শিরোনাম

সেগুনবাগান মাদ্রাসা উচ্ছেদের প্রতিবাদে সর্বস্তরের তাওহীদি জনতার বিক্ষোভ মিছিল

 

ওলামা ডেস্ক: বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন ‘সেগুনবাগান তা’লীমুল কুরআন মাদরাসা ও মসজিদ’ উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ সকাল ১০টায় কওমি মাদরাসা সংরক্ষণ পরিষদ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলটি সেগুনবাগান মাদরাসা হতে ডিআরএম অফিস হয়ে আমবাগান দিয়ে ঝাউতলা ওয়ার্লেস এলাকা প্রদক্ষিণ করে মাদরাসায় এসে শেষ হয়। মিছিল পূর্ব বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ৩৪ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায় উচ্ছেদ নোটিশ দিয়ে লক্ষ-লক্ষ মুসলমানদের মনে আঘাত করেছে।
তার পরিণাম ভালো হবে না বলে বক্তাগণ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সেগুনবাগান মাদরাসা-মসজিদে কিছু হলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশসহ ইসলামী শক্তির মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। অবিলম্ভে উচ্ছেদ নোটিশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাস্থ সেগুনবাগান এলাকায় এতিম-অসহায় ও হতদরিদ্র ছেলে-মেয়েদের এবং রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েরা দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৬ ইং সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের পতিত জমিতে রেলওয়ের উপরস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংসদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় সেগুনবাগান তা’লীমুল মাদরাসা।
যে মাদরাসায় পড়া-লেখা করে হাজার হাজার এতিম-অসহায় শিক্ষার্থী। তারা বর্তমানে হাফেজ-আলেম হয়ে দেশ-বিদেশে দ্বীনি খেদমতে ও ইসলামের প্রচার-প্রসারে সুনাম ও খ্যাতির সাথে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। যা শিক্ষার হারকে এক মাইল ফলক স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। এর দ্বারা এক দিকে যেমন কুরআনের খেদমত হচ্ছে অন্য দিকে দেশের শিক্ষার হারেও অসামান্য অবদান রাখছে।

মাদরাসার পরিচালক আলহাজ মাও. হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব সাহেবের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনী জামে মসজিদের খতিব মাও. জমির উদ্দিন জিহাদী, মাও. সানাউল্লাহ নূরী, মাও. ইমাদাদুল্লা ভূঁইয়া, মুফতি নুর মোহাম্মদ, মাও. নিজামুদ্দীন আল হোসাইনী, কারী ফজলুল করিম, ডা. রেজাউল করিম, মাও. এনামুল হক, মাও. মুসলেহ উদ্দিনসহ ইমাম-খতিব ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম-এর শতাধিক ইমাম, প্রাইভেট মাদরাসা এসোসিয়েশনের হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কওমি মাদরাসা সংরক্ষণ পরিষদের শতো-শতো নেতৃবৃন্দ ও আলেম উলামাসহ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনসাধারণ।

উল্লেখ্য যে, নিজস্ব ভূমি না থাকায় সরকারের নিকট ভূমির সকল নিয়ম কানুন মেনে সেগুনবাগান মাদরাসা-মসজিদের অনুকূলে লীজ পাওয়ার জন্য ০৮-০৮-১৯৯৯ইং তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ে বরাবরে টোকেন ফিঃ সহ একটি আবেদন করা হয়। যাতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী,এমপিসহ অনেকে সুপারিশ করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের তৎকালীন প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সরেজমিনে দেখে যাওয়ার পর তদন্তপূর্বক মহাপরিচালক বরাবরে ২৬-০৬-২০১৬ইং তারিখে লীজের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন জমা দেন। সর্বশেষ বিগত ২৪-০৩-২০১৭ ইং তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে আবেদন করা হয়। যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন :