শিরোনাম

সম্পূর্ণ হলো পদ্মা সেতুর রেল স্লাবের নিমাণ কাজ

আ স ম আবু তালেব, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ

অবশেষে শতভাগ শেষ হয়েছে পদ্মা সেতুর রেল স্ল্যাব নির্মাণ কাজ। রোড স্ল্যাব বাকি আছে আর মাত্র ১৯টি। আগামী এক মাসের মধ্যে স্ল্যাব বানানোর কাজ পুরো শেষ হয়ে আসবে। এর মধ্যে সেতুতে রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ হয়েছে ৪৭ ভাগ আর রেল স্ল্যাব বসানো শেষ ৬৭ ভাগ। স্প্যানের উপর শতভাগ স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ করতে সময় লাগবে আরও ৬ মাসের বেশি।

সেতুর ৪১টি স্প্যানের উপরের অংশে রোড স্ল্যাব আর নিচের অংশে বসাতে হবে রেল স্ল্যাব। এর মধ্যেই সবগুলো স্প্যান বসানোর পাশাপাশি সেখানে স্ল্যাব বসানোর কাজও এগিয়েছে বেশ। জাজিরা প্রান্তে প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যজুড়ে বসে গেছে রোড ও রেল স্ল্যাব।

মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে এ স্ল্যাবগুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। এ ইয়ার্ডে বানানো হচ্ছে সেতুর ২ হাজার ৭৯১টি রোড স্ল্যাব, আর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব। সুখবর হলো, এরমধ্যেই শতভাগ রেল স্ল্যাব নির্মাণ কাজ শেষ। রোড স্ল্যাব বানানোর কাজও প্রায় শেষের দিকে। বাকি আছে মাত্র ১৯টি।

নির্মাণ কাজ শেষে ভাসমান বার্জের সাহায্যে নদীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এসব স্ল্যাব। পিলারের উপর বসে যাওয়া স্প্যানগুলোতে ক্রেনের সাহায্যে যুক্ত করা হচ্ছে রোড ও রেল স্ল্যাবগুলো। এখন পর্যন্ত রোড স্ল্যাব বসানো হয়েছে ১ হাজার ৩৬১টি আর রেল স্ল্যাব যোগ করা হয়েছে ১ হাজার ৯৭৪টি।

তবে সে তুলনায় কিছুটা ধীরে এগুচ্ছে সেতু ও ভায়াডাক্টের ২ পাশে প্রায় ২৫ কিলোমিটার রেলিং নির্মাণের জন্য প্যারাপেট তৈরির কাজ। মোট ১২ হাজার প্যারাপেটের মধ্যে বানানো হয়েছে ৭ হাজার, সেতুতে বসানো হয়েছে মাত্র ২২টি।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে নদীর মধ্যে ৪০টি পিয়ারে মোট ২৬২টি পাইল বসানো হয়েছে। সেতুর সুপার স্ট্রাকচার কম্পোজিট (স্টিল এবং কংক্রিট) হওয়ায় যমুনা সেতুর মতো এর ওপর দিয়ে বিদুৎ লাইন নির্মাণ সম্ভব হয়নি।

পদ্মা সেতু প্রকল্পও একটি বহুমুখী প্রকল্প হওয়ায় এ সেতুতে রেল, গ্যাস এবং অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গের ১৯টি জেলার সাথে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড এর ব্যবস্থা করা হয়। তবে এটি যমুনার মত নয়, সেতুর ২ কিলোমিটার ভাটি দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের জন্য মূল সেতু প্রকল্পের অধীনে নদীর ভেতর ৭টি টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। ৭টি টাওয়ার মোট ৩৬টি পাইল রয়েছে এবং টাওয়ারগুলো ৮৩০ মিটার স্প্যান বিশিষ্ট। ৭টি টাওয়ার নির্মাণে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে, যা পদ্মা সেতুর চুক্তির অধীনেই রয়েছে।

মূল সেতু ও বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য মোট ২৯৮টি পাইল বসানোর (ড্রাইভ) প্রয়োজন হয়। সেতুর পাইলগুলো ১২৮ মিটার (সর্ব্বোচ্চ) এবং বিদ্যুৎ লাইনের পাইলগুলো ১০৯ মিটার। প্রতিটি পাইলের ব্যাস (ডায়া) ৩ মিটার ও স্টীল ওয়াল থিকনেস ৬২-৮০ মিলি মিটার।

নিউজটি শেয়ার করুন :