সত্যের সন্ধানে সর্বদা নির্ভীক জনপ্রিয় ও শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক ওলামা কন্ঠ। হাজারো বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে দূর্বার গতিতে দেশ ও জাতির স্বার্থে। সচেতন পাঠকদের উৎসাহ উদ্দীপনা ও সঠিক পরামর্শে দিন দিন দৈনিক ওলামা কন্ঠের মানোন্নয়ন ঘটছে।
অধিকাংশ সংবাদপত্র কোন কোন দলের মূখপত্র হয়ে কাজ করাতে পাঠকবৃন্ধ সঠিক সংবাদ খুজে পাচ্ছেনা। পাঠকবৃন্ধের অবগতির জন্য জানাচ্ছি আপনাদের সংশয় সন্ধেহ দূর করে শতভাগ নিরপেক্ষতার অঙ্গীকার নিয়ে আপনাদের বন্ধু হয়ে যুগে যুগে পাশে থাকবে দৈনিক ওলামা কন্ঠ।
সংবাদপত্রে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে নেপথ্যে নিয়োজিত থাকেন এক ঝাঁক কর্মঠ কলম যোদ্ধা নামের সাহসী সাংবাদিক। তাদের লিখনীতে জেগে ওঠবে জাতি, অপরাধীরা হবে ধরাশায়ী, বৃদ্ধি পাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান, কল কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ত্বরিৎ উন্নয়ন দেশের অর্থনীতিকে করবে অধিকতর চাঙ্গা, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলায় পরিণত হবে সোনার বাংলাদেশ।
অথচ সাংবাদিকদের যথাযোগ্য মূল্যায়ন হচ্ছেনা। আমাদের লক্ষীপুরের বিশেষ প্রতিনিধি মো: ওসমান গণি প্রেরিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদে জানা যায়, সকাল ১১টায় নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য বোঝাইকৃত একটি রিক্সা শহরের শাখারী পাড়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় বিপরীত থেকে অকস্মাৎ ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই নিহার রঞ্জন মোটর সাইকেল দিয়ে গতিরোধ করে মারধোর করতে থাকে।
সময় টিভির লক্ষীপুর প্রতিনিধি মাহবুবুল ইসলাম ভূঁইয়া অসহায় রিক্সা চালকে অযথা মারধোর করতে দেখে ছেড়ে দেওয়ার সবিনয় অনুরোধ জানান। ছেড়ে না দিয়ে বরং ক্ষিপ্ত হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার মিথ্যে অভিযোগে গালিগালাজ করে এসআই। এক পর্যায়ে সাংবাদিককে মারতে উদ্যত হয়।
তাৎক্ষণিক ভাবে ট্রাফিক পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা তাকে নিভৃত করেন। বিষয়টি অবগত হয়ে পুলিশ নামের কলঙ্ক নিহার রঞ্জনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার ড. এইচ এম কামরুজ্জামান। তাছাড়া ফতুল্লা মডেল থানার ভেতরে গত ২৭ মার্চ শুক্রবার বিকাল তিনটায় ফতুল্লা রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল ইসলাম নূরুর সাথে ওসি আসলাম হোসেনের অশোভনীয় আচরণের অভিযোগ ওঠেছে।
ওসির অপসারণ না হলে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছিল উক্ত সংগঠনটি। সাংবাদিক ও পুলিশ একে অপরের পরিপূরক। সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের আন্তরিক হওয়া আবশ্যক। তা না হলে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
(চলবে)
লেখক- আ স ম আবু তালেব।