রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী আবু সালেহ মোঃ আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চর হাসান হোসেন এলাকার মোঃ হোসেনের ছেলে মোঃ আলমগীর বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সমাজ কল্যান মন্রণালয়ের পরিচালক প্রশাসন অর্থ সচিব বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,আব্দুল হায় রামগতি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে,এই সুবাদে তিনি একটি নারী সমিতি থেকে লোন নিয়ে ঐ লোন পরিশোধ করেনি।লোনের টাকা চাইলে তিনি উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।অভিযোগ কারী আলমগীরের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ঐ নারী সমিতির(মাতৃত্বকেন্দ্রের)সভানেত্রী। অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, সমাজ সেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী আবু সালেহ মোঃ আব্দুল হাইয়ের বাড়ী লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর এলাকায়।
সে রামগতির সমাজ সেবা অফিসে প্রায় ১৬ বছর ধরে চাকুরী করে ঐ অফিসে একটা রামরাজত্ব কায়েম করে রাখেন । প্রভাব বিস্তার করে সাধারণ মানুষ কে মানুষ হিসেবে মুল্যায়ন করেনা আব্দুল হায়। তার আচার আচারন খুবই খারাপ।এছাড়া টাকার বিনিময় নামে-বেনামে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার নাম বসিয়ে সমাজ সেবা অফিস কে জিম্মি করে রাখেন।অনেকের স্বামী থাকার পরেও আব্দুল হায় টাকার বিনিময় বিধবা ভাতার নাম বসাতে গিয়ে ধরা পড়েন।
এমন অভিযোগ অহরহ এই কর্মীর বিরুদ্ধে। তার নানা দুর্নীতি অনিয়ম স্বেচ্ছাসারিতা আর নোংরা আচারনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সেবা প্রার্থীরা।সুত্র আরো জানায় এই সমাজ কর্মী একসময়ে বশিকপুর এলাকায় সক্রিয় শিবির ক্যাডার হিসেবে দাপট নিয়ে চলাফিরা করতেন।পরে নানা তদবীরে রামগতি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী হিসেবে চাকুরী হয় তার। এই পদের অপব্যবহার করে সে নানা অনিয়ম করে বেড়ালেও কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান ধরেন।সেবা প্রার্থীরা তার শাস্তি মুলক বদলী দাবী করেন।
তবে এ সব অভিযোগ অশিকার করে অভিযুক্ত আবু সালেহ মোঃ আব্দুল হাই বলেন আমি কি করি তা আমার ডিপার্টমেন্ট দেখে।আমি এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত নয়।
রামগতি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মাসুদের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল মোমিন জানান এই ধরনের অভিযোগে কেউ অভিযুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।