শিরোনাম

স্মার্টফোনে বিপথগামী স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রিপোর্ট:

করোনাকালের অনলাইন পাঠের এই সময়ে ধীরে ধীরে স্মার্টফোনের আসক্তিতে বিপথগামী হচ্ছে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশে সর্বত্রই এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পর্ন সাইট, অনলাইন জুয়াসহ নানা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। অনেক অভিভাবক শিক্ষার্থীদের এমন আসক্তি দেখে চেষ্টা করেও তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না।

জানা যায়, লাকসামে (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট) স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাশের জন্য মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছেন অভিভাবকরা। আবার কেউ কেউ অভিভাবকের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। অনলাইন ক্লাশের অজুহাতে প্রতিদিন তারা ক্ষতিকর গেমস, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমুতে অনেক সময় ব্যয় করে।

মাঝে মধ্যে খেলতে না পারলে মুঠোফোন ভেঙে ফেলার উপক্রম হয়। ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘তার ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে সে এখন পাঠ্যবই পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমন আসক্তিতে সে আর বিদ্যালয়ে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে, লাকসাম উপজেলা শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

লাকসামের আলী নোয়াব স্কুল এন্ড কলেজ, খিলা উচ্চ বিদ্যালয়, মনোহরগঞ্জ কলেজ, নবাব ফয়জুন্নেচ্ছা সরকারি কলেজ মাঠ ও নাঙ্গলকোট হাছান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজে ঘুরে অনেক কিশোর-শিক্ষার্থীর হাতে দামী দামী স্মার্টফোন দেখা গেছে।

এসময় তাদের কেউ কেউ ‘ফ্রি ফায়ার’সহ বিভিন্ন মোবাইল গেমস খেলায় আবার কেউ কেউ ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমুতে চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।‌ ফ্রি ফায়ার’ গেইমে আসক্ত জনৈক কলেজ ছাত্র জানান, ‘প্রথমে পাবজি গেইম ভালো লাগত না। কিছুদিন বন্ধুদের দেখাদেখি খেলতে গিয়ে এখন আসক্ত হয়েছি। এখন না খেললে ভালো লাগে না।

শিক্ষার্থীদের উপর লেখাপড়ার ও পরীক্ষার চাপ না থাকায় তারা সারাক্ষণ মোবাইল ও টেলিভিশনের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী বিপথগামী হচ্ছেন। চলমান পরিস্থিতি উত্তরণে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা জরুরী। ‘

নিউজটি শেয়ার করুন :