শিরোনাম

বাতিলের বিরুদ্ধে আপোষহীন ” ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ “

আবু তালেব, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি দূর্দান্ত সাহসী জিহাদী কাফেলা। বাতিলের বিরুদ্ধে সর্বদা আপোষহীন। সমাজ তথা রাষ্ট্রে মহান আল্লাহু তায়ালা প্রদত্ত পবিত্র আল কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠায় এর কোন বিকল্প নেই বলে অনেক ইসলামী চিন্তাবিদগণ মনে করেন। শায়েখ হযরত মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করীম (রঃ) কর্তৃক নবী করীম (সঃ) এর আদর্শে গঠিত শতভাগ পিওর এই রাজনৈতিক ইসলামী সংগঠনটি জম্ম লগ্ন থেকেই বাতিলের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

উক্ত সংগঠনটির বর্তমান আমির রাজপথের অকুতোভয়ে সিপাহসালার আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (দাঃ আঃ) পীর সাহেব চরমোনাই , বাতিলের আতঙ্ক নায়েবে আমির আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম কাসেমী (দাঃ আঃ) পীরে কামেল চরমোনাই মৃত্যুকে  পায়ে মাড়িয়ে বীর দর্পে এগিয়ে চলেছেন সমাজ তথা রাষ্ট্রে ইসলামী হুকুমত অর্থাৎ পবিত্র কুরআন মাজিদের সুমহান আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশের মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর্দশা দূর করে অনাবিল সুখ শান্তির হাওয়া সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে।

বাতিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কঠিন সময়ে তাদের সময়পোযুগী সিদ্ধান্ত এদেশের আলেম ওলামাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ইসলামের স্বচ্ছ আকাশে উদীয়মান উজ্জল নক্ষত্র ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (দাঃ), নায়েবে আমির আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম সহ সকল নেতাদের কথাকে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সর্বদা দলিল মনে করেন। ইসলামী দলগুলো দু’ ভাগে বিভক্ত হয়ে নারী নেতৃত্ব মেনে নেওয়ায় এদেশে পর্দা থাকবে কি থাকবে না; ইসলামী চিন্তাবিদদের মনে এধরনের আশংকার উদ্রেক হলে শায়েখ হযরত মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করীম (রঃ) মহান আল্লাহু তায়ালার হুকুম ও নবী করীম (সঃ) এর আদর্শ বুকে ধারন করে অবিচল অনঢ় ও অটল ছিলেন বিধায় এদেশে আজও  পর্দা আছে এবং থাকবে।

ইসলাম রক্ষায় উক্ত সংগঠনের আপোষহীন আন্দোলন এদেশের ইতিহাসে লেখা না থাকলেও সারা বিশ্বের মুসলমানদের হ্নদয়ের মনিকোঠায় এবং মহান আল্লাহর কুদরতি ক্যামেরায় জিহাদী চেতনার সুদীপ্ত ছবিগুলো স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাস হয়ে থাকবে। মুসলমানদের হাতে অন্য ধর্মালম্বীর কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে সারা বিশ্বে তোলপাড় হয়ে যেত। মুসলমানদের জঙ্গি সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে চিরতরে নির্মূলে কাফেরের দলেরা ব্যস্ত হয়ে ওঠে। অথচ গোটা বিশ্বে মুসলমানগণ নির্যাতিত নিষ্পেষিত। ওরা নিশ্চুপ থেকে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়ছে। মুনাফিকদের কারণে আমাদের এই করূণ পরিণতি। ভারতে মুসলমান নিধনের প্রতিবাদে সম্প্রতি ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে সাহসী সফল ঘেরাও কর্মসূচি বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে।

বৃটিশ আমল থেকেই হিন্দু জঙ্গিবাদীরা ইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়ে সহজ সরল মুসলমানদের উপর অনবরত জুলুম – নির্যাতন চালিয়েই যাচ্ছে। ওদের দূঃসাহস দেখে চীন, মিয়ানমার, আমেরিকা, রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের কাফের শাসকগণ মুসলমানদের সমূলে নির্মূল করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। ৩০ জুলাই মঙ্গলবার ভারতীয় দুতাবাস অভিমূখে চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের নেতৃত্বে অগ্নিঝরা শ্লোগানের মাধ্যমে রাজপথ কাঁপিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ একটি জ্বলন্ত ইতিহাস। এতে বাতিলের ভীত কেঁপে ওঠবেই; এটাই বাস্তবতা। ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করে না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে একদিন কাফেরদের চরম শিক্ষা পেতে হবে। পবিত্র হাদীসের পাতায় উল্লেখ রয়েছে হিন্দুস্তানের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ হবে। কাফেররা সবাই হিন্দুদের সমর্থন দিবে। মহান আল্লাহু তায়ালা মুসলমানদের বিজয়ী করবে। মুসলমানদের নেতৃত্বে বিশ্ব শাসন চলবে। ঈমাম মেহেদী (দাঃ) ও মুসা নবী (আঃ) এর আর্বিভাব ঘটবে। একদা আবু জাহেল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর প্রশ্নোত্তরে জানায়, ” আমার ভাতিজা মোহাম্মদ ছোট বেলা থেকেই সত্যবাদী। তাই আমরাই তাকে আল আমিন, সাদেক সহ বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করেছি। ইসলাম ধর্ম সত্য ও আমার ভাতিজা মোহাম্মদ সত্য নবী। তাকে মানলে আমার সর্দারী থাকে না বিধায় বিরোধীতা করি “। ঠিক তেমনি বিশ্বের অনেকেই জানে চরমোনাইর পীর সাহেব হুজুর ও তার সংগঠনগুলো পুরোপুরি হকের উপরই রয়েছে। কিন্তু মানে না আবু জাহেলের মতই সর্দারী ছুটে যাওয়ার ভয়ে। হক্কানী আলেম ওলামাদের দৃঢ় বিশ্বাস এদেশে একদিন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন :