শিরোনাম

শিক্ষিত তরুণ শ্রেণীকে প্রার্থীর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: গাজী আতাউর রহমান

 

 ওলামা কন্ঠ ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলনের টার্গেট ৪২০০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ৩৮০০০ ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী; শিক্ষিত এবং তরুণ শ্রেণীকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার

এবার চরমোনাই’র মাহফিলে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও সমর্থকদের জন্য মুহতারাম আমীরের তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা ছিল, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আন্দোলনের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত। গতবছর ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচন পরবর্তী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় আগামী সিটি কর্পোরেশনসমুহের নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কিছুটা সংশয় ছিল। মুহতারাম আমীরের ঘোষণার মধ্য দিয়ে চলমান সংশয় কেটে গেল।

গতবারই প্রথম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ভাবে প্রার্থী দেয়। গতবার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় সারাদেশে প্রায় ১০০০ ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়া হয়। এবার আমাদের পরিকল্পনা সারাদেশে ৪ হাজার ২০০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ৩৮ হাজার ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী দেয়া।

একটি গণমুখী রাজনৈতিক দলে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায় থেকেই তৃণমূলের প্রকৃত নেতৃত্ব তৈরি হয়। তারাই থাকেন গণমানুষের সবচেয়ে কাছাকাছি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাংগঠনিক নেটের আওতায় যে ৫০ হাজার তৃণমূল নেতা তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়।

আশাকরি আন্দোলনের মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল জেলা, উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়ন শাখাগুলো এখন থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। সকল পর্যায়ে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দকে ঊর্ধ্বতন শাখার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। শিক্ষিত এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ শ্রেণীকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সংগঠনের সিদ্ধান্ত ছাড়া প্রার্থী হিসাবে কেউ প্রচারণা চালাতে পারবে না। মুহতারাম আমীরের ঘোষণার পর আমাদের প্রত্যাশা, তৃণমূলের সকল শাখা নতুনভাবে উজ্জীবিত হবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন :