শিরোনাম

সোনাগাজীর মুক্তার বাড়ির সড়কটি খাল গর্ভে বিলিন, নজরে আসেনি কর্তৃপক্ষের

আলাউদ্দীন জিহাদ,সোনাগাজী প্রতিনিধি : সোনাগাজী উপজেলা চর চান্দিয়া গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড জমাদার বাজারের দক্ষিণ পার্শে আব্দুস সত্তার মুক্তারের পুরাতন বাড়ির সড়কটি সুকুনিয়া খালে বিলিন হয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে প্রায় ২’শ ছোট,বড় পরিবার, ১শ কলেজ,স্কুল,মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র,ছাত্রী ও সকল ধরনের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।

শুষ্ক মৌসুমে খালের পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়িতে পৌঁছানো গেলেও, বর্ষা মৌসুমে খাল গর্ভে রাস্তাটি বিলিন হয়ে যাওয়ায় কোন ভাবেই বাড়িতে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ৫০ টি পরিবারের মানুষ দিনের পর দিন কষ্ট করে যাচ্ছে। এলাকা ওয়ার্ডসমেম্বারকে বার বার বিষয়টি অবগত করলেও তিনি আশার বাণী শুনিয়েছেন বহুবার তবে কোন সমাধান হয়নি।

খালের পাশে সরকারি একোয়ারভুক্ত জায়গাটি ও কয়েকটি পরিবার প্রভাব খাটিয়ে নিজের বাড়ির এরিয়ার মধ্যে দখল করে নিয়েছে। তবুও আমলে নেয়নি সোনাগাজী উপজেলা ভূমি অফিসার। বাড়িটি রাস্তা থেকে দূরে হওয়ায় সম্মুখ অংশে যাদের ঘর রয়েছে তারা প্রভাব খাটিয়ে সরকারি একোয়ারকৃত জায়গাটি নিজের বাড়ির সীমানার মধ্যে নিয়ে নেওয়ার কারণে আব্দুস সাত্তার মুক্তার এর পুরাতন বাড়ির সড়কটি প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে।

জমাদার বাজার এলাকার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি মহিউদ্দিন বলেন, অপরিকল্পিত খাল খনন করার কারণে রাস্তাটি সুকুনিয়া খালের মধ্যে ভেঙে পড়েছে এবং সরকারি একোয়ারভুক্ত জায়গাটি সাধারণ মানুষ নিজের মত করে দখল করে নেওয়ায় আব্দুস সাত্তার মুক্তারের পুরাতন বাড়িতে প্রবেশ করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ খাল পাড়ের রাস্তা দিয়ে ৫০টি পরিবারের মানুষ প্রতিদিন আশা যাওয়া করতো, এখন তো তা ভেঙে খালে পড়ে গেছে।

শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কুল কলেজে যাচ্ছে শুষ্ক থাকায় খালের মধ্যে দিয়ে। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে কষ্ট হয়ে যায়। কোন অসুস্থ রুগিকে বাড়ি থেকে বের করে হাসপাতালে নিতে হলে বর্ষা মৌসুমে পানির মধ্যে ভিজে নিতে হয়। এ বিষয়ে আব্দুস সাত্তার মুক্তারের পুরাতন বাড়ির বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে খাল পারাপার হয়ে বাড়িতে যেতে হয় ভূক্তভোগীদের। বর্ষা মৌসুমে ভূক্তভোগী সর্বস্তরের মানুষ ভিজে বাড়িতে যায়। বাড়ির নারী, পুরুষ শিশু, বৃদ্ধা, ও গর্ভবতি কোন লোক অসুস্থ হয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন :