আমানত উল্যাহ,রামগতি (লক্ষ্মীপুর)
কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছেনা লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে বলে ঘোষণা দেন বিদ্যুৎ বিভাগ। অথচ বিতরণকারী কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা করছে লোডশেডিংয়ের। এ যেন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, শিল্প-কারখানাগুলো পঙ্গু করে দিয়ে চক্রটি মূলত সরকারের বিরুদ্ধে মরণ খেলায় মেতে উঠেছে । তাদের ভাষ্য,সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি দেশব্যাপী বিদ্যুতের সাব স্টেশনগুলোও আপগ্রেড করছে।
প্রতিটি প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এর সুফল ঘরে তুলেতে পারছে না বিদ্যুত বিতরণকারী কোম্পানিগুলোর দুর্নীতি, লুটপাট আর ষড়যন্ত্রের কারণে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা পল্লী বিদ্যুতের বিভিন্ন সমিতিতে। তাদের খামখেয়ালিপনা আর গোপন চুক্তির কারনে পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকলেও লোডশেডিং ঠিকই হচ্ছে।এই অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন গ্রামের ক্ষুদ্র,মাঝারি ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা।
জানা গেছে রাজধানী ঢাকা সহ বিভাগীয় শহরগুলোতে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি কিছুটা কম থাকলেও ভয়াবহ অবস্থা গ্রামে-গঞ্জে।
বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি-কমলনগর উপজেলায় এই ষড়যন্ত্র মারাত্মক আকার ধারন করছে। প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ বার করে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি চলছে।আর নামাজের সময় হলেই এই ষড়যন্ত্রের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। তখন লোডশেডিংয়ের প্রতিযোগিতায় নামে সংশ্লিষ্টরা। তাদের খামখেয়ালিপনায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশের লাখ লাখ শিল্প কলকারখানা। বিদ্যুত বিভাগের ধ্বংসাত্মক প্রতিযোগিতায় নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে দেশের শিল্প-কলকারখানা ও গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং নিয়ে গ্রহকরা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে নানা মন্তব্য আর সমালোচনা করতে দেখা গেছে ফেসবুক সহ সোশাল মিডিয়াতে।
সাধারণ গ্রাহকরা নানা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা গেছে সোসাল মিডিয়াতে।খোজ নিয়ে জানাযায়,বিদ্যুত সরবরাহ মূলত জেলার রামগন্জ উপজেলা থেকে হয়। ঐ খানের কিছু অসাধু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কারনেই এই লোডশেডিং চলে। সেখানে বসেই তারা বিদ্যুত বিতরণের নামে কলাকৌশল ঠিক করে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে গোপন চুক্তিতে নিয়মিত বিদ্যুত সরবরাহ করতে গিয়ে লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে গোপন সুত্রে জানা গেছে।এতে চরাঞ্চল ও নদী ভাংগা এলাকা বলে রামগতি-কমলনগর উপজেলায় বিদ্যুত বিতরণে নয়ছয় করা হচ্ছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ বার লোডশেডিংয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত বিহীন থাকতে হচ্ছে রামগতি-কমলনগর উপজেলা।
এতে সরকার ও বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। পল্লী বিদ্যুত সমিতি রামগতি জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ রেজাউল করিম নিজেও বিরক্তি প্রকাশ করে এর জন্য লক্ষ্মীপুর ও রামগন্জের বিদ্যুত বিভাগকে দায়ী করেন। তিনি বলেন প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ বার করে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। এর জন্য দায়ী মুলত বিদ্যুত বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।তাদের অবহেলা ও খামখেয়ালিপনার কারনে লোডশেডিং হচ্ছে।
এবিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করতে অনুরোধ করেন এই কর্মকর্তা নিজেই।
ক্ষ্মী্ষ্ম্ষ্মী্ষ্্ষ্মী্ষ্ম্ষ্মী্ষ