শিরোনাম

জনগণকে কষ্ট দিয়ে হাউজিং ব্যবসা করা যাবে না -মেয়র ঢাকা উত্তর

জনগণকে কষ্ট দিয়ে হাউজিং ব্যবসা করা যাবে না, নিয়মনীতি মেনেই ব্যবসা করতে হবে। হাউজিংয়ের মাটি ভরাটের কারণে অনেক রাস্তা নষ্ট ও খাল ভরাট হয়ে গেছে। হাউজিং কোম্পানিগুলো আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাস্তা পরিষ্কার করে না দিলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ইতোমধ্যে বর্ধিত মহানগরীর নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক, অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়নে প্রায় ৪ হাজার ২৬ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান করা হবে, ডিএনসিসির নতুন অঞ্চলগুলোয় হবে নব দিগন্তের সূচনা।

সোমবার ২৮ জুন’২১ গুলশানের নগর ভবনে ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, জনগণকে কষ্ট দিয়ে হাউজিং ব্যবসা করা যাবে না, নিয়মনীতি মেনেই ব্যবসা করতে হবে। হাউজিংয়ের মাটি ভরাটের কারণে অনেক রাস্তা নষ্ট ও খাল ভরাট হয়ে গেছে। হাউজিং কোম্পানিগুলো আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাস্তা পরিষ্কার করে না দিলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ১ জুন ঢাকায় প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরবাসীকে জলজট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। নতুন ও পুরাতন উভয় অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই সাধারণ ও সংরক্ষিত মোট ৭২ জন কাউন্সিলরের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে থোক বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে। অন্যান্য বছর সামান্য বৃষ্টিতেই ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ডুবে যেতো, জলজটে নগরবাসীকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু এবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতেও নগরবাসীকে জলজট সমস্যায় আগের মতো ভুগতে হচ্ছে না।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর এম সাইদুর রহমান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন :