের বাঙ্গালীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে ছিনিয়ে এনেছে কাংক্ষিত স্বাধীনতা।
মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের অমূল্য সম্পদ বিধায় তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব বলে সচেতন মহল মনে করেন। স্বাধীনতা স্বপক্ষের অন্যতম শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর থেকেই স্বাধীনতা বিরোধী দেশাদ্রোহী রাজাকার জামায়াত – শিবিরের বিরুদ্ধে সদা ছিল সোচ্চার। একের পর এক দেশাদ্রোহী রাজাকার আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করে ইতিহাসের পাতা থেকে কলংকজনক অধ্যায়ের কবর রচনা করেছেন।
এদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভন্ড প্রতারক চক্র অসাধু কর্তা ব্যক্তিদের যোগসাজসে মুক্তিযোদ্ধা সেজে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছেই। এর প্রতিকার হয়েও যেন হচ্ছেনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ কয়েক মাস পূর্ব থেকেই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা দেওয়ায় আরেকটি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছে বাংলার আপামর জনগণ। গোটা বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁচাই বাঁছাই চলছে। রাজনীতির উর্ধ্বে থেকে মন্ত্রী মহোদয় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁচাই বাছাই শেষে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।