উপস্থাপকঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয় আপনাকে যদি সকল বিষয় নিয়ে আত্বসমালোচনা করতে বলা হয় তাহলে আপনি কি ভাবে সমালোচনা করতে চাইবেন?
প্রধানমন্ত্রীঃ খুব কঠিন একটি কথা বলেছেন। আত্ব সমালোচনা সহজে কেউ করতে চায় না। করলে উপলব্ধি আসে আমার কি করা উচিৎ অথবা কি করা উচিৎ নয়। তবুও যখন বলছেন, আমি সব সাইড নিয়েই আত্ব সমালোচনা করে বুঝানোর চেষ্টা করে দেখাচ্ছি। দেখুন কেমন লাগে। আত্ব সমালোচনায় চাকুরীজীবি, ব্যাবসায়ী, সাধারণ জনগন,রাজনীতিবিদগনের জন্য আমার অনুভূতির প্রকাশ এমনটি হতে পারে।
ধরুন আমার চোখের জ্যোতি কমে যাচ্ছে, ডাক্তারের পরামর্শে চশমা ব্যাবহার শুরু করেছি, চুল পেকে গেছে, বয়স লুকিয়ে রাখার জন্য কলপ ব্যাবহার করছি, চেহারায় বয়েসের ছাপ পড়ে গেছে, চামড়ায় ভাজ পড়ে গেছে বয়স লুকানোর জন্য এন্টি এইজিং ক্রীম ব্যাবহার করছি, প্রয়োজনে প্লাস্টিক সার্জারি করে বয়স লুকানোর চেস্টা করছি। মাথার চুল ঝরে যাচ্ছে।হেলমেটের মত টাক পড়ে গেছে, বয়স কমাতে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করছি,আগের মত পরিশ্রম করতে পারিনা,একটুতেই ক্লান্ত হয়ে যাই,চলার গতিতে ধীরতা চলে এসেছে।
মনোবল হারিয়ে যাচ্ছে,আগের মত উচ্ছলতা নেই,মনে জোস নেই,মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ছি,খাওয়ার রুচি কমে যাচ্ছে।আগে কতই না পরিতৃপ্তির সাথে খেতে পারতাম,এখন পারিনা।ব্লাড সুগার বেড়ে যাচ্ছে,কমানোর জন্য সকাল বিকাল হাটাহাটি করছি,রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে,নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ঔষধ সেবন করছি, HEART এর শক্তি কমে যাচ্ছে, ব্লক ধরা পড়ছে, বাচার জন্য রিং বসাচ্ছি, বাইপাস করছি। পৃথিবী যেন চোখের সামনে ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
কিডনিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে,ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে চিকিৎসা নিচ্ছি, রক্তশুন্যতা দেখা দিচ্ছে।ক্যান্সারের মত মরন ব্যাধি হাতছানি দিচ্ছে।কেন এমন হচ্ছে। আমার কি সময় শেষ হতে চলছে? শিশু,কিশোর, যৌবনের স্মৃতি কথা বারবার মনে পড়ছে। এসব কিসের লক্ষন? আমি কি জীবনের কাছে পরাজিত হয়ে যাচ্ছি? কেন হচ্ছে আমার জীবনচক্রে এমন পরিস্থিতির আগমন। নিশ্চিত বয়স হয়ে যাচ্ছে,আল্লাহ এটাই মনে করে দিচ্ছেন হয়তো। একসময় আমার চঞ্চলতা এবং উচ্ছলতাও স্থিরতার রুপ নিবে।
আরও সময় গেলে আল্লাহ ও নবীকে জানার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠিবে। তারপর জীবনের সকল ভুল কাজের জন্য অনুশোচনা চলে আসবে। আবারও মনটা সরল,সহজ শিশুদের মত মনে হবে। জীবনকে জানতে আরও ইচ্ছে করবে। পৃথিবী ছেড়ে যাবার ভয় পেয়ে বসবে। মনে হবে আমার অনুপস্থিতিতে আমার স্ত্রী সন্তান কি তাদের জীবনকে ভালভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে তো? এই ভেবে একটা উৎকন্ঠা সবসময় কাজ করে যাচ্ছে আমার ভিতর। একসময় পৃথিবী থেকে বিদায় নেবার সময় কখন যে চলে আসবে তা টেরও পাওয়া যাবেনা, তখন আর আমার ফিরবার পথ থাকবেনা।
কল্পনায় ভেসে বেড়াবে ফেলে আসা অতীতের ভুলভ্রান্তি ও সুখময় স্মৃতি। তা আমাকে কখনও কাদাবে, কখনও আনন্দ দেবে, কখনও শিহরিত করবে। মায়ের পেট থেকে নিঃস্পাপ হিসেবে জন্ম গ্রহন করেছিলাম, বাবা মায়ের আদরে বড় হয়েছি,তারা কথা বলতে শিখিয়েছেন, হাটা শিখিয়েছেন, ভালমন্দ সকল জ্ঞ্যান দান করেছেন, বড় হয়ে তাদের অবাধ্য হয়েছি, সেই পিতামাতাকে সন্মান করিনি, তাদের হক আদায় করিনি, বিয়ে করে স্ত্রীর মোহে পড়ে তাদেরকে (বাবা মাকে) তুচ্ছভাবে দেখেছি, স্ত্রী সন্তানদের মায়ায় মমতাময়ী মা ও পথপ্রদর্শক পিতাকে ভুলে গিয়ে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছি।
দুনিয়ার সম্পদের লোভে অবৈধ উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছি, জৌলুসময় জীবনযাপন করতে গিয়ে একসময় সন্তানদেরও হক নস্ট করেছি, স্ত্রীর হকও নস্ট করেছি। অহংকারের বশবর্তী হয়ে আত্বীয়দের হক নস্ট করেছি, এতিমদের সম্পদ নস্ট করেছি, জীবনকে আরও আনন্দময় করার জন্য পরকীয়ায় জড়িয়েছি, ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়েছি, জীবনকে আরও উপলব্ধি ও রোমাঞ্চিত করার জন্য নিষিদ্ধ মদ্যপান করে নেশায় বুদ হয়ে থেকেছি, আরও না জানি মনের অজান্তে অনেক অনেক নীতিবিগর্হিত কাজ করেছি।
চাকুরীজীবি হিসাবে, পেশার ক্ষেত্রে নিজের সুবিধা আদায় করার জন্য,নিজে ভাল থাকার জন্য অধঃস্তনদের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছি, তাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলাম, নিজের অসৎ উদ্দ্যেশ্য চরিতার্থ করার জন্য অধঃস্তনকে ব্যাবহার করেছি, তাদের সাথে কতই না মন্দ আচরণ করেছি, তাদের সাথে পক্ষপাত মুলক আচরণ করেছি। জনগনের সেবার নামে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছি,তাদের অধিকার হরন করেছি, তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছি, জনগনের কাছে বিনিময় গ্রহন করে সেবা দিয়েছি।
যদিও জানতাম আমি অন্যায় কাজ করছি, কিন্তু কখনও মনেই হয়নি আমি অন্যায় করছি। রাজনীতিবিদ হিসেবে ,আমি তাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছি,তাদের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছি, তাদের মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নিয়েছি, তাদের সম্পদ আত্বসাৎ করেছি, আমার মতের বিরুদ্ধচারী হলেই তাদের উপর অত্যাচারের স্টীম রোলার চালিয়েছি। এসব করে কি আমি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলাম নাকি সঠিক কাজ করেছিলাম। যারা আমার মতাম্বলীর লোক তারা আমাকে বুঝিয়েছে আমি সঠিকটাই করেছি। আমি ক্ষমতার অপব্যবহার করে যা ইচ্ছে তাই করেছি, কখনোই অন্যায় মনে হয়নি।
ভেবেছি চিরকাল আমি বেচে থাকবো, চিরকাল আমার ক্ষমতা অব্যাহত থাকবে। ব্যাবসায়ী হিসেবে আমি অধিক মুনাফার জন্য খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে মানুষের জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছি, অনেকেই আমার ভেজাল খাবার খেয়ে মরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। ধুকে ধুকে রোগশয্যায় শায়িত হয়েছে, সুদের উপর টাকা লগ্নি করে দারিদ্র ব্যাক্তিদের শোষণ করে নিঃশেষ করে দিয়ে পথে বসিয়েছি,
আমি মাদক ব্যাবসা করে যবুক শ্রেনীর জীবন যৌবনকে শেষ করে দিয়েছি, নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তারা ছিনতাইকারী হয়েছে, সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, তারা নেশা করে অন্য নিরীহ নাগরিকের মা বোনের ইজ্জত হরনে সহযোগিতা করেছি।
কনস্ট্রাকশন কাজে ফাকি দিয়ে রাস্তা ঘাট দালান কোঠা বানিয়ে আমি লাভবান হলেও জনগণের জীবনকে ঝুকিপূর্ণ করে দিয়েছি, চাহিদা মোতাবেক সঠিক পন্য সরবরাহ না করে মান সন্মত নয় এমন পন্য সরবরাহ করে সরকারি লোকদের সাথে যোগসাজশ করে অর্থ কামিয়ে জনগণকে ধোকা দিয়েছি, বিদেশ থেকে নকল চাউল নকল ডিম ইত্যাদি আমদানি করে আসল পন্য বলে বিক্রি করে প্রতারণা করেছি, আরও বিভিন্ন পন্থায় লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাবসা করে দেশ ও জাতীকে ধংসের দিকে ঠেলে দিয়েছি। এভাবে ব্যাবসা করে আমি অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছি, ফলে জনগন দেশবাসী আমার এমন অপকর্মের কথা জেনেও তারা প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
আমার মত অনেক লোভী চাকুরীজীবি, অনেক রাজনীতিবিদ, অনেক ব্যাবসায়ীদের কারনে দেশটা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার করলেও দেশের কোন উন্নতি হয়নি। অথচ আমাদের পরে যে সকল দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে তারা তাদের সততা,নিস্টা,পরিশ্রমের দ্বারা তাদের দেশকে উন্নতশীল দেশের কাতারে দাড় করিয়েছে। আমার মত করে রাজনীতিবিদ, ব্যাবসায়ী, চাকুরীজীবি, অন্য পেশাজীবি আজ সবাই জাতীয় বেঈমান।
জীবনের শেষ সময় এখন শুধু ভাবি আমি কি করেছি? আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কি শিক্ষা দিয়ে গেলাম? তারাও তো আমাকে অনুসরণ করে এই একই কাজ করবে, তারা ভাল হওয়ার পথ প্রদর্শক না পেয়ে আমার মত একই পথ অনুসরণ করবে। আর কদিন পর তো মারাই যাব, আমার সময় শেষ, এখন বুঝতে পারলেও তাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর মত আমার শারীরিক শক্তি,মনোবল কোনটাই নেই। কি হবে এই জাতীর?
কখনও কি ভেবেছিলাম যে,আমার চলার গতি একদিন শেষ হয়ে যাবে, কখনও কি ভেবেছিলাম আমি ধীরে ধীরে বৃদ্ধত্ব বরন করে নিতে যাচ্ছি। পড়ন্ত বেলায় মনে পড়ছে যা কিছুই করেছি তা অন্যায় করেছি। এখন অনুতপ্ত হয়ে কি কোন লাভ হবে? আমি তো আমার অজান্তে মানবমনে ঘৃনার পাত্র হিসেবে প্রতিস্টিত হয়ে গেছি, তারা কি আমাকে কখনোই মন থেকে ভালবাসতে পারবে? কখনোই না। আমি আজ ক্লান্ত, বিবেক আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে, কেন আমি এসব করেছি! এসব না করে আমি তো স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রিত জীবন বেছে নিতে পারতাম।
যে জীবনে শুধুই রয়েছে প্রশান্তি,যে জীবনে রয়েছে মানুষের দোয়া ও শ্রদ্ধার ভালবাসা। প্রাচুর্য ও ক্ষমতা পেতে গিয়ে আমি সবার ভালবাসা হারিয়েছি, সবার ঘৃনার পাত্র হয়েছি, সবার কাছেই আমি অভিশপ্ত হয়েছি, এখন বুঝতে পারলেও ফিরে যেতে পারবোনা নিঃস্পাপ জীবনে। মুসলমান হিসেবে জন্ম গ্রহন করেছিলাম কিন্তু মুসলমানদের রীতিনীতি, আদবকায়দা, আচার আচরণ পালন করিনি। জীবনের গোধুলী লগ্নে ভাবছি আমার সময় শেষ, যেকোনো সময় পরকালের ডাক এসে যাবে, আজ্রাইল এসে বলবে চলো তোমার দুনিয়ায় থাকার অধিকার মহান আল্লাহতালা কেড়ে নিয়েছে।
তোমাকে জিজ্ঞাসিত হতে হবে, পরীক্ষা দিতে হবে, তোমার জন্য রয়েছে তোমার কৃতকর্মের পুরস্কার, আমি যেতে না চাইলেও জোড় করে আমাকে পাকড়াও করে নিয়ে যাবে। এখানে আমার কোন ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, দম্ভ, সম্পদ, লোকবল, অস্ত্রবল আমাকে রক্ষাই করতে পারবেনা।কেন আমি সময় থাকতে এই কঠিন সত্য উপলব্ধি করতে পারলাম না, কেন পারলাম না?
