ওলামা ডেস্ক:
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর’র আয়োজনে আজ (২৭ সেপ্টেম্বর ২০ইং) রবিবার বাদ এশা (আইএবি) মিলনায়তন চট্টগ্রাম দেয়ানহাট অফিসে তারবীয়াত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে নগর ওলামা নেতা মাও. মানসুরুল হক জিহাদীর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ তারবিয়াত দেন বিশিষ্ট ইসলামীক স্কলার আল্লামা ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন। সভাপতি, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর।
তিনি বলেন, কওমী মাদরাসার ছাত্ররা কখনও বেয়াদপ হয়না। পটিয়ার জিরি মাদরাসায় যখন পড়াই যাই ছাত্ররা আমার রেফারেন্স কিতাবগুলী উপরতলা থেকে গাড়ীতে উঠিয়ে দেয়, জুতাও নিচে নামিয়ে দেয়। তারা আন্দোলন কেন করবে সেটা বুঝতে হবে। নিশ্চয়ই পুঞ্জিভিত মনে দূ:খ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। এ বিষয় সুরার সদস্যরা খেয়াল রাখলে এ পরিস্থিতি না। আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) ২০ ঘন্টা আগে দূ:খ নিয়ে চলে যেতে হত না।
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাবুনগী আমার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন আমি সরকার বিরোধী নই। কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আমার সংশ্লিষ্ট নেই এবং কোন দলের এজেন্ডা নই। সরকার সরকারের কাজ করবে। দেশে ধর্মবিরোধী কোন কিছু হলে সরকার কো ব্যাবস্থা না নিলে আমাদের ঈমানী দায়িত্ব আন্দোলন করা।
তিনি আরো বলেন, আমরা জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সদস্যরা কোন পক্ষে-বিপক্ষে কোন তর্কে জড়াবো না। ফেইসবুকে কিছু লিখলে হিসাব করে লিখতে হবে, আপনার দৈনিকের পোষ্ট মনিটরিং হচ্ছে। প্রত্যেক থানায় সাইবার টিম আছে। আপনার লেখার সাক্ষী আপনি নিজেই কিন্তু।
ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নগর সেক্রেটারী মাও. শেখ আমজাদ হোসেন’র সঞ্চলনায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন, মুফতি হাসান মুরাদাবাদী, মুফতি মোরশেদ, মুফতি এমদাদুল্লাহ কাবীর, মুফতি শাহেদ, মুফতি শরীফি, কে. এম নূহু হোসাইন, মাও. হাবিবুর রহমান আতিকী, মাও. হেলাল উদ্দিন রশিদী, মাও. আ: হামিদ, মাও. ফজলে এলাহী প্রমূখ।
সভায় সিধান্ত হয় আগামী ৯ অক্টোবর ২০২০ ইং জুমাবার জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম তালিমুল কোরআন কমপ্লেক্স-এ নব নির্মিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি (রহ)’র জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচার আইন পাশ করেন।