শিরোনাম

আমার কৈফিয়ত, প্রসঙ্গ জিরি মাদরাসায় শিক্ষকতা: ড. আফম খালেদ হোসেন

নিজস্বপ্রতিবেদক:

বিগত ৩/৪ দিন ধরে ফেসবুকে একটি বিষয় ভাইরাল হয়ে গেছে যে, আমাকে চট্টগ্রামের অন্যতম প্রাচীন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জিরি মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কে প্রথম ফেসবুকে এটা ছড়ালো আমি জানি না। মুহূর্তে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়া থাকা আমার অসংখ্য ভক্ত, অনুরক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আনন্দিতচিত্তে শেয়ার করতে থাকেন। অনেকে ফেসবুকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, অনেকে আবার মোবাইল করে আমার মতামত জেনে নিচ্ছেন। যেসব আপন লোকেরা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, দোয়া করছেন, আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

ফেসবুকে যেভাবে পোস্ট ও কমেন্ট আসছে এবং শেয়ার হচ্ছে তাতে আমি বিব্রতবোধ করছি। কিছু কিছু পোস্টে বলা হচ্ছে আমাকে সিনিয়র মুহাদ্দিস/মুহাদ্দিস/লেকচারার/মুহতামিম/নায়েবে মুহতামিম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্বল্প সংখ্যক মানুষ বিতর্কও জুড়ে দিয়েছেন, তাঁরা কমেন্টে বলছেন, আমি শশুম পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি, হাদীসে আমার কোন সনদ নেই, আমি দাওরায়ে হাদীস পাশ নই, আলিয়ায় পড়েছি, কলেজে শিক্ষকতা করেছি, সহশিক্ষায় শিক্ষা দান করেছি, এতবড় মসনদে আমাকে বসানো কতটা যৌক্তিক, তাঁদের মনে প্রশ্ন জেগেছে আমি শতভাগ কওমি কি না ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব প্রশ্ন আংশিক সত্য, অাংশিক মিথ্যা। কেউ না জেনে প্রশ্ন করছেন আবার কেউ ইচ্ছাকৃত হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন।

এই অবস্থায় আমি মনে করি আমার কৈফিয়ত দেয়া দরকার এবং বাস্তব ঘটনা ব্যাখ্যা করা দরকার।২০১৯ সালের শেষের দিকের ঘটনা। আমার বিশিষ্ট মুরব্বি হযরত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ) আমাকে মুহাব্বত করেন এবং আমার অজান্তে জিরি মাদরাসার মুহতামিম হযরত আল্লামা তৈয়ব সাহেবকে (রহ.) অনুরোধ করেন আমি অবসর নিয়েছি- আমাকে যেন জিরি মাদরাসায় ২/১টি সবক পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। মরহুম মুহতামিম সাহেবেরও আগ্রহ ছিল। আমার মুহতরম বাবার ইন্তেকালের পর তাঁর স্থলে আমাকে তিনি জিরি মাদরাসার মজলিশে শুরার সদস্য মনোনীত করেন।

আমার বয়স ৬৪ বছর। আমি সারা জীবন শিক্ষকতা করেছি। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারী’২০ কলেজ থেকে অবসর নেয়ার পর আমি চিন্তা করেছি, কোথাও আর শিক্ষকতা করবো না। ওয়ায নসীহত, ইমামতি, লেখালেখি ও কিতাব মুতালায়ায় জীবনের বাকি সময় কাটাবো।আমার আর প্রাপ্তির প্রত্যাশা নেই। আল্লাহ তায়ালা যে নিয়ামত দান করেছেন, আলিম ওলামা, মুরব্বি ও সাধারণ মানুষের ভালবাসা পেয়েছি তার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। গ্রহণযোগ্যতা আল্লাহ তায়ালার বড় নিয়ামত।

ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ কওমি মাদরাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা জিহাদী সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ)আমাকে ওই মাদরাসার পূর্ণকালীন হাদীসের উস্তাদ হিসেবে যোগ দেয়ার অনুরোধ করেন।আমি বিনয়ের সাথে অপারগতা প্রকাশ করেছি। শেষ বয়সে চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে কোথাও যেতে মন চায় না। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানিহাটের ওবায়দিয়া কওমি মাদরাসার মুতাওয়াল্লী লন্ডন থেকে বারবার আমাকে অনুরোধ করেছেন এবং বাসায় একজন মুদাররিস পাঠিয়ে প্রস্তাব দেন, আমি যেন তাঁর মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্ব নিই এবং দাওরায়ে হাদীসে ২/১টি সবক পড়াই। আমি বিনয়সহকারে তাঁকে বুঝিয়ে বলি এই বয়সে চট্টগ্রাম শহর থেকে কেরানীহাটে গিয়ে মুহতামিমের দায়িত্ব পালন এবং দরস প্রদান আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

জিরি মাদরাসা যেহেতু শহরের নিকটে এবং প্রাচীন মাদরাসা। আল্লাহর ওলীদের পদভারে ধন্য। মুরব্বিদের আগ্রহ থাকায় আমি সপ্তাহে ২/১ দিন ২/১টি সবক পড়াতে সম্মতি জ্ঞাপন করি। বলা যায়- অতিথি শিক্ষক বা খণ্ডকালীন শিক্ষক। জীবনের শেষ সময়ে একটি দ্বীনি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাথে ইলমী মুযাকারাতে কাটানো বরকতময় মনে করেছি। আমি মাদরাসার বর্তমান মুহতামিম মুহতরম জনাব মাওলানা খোবাইব সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ)কে জানিয়ে দিয়েছি- মাদরাসা থেকে কোন বেতন ভাতা গ্রহণ করবো না। আমার নামে যে পারিশ্রমিক ধার্য করা হবে, প্রতিমাসে তা মাদরাসার এতিমদের ফাণ্ডে চলে যাবে। ওয়াযের মওসূমে আমার পক্ষে মাদরাসায় আসা সম্ভব হবে না। দেশের ভেতরে ও দেশের বাইরে আমার দাওয়াতী প্রোগ্রাম থাকে। যে কিতাব যার নামে বরাদ্দ, তিনি সে কিতাবের দরস দেবেন। আমি কেবলমাত্র একটি বা দু’টি নির্বাচিত অংশ ছাত্রদের সাথে তাকরার করবো। আপনারা যে কিতাব ভাল মনে করেন, দিতে পারবেন।

সম্প্রতি মাদরাসার শিক্ষকদের মজলিশে আমার প্রসঙ্গটি উঠে এবং সিনিয়র উস্তাদগণ আমার নামে কিতাবের নির্বাচিত অংশ বরাদ্দ করেন। এটাই মূল কথা। হাদীসের মসনদে বসানোর মত কোন ব্যাপার এখানে নেই। মসনদের মানুষ মসনদে আসীন আছেন।আমি একজন কম ইলম, গোনাহগার ও সাধারণ মানুষ মাত্র। আল্লাহ তায়ালার অফুরন্ত রহমত ও মুরব্বিদের দোয়া ও আস্থা আমার পাথেয়।

আমি সকলের অবগতির জন্য কিছু কথা জানানো প্রয়োজন মনে করছি।
১. আমি হানাফী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী এবং দেওবন্দী মাসলাকে বিশ্বাসী।

২. ১৯৬৯-১৯৭১ এই সময়ে পটিয়া আল জামিয়া ইসলামিয়ায় পড়ালেখা করেছি। বুনিয়াদী কিতাবগুলো ওখানে পড়েছি। হযরত মাওলানা আমিনুল হক সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ), হযরত মাওলানা আবদুল মান্নান সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ), হযরত মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ) ও হযরত মাওলানা কলিমুল্লাহ সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ)ছাড়া বাকি উস্তাদগণ জান্নাতবাসী।

৩. আমি ১৯৭১ ও ১৯৭৩ সালে সাতকানিয়া আলিয়া মাহমুদুল উলুম মাদরাসা হতে যথাক্রমে আলিম ও ফাযিল পাশ করেছি প্রথম বিভাগে। মিশকাত, জালালাইন, হিদায়া, শরহে আকায়েদ, ছিরাজী, সাবাআ মুয়াল্লাকা, আরবি আদব ও ইনশা, সামনাসামনি বসে অধ্যয়ন করেছি আমার মুহতরম উস্তাদ হযরত আল্লামা মুফতি আবদুল হালিম বোখারী সাহেব(হাফিযাহুল্লাহ)পটিয়া, পটিয়া ও জিরির শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসহাক কানাইমাদারী (রহ.)ফাযিলে দেওবন্দ, মাওলানা আহমদ কবির সাহেব (রহ.)ফাযিলে হাটহাজারী, মাওলানা আবদুচ্ছালাম সাহেব (রহ.)ফাযিলে দেওবন্দ, মাওলানা নছিম সাহেব (রহ.)ফাযিলে হাটহাজারী, মাওলানা বদরুল আলম (রহ.)জিরি, মাওলানা মুফতি ছিদ্দিক আহমদ সাহেব(রহ.)ফাযিলে দেওবন্দ, মাওলানা আবদুর রহমান সাহেব(হাফিযাহুল্লাহ)ফাযিলে হাটহাজারী, আল্লামা ফযলুল্লাহ সাহেব(রহ.)ফাযিলে সাহারানপূর, মাওলানা আমিন সাহেব(রহ.)ফাযিলে দেওবন্দ এবং আরো অনেকের কাছে।

৪. ১৯৭৩-১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম চন্দনপূরা দারুল উলূমে হাদীস অধ্যয়ন করেছি। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা বোর্ড থেকে হাদীসে কামিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছি। হাকিমুল উম্মত আল্লামা আশরাফ আলী থানভী (রহ.)-এর বাইয়াত গ্রহণকারী হযরত আল্লামা মুহাম্মদ আমিন সাহেব (রহ.)স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত-এর কাছে বোখারী শরিফ, মাওলানা মতিউর রহমান নিযামী (রহ.)-এর কাছে মুসলিম শরিফ, মাওলানা ইসমাইল আরাকানী কাছেমী ফাযিলে দেওবন্দ (রহ.)-এর কাছে তিরমিযি শরিফ, মাওলানা নাওয়াব হাসান কাছেমি ফাযিলে দেওবন্দ (রহ.)-এর কাছে আবু দাউদ শরিফ পড়েছি। নাসাঈ, ইবনে মাজা, শামায়েলও বিদগ্ধ মুহাদ্দিসদের কাছে পড়েছি।

৫. ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারীখে ইসলাম ওয়াস সাকাফাহ বিষয়ে বিএ (অনার্স) ও ১৯৮৩ সালে একই বিষয়ে এমএ পাশ করেছি কৃতিত্বের সাথে।

৬. ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ নিয়ে হাদীসে রাসূল (সা.)-এর ওপর পিএইচডি করেছি।

৭. আমি সাতকানিয়া আলিয়া মাহমুদুল উলুম মাদরাসায় প্রায় ৬ বছর আরবী ও ইসলামিয়াতের শিক্ষক ছিলাম।

৮. আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী (রহ.)এর আমলে পটিয়া আল জামিয়া ইসলামিয়ায় দাওরায়ে হাদীসে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২বছর ব্যাপী বাংলা ও গবেষণা বিভাগে তারীখে ইসলাম ও আরবী-উর্দূ ইনশা তরজমা বিষয়ে সবক পড়িয়েছি প্রায় ৫ বছর।

৯. এক বছর হযরত আল্লামা সুলতান যওক নদভী সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ)এর হুকুমে চট্টগ্রাম দারুল মাআরিফে ‘ওসিলাতুল ই’লাম’ বিষয়ে দরস দিয়েছি।

১০. ২৬ বছর চট্টগ্রাম এম.ই.এস কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও ইসলামী তাহযিব বিষয়ে শিক্ষকতা করেছি। বেশ কিছুদিন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে অনার্স ও মাস্টার্সে ক্লাশ নিয়েছি।

১১. চট্টগ্রাম নানুপূর ওবায়দিয়া মাদরাসার প্রধান পরিচালক হযরত শাহ সূফী মাওলানা যমিরুদ্দিন নানুপুরী (রহ.) আমাকে চার তরিকার ইজাযত দান করেন এবং মাদরাসার শুরার সদস্য মনোনীত করেন।তাঁর ইন্তেকালের পর হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ)এর দিকে রুজু করি এবং তিনি আমাকে চার তরিকার সবক প্রদান করেন।

১১. আমার মুহতরম উস্তাদ হযরত আল্লামা মুফতি আবদুল হালিম বোখারী সাহেব(হাফিযাহুল্লাহ)এর হুকুমে ১২ বছর যাবত পটিয়া আল জামিয়া আল ইসলামিয়া থেকে প্রকাশিত মাসিক ‘আত-তাওহীদ’ এর সম্পাদক এবং সাময়িকী ‘বালাগুশ শারক’-এর সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।