এসব ভেবে ভেবে এখন নিদ্রাহীন রাত্রী পার করছি, দিবানিশি পাপের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করতে হবে ভেবে শংকিত হচ্ছি। জানি ভেবে কোন লাভ হবেনা। আমার কৃতকাজের পুরস্কার আমি নিতে না চাইলেও পুরস্কার আমাকে ছাড়বেনা। এই তো জীবন। সময় এসে একসময় জীবনকে নিথর ও স্তব্ধ করে দিয়ে সাদা কাফনের মাঝে আমার অস্তিত্বের অবসান ঘটিয়ে দিবে। কিছু কাল পর আমাকে নিয়ে আর কেউ ভাববেনা। আমি অতল গহব্বরের চিরকালের জন্য হারিয়ে যাব।
আমি যে এই পৃথিবীতে ছিলাম তা অনেকের বিশ্বাস করতেও কস্ট হবে। আমি এভাবে পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে হারিয়ে যেতে চাইনা, ছেড়ে যেতে চাইনা এই সুন্দর ভুবনকে। মানুষের মাঝে বেচে থাকতে চাই, তাদের ভালবাসা পেতে চাই। তবে যদি আমি ভালকাজ করতাম তাহলে মানুষের মনে জেগে থাকতো আমার ভাল কাজের, পরোপকারের স্মৃতি। সেটাই মানুষের মাঝে হয়তো আমাকে অমর করে রাখতো। তাই এই অমরত্ব লাভের জন্যই লড়াই করা উত্তম ছিল।
আমি আমার প্রিয়জনের মনে, পিতামাতার মনে, আত্বীয়ের মনে, সাধারণ মানুষের মনে অমর হয়ে থাকতে পারতাম। যাদের দোয়া আমাকে অদৃশ্য জীবনেও পরিতৃপ্ত করতো। মরনের পর মানবমনে অমরত্ব লাভ করাই উত্তম পন্থা ছিল, কিন্তু আমি তা করতে পারিনি।হায়রে ,মানুষ যদি সময় আসার আগেই নিজেকে নিজে উপলব্ধি করতে পারতো,তাহলে এমনটি হতোনা। দেখুন আমার আত্ব সমালোচনা এমনই হতো।
উপস্থাপকঃ আপনার আত্ব সমালোচনা খুব মারাত্মক লেগেছে স্যার, আসলেই বেচে থাকতেই মানুষের মাঝেই অমরত্ব লাভ করার উপায় নিহিত আছে, আগামী নির্বাচনে আপনার জনপ্রিয়তা যদি না থাকে জয় লাভ করার জন্য আপনি কোন পথ অনুসরণ করতে চান?
প্রধানমন্ত্রীঃ দেখুন, যেদিন বুঝতে পারবো আমি জনগনের ভালবাসা হারিয়েছি, যেদিন বুঝতে পারবো আমি জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছি, সেদিন আমি উন্নত রাস্ট্রের রাস্ট্রনায়কদের মতো করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে ক্ষমতা থেকে সরে যাবো। ক্ষমতা আকড়ে ধরার জন্য আমি রাস্ট্রীয় শক্তি ব্যাবহার করে অবৈধ উপায়ে নির্বাচন করে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসতে চাইনা। আমি ভাল করেই জানি সরকারে থাকলে সাধারণত জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। তার কারণ একটাই জনগনকে ঠিকভাবে বুঝতে না পারা এবং তাদের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হওয়া ও জনগণের মনের ভাষা বুঝতে না পারা।
যেহেতু আমি এটা জানি সেহেতু আমি আগে থেকেই এই ব্যাপারে অত্যান্ত যত্নশীল। আমি সেজন্য জনগনের মতামতকে কখনোই উপেক্ষা করিনা। জনগণকে মিথ্যা আশার আলো কখনোই দেখাইনি এবং দেখাবোনা। জনগণকে কখনোই ধোকা দিই নাই এবং দিবও না। আমি তাদের অন্তরে বাসা বেধে চিরকালের জন্য থাকতে চাই। জনগনের মনের ভাষা আমি বুঝতে পারি। জনগণকে আমি উন্নত জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখাতে চাই এবং বাস্তবেও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করিয়ে দেখাতে চাই। জোর জুলুম করে ক্ষমতায় থাকা যায়, তবে তাদের মনের ভিতর জায়গা করে নেয়া যায় না। এমনটি করলে তারাই একদিন আমাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করতেও দ্বিধা বোধ করবেনা।সুতরাং জনগনের উপর আমার শতভাগ আস্থা আছে। আমার উপরেও জনগণের শতভাগ আস্থা আছে ইনশাআল্লাহ।
(চলবে)
লেখক- মো: মোস্তফা হারুন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।