ব্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্
আ স ম আবু তালেব, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ-
মুন্সীগঞ্জে আলুর আবাদ কৃষকদের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলা। গোটা জনপদে এখন কীটনাশক ও পানি দিয়ে গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা।
এ জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আলু। তাই মুন্সীগঞ্জে এবার ৩৭ হাজার ৮শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। অন্যান্য বছর এ সময় মুন্সীগঞ্জ জেলার হাটবাজারগুলোতে আগাম আলু উঠে। কিন্তু এবার জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় আগাম আলু চাষ ব্যাহত হয়।মার্চ মাসের মাঝামাঝি দিকে আলু উত্তোলন শুরু হবে বলে আসা করছেন কৃষকরা।তবে ইতোমধ্যে বাজারে আগাম জাতের আলু পাওয়া যাচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপপরিচালক মোহাম্মদ শাহ্ আলম জানান, এবার মুন্সীগঞ্জের ৬ উপজেলায় ৩৭ হাজার ৮’শ ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আলুর চাষ হয়েছে,তবে গত বছরের তুলনায় ২’শ ৬৫ হেক্টর বেশি । সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্ষেতে কাজ করছেন চাষিরা। কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ টপ ড্রেসিং (আলু গাছের সারিতে মাটি তুলে দেয়া ও সরিয়ে দেয়ার কাজ) করছেন। আবার কেউ দিচ্ছেন রাসায়নিক সার। কেউ বা ছত্রাক, রোগ-বালাই ও ঘন কুয়াশার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে করছেন।
আলুচাষিরা জানান, কীটনাশকের দাম সাবাভিক থাকায় চাষিরা ভালোভাবে পরিচযার্য় করতে পারছে। তবে লৌহজং,টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কিছু কিছু এলাকার জমিতে আলু গাছে জটলা ধরেছে। বিগত বছরের সফলতার ধারাবাহিকতায় এবারো মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের চাষিরা আলু আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে। বনসেমন্ত গ্রামের আলু চাষি লুৎফর জানালেন, এবার জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় আগাম আলু চাষ ব্যাহত হয়েছে তবে মার্চের প্রথম দিক থেকেই উঁচু জমি গুলিতে আলু উত্তোলন শুরু হবে।