১২. ২০০৭ সালে ভারত সফরকালে দারুল উলুম দেওবন্দের ছাত্রগণ একটি মিলনায়তনে আমাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করে এবং আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে ১ ঘন্টা বক্তব্য রাখি।

১৩. হযরত থানভী (রহ.)এর জীবনীগ্রন্থ, আল্লামা কারী তৈয়ব সাহেব (রহ.)লিখিত ‘মাসলাকে ওলামায়ে দেওবন্দ’ তরজমা করেছি। কওমি মাদরাসা ও শিক্ষা নিয়ে প্রতিপক্ষের বিভিন্ন চক্রান্তের জবাবে প্রচুর নিবন্ধ ও বই লিখেছি, ভিডিও রয়েছে যা বাজারে পাওয়া যায়।

বিনয়ের সাথে একটি প্রশ্ন করতে চাই।
আলিয়া মাদরাসায় পড়লে কী কওমি মাদরাসায় পড়ানো যায় না?এটা কী হারাম?ফেসবুকে ট্রলবাজি করা কোন ধরনের সওয়াবের কাজ? আলিয়ার ফারেগীনরা কওমি মাদরাসায় আবার কওমির ফারেগীনরা আলিয়া মাদরাসায় পড়ানোর নজির একটি নয়, ভুরিভুরি। চন্দনাইশের হযরত মাওলানা হাফেয আবদুল মান্নান সাহেব (রহ.) সরকারী মাদরাসা থেকে কামিল ডিগ্রী নিয়ে পটিয়া আল জামিয়া ইসলামিয়ায় হাদীস পড়িয়েছেন বহুদিন। আলিয়া মাদরাসা থেকে ফারিগ বিখ্যাত ওয়ায়েয হযরত আল্লামা মুস্তফা আল হোসাইনী সাহেব (রহ) দীর্ঘদিন ঢাকার জামিয়া কারিমিয়া ও নোয়াখালীর জামিয়া ওসমানিয়ায় শায়খুল হাদীস হিসেবে আমৃত্যু খিদমত করেন। ঢাকা সরকারী আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস ও বায়তুল মুকাররমের খতিব হযরত আল্লামা আমিমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বারাকাতি (রহ.)লিখিত ‘কাওয়াইদুল ফিকহ’ দারুল ইলূম দেওবন্দে ইফতা বিভাগে পাঠ্যভূক্ত। মূল কথা হলো আকিদাগত ও চিন্তাচেতনাগত কোন বিরোধ বা সমস্যা না থাকলে কওমি-আলিয়ার ফারেগিনরা একে অপরের মাদরাসায় শিক্ষাদান করতে কোন বাধা নেই।

আমার এই ব্যাখ্যার ফলে অনেকের ভুল ধারণা তিরোহিত হবে, আর যারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, তাঁদের কোন চিকিৎসা নেই। সারা বছরই সবক পড়াই, হাদীস পড়াই, তাফসীর পড়াই মাঠে ময়দানে ও মসজিদে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, কাতার, বাহারাইন, আরব আমিরাত, ভারত, পাকিস্তান ও মদীনায় ওয়ায করেছি এবং কুরআন-হাদীসের তাফসীর ও তাশরীহ করেছি। আজ থেকে ২৫ বছর আগে আমি যখন ওয়ায শুরু করি একশ্রেণীর মানুষ একইভাবে ঘৃণা ও হিংসা ছড়াতো। আমি কিন্তু দমিনি।এখন তো সময়ের অভাবে দাওয়াত কবুল করা সম্ভব হয় না। আমাকে যারা মুহাব্বত করেন, পছন্দ করেন তাঁদের বলে রাখি, আমি দ্বীনের খিদমত করে যাবো আমৃত্যু ইনশাআল্লাহ। বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠানে সবক পড়ানো বা না পড়ানো বড় নয়। আমার খিদমতের পরিধি বিস্তৃত। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা আমাকে প্রেরণা যোগাবে। আল্লাহ তায়ালার রিযামন্দী হাসিলই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য, আমিন।
হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এই হাদীস যেন ভুলে না যাই-
وَاعْلَمْ أَنَّ الْأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أَنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ لَكَ وَلَوْ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضُرُّوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ

নিউজটি শেয়ার করুন :