শিরোনাম

পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে ভারত নির্ভর আমদানি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণ করতে হলে ভারত নির্ভর আমদানি নীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। পেঁয়াজের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হলে আমাদের নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে হবে।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের ব্যবসায়ীরা সহায়তা করছেন। আমদানিকারকরা যে দামে পেঁয়াজ কিনছেন সে দামেই টিসিবিকে পেঁয়াজ দিচ্ছেন। ফলে টিসিবি ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছে। বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। ব্যবসায়ীরা আমাদের বন্ধু মানুষ, তারা সহযোগিতা করছেন। ধরপাকড় করে নিত্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমরা সবাইকে আপন করে নিয়ে পেঁয়াজ সমস্যার সমাধান করব।

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এখন থেকেই নানা রকম পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা আমদানিকারক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ভোক্তা, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করব। সেখানে রমজানে যাতে ভোজ্য তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকে- সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এতদিন আমাদের ভারত নির্ভরতা ছিল। এখন মিশর, আজারবাইজান, কাজাকিস্থান থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। পৃথিবীর সব দেশ থেকেই টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে সরকার সচেষ্ট থাকবে।

তিনি বলেন, আকষ্মিকভাবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়ে ভারত আমাদের উপকারই করেছে। দেশটি গরু রফতানি বন্ধ করার ফলে আমাদের দেশে গরু লালন-পালন বেড়েছে। এখন ঈদের সময়ও আমাদের ভারতের গরুর প্রয়োজন হয় না। একইভাবে আমাদের কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ালে আশা করি দু’বছরের মধ্যে আমরা পেঁয়াজ আমদানি নয় রফতানিও করতে পারব।

একই সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কবে কমে আসবে- তা বলা মুশকিল। পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত না হলে ডিসেম্বর শেষ সপ্তাহ নাগাদ দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিসর, আজারবাইজান, পাকিস্তান ও উজবেকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এলসি খোলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন :