ডেস্ক রিপোর্টঃ
আপনার তিনটা ভাই ছিলো। বাঁচতে দিলো না ঘাতকেরা, বাবা মায়ের সাথে তাদেরও হত্যা করলো কাপুরুষের দল। আপনাকে হত্যা করতে চাইলো কত বার। একবার নয় দুইবার নয় ১৯ বার আপনাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। ওরা পারলো না আপনাকে হত্যা করতে। আপনার হারানো তিন ভাই আজ লক্ষ লক্ষ ভাই হয়ে যে পাশে দাঁড়িয়ে গেছে।
সাল ১৯৮৮, ২৪ জানুয়ারি, চট্টগ্রামে। ৮ দলীয় জোটের মিছিলে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গুলি চালানো হয়। পুলিশ-বিডিআরের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেদিন ৭ জন নিহত ও তিনশত লোক আহত হয়। সেদিনও আপনাকে বাঁচাতে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেছিলো আপনার ভাইয়েরা।
২০০৪ সাল, ২১ শে আগষ্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিলে ভাষণ, হুট করে কান তব্ধা দিয়ে যাওয়া শব্দ। পর পর কয় একটা। না বোমা ছিলো না, ছিলো যুদ্ধ করার সময় ব্যাবহৃত গ্রেনেড। আপনাকে মারার জন্য চললো নরকীয় হামলা, মারা পড়লো ২৪ জন তাজা প্রান, আহত হয়ে দিন কাটাচ্ছে আরো শ চারেক। সেই হামলার মাঝে আপনাকে বাঁচাতে আপনার কর্মীরা মানবঢাল বানালো, ট্রাক থেকে নামিয়ে গাড়িতে তুললো, তবুও থামলো না ঘাতকের হাত, শুরু হলো বৃষ্টির মত গুলি। বেঁচে আপনি ঠিকই ফিরলেন ঘরে। হারালেন সবচেয়ের কাছের কিছু নেতা কর্মীকে।
আপনাকে বাঁচাতে বার বার আপনার ভাইয়েরা মানবঢাল তৈরি করবে। বুক চিতিয়ে বার বার দাঁড়িয়ে যেতে আপনার ভাইরা ফিরে আসবে যুগে যুগে। আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাবেন, আপনার এই যাত্রাপথে আপনার ভাইয়েরা সব সময় ছায়া হয়ে আপনাকে অনুসরন করবে। কখনও মেয়র হানিফ হয়ে, কখনও জিল্লুর রহমান, কখনও দেহরক্ষী মাহবুব হয়ে, কখনওবা চিটাগাং এর মহসিন হয়ে। আমরা আপনাকে ভালবাসি, আপনাতে আস্থা রাখি। আপনার দীর্ঘ আয়ু ও সুস্থতা কামনা করি। ২১ আগষ্ট নিহত সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শদ্ধাঞ্জলি।
সূত্রঃ আমার নেত্রী আমার অহংকার