আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি ঃ- আল্পনা (১০) নামে এক গৃহকর্মী ঢাকার বনশ্রীতে এক বাসায় কাজ করতো। কিন্তু গৃহকর্তার নির্যাতন সইতে না পেরে গত রবিবার সে বাসা থেকে বের হয়ে ভুলে বাসে করে লৌহজংয়ের মাওয়ায় চলে আসে।
এদিন রাতে লৌহজং থানার এসআই তাহেরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম পাহারা দিচ্ছিল। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় ভুক্তভোগী কিশোরী আল্পনাকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখতে পায় পুলিশ। তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে সে শুধু তার নিজের নাম গ্রামের নাম কুঠিবাড়ি শ্যামপুর বলে। কিন্তু থানা ও জেলার নাম বলতে পারেনি। সে তখন জানায়, ঢাকায় একটি বাসায় সে গৃহকর্মীর কাজ করতো। গৃহের মালিক খারাপ ব্যবহারসহ তাকে মারধর করার কারণে সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় আল্পনা।
ঘটনা জানার পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে থানায় নিয়ে আসে। এরপরে লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন গৃহকর্মী আল্পনার নাম-ঠিকানা যাচাই করার জন্য গুগলে সার্চ করেন। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় উক্ত গ্রামের সন্ধান পাওয়া যায়। নাগেশ্বরী থানা পুলিশ আল্পনার গ্রামে গিয়ে তার মা-বাবার সন্ধান পান। এরপর লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইনের মোবাইল ফোনে ফোন করে আল্পনার সাথে তার মা-বাবার কথা বলিয়ে দেন।
শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লৌহজং থানায় এসে আল্পনাকে তার মা-বাবা নিয়ে গেছে। এ সময় আল্পনা তার মা-বাবাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। আল্পনার দরিদ্র বাবা-মা লৌহজং থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, দরিদ্র ও নির্যাতিত কিশোরী তার মা-বাবাকে ফিরে সাহায্য করতে পেরে আমাদেরও খুব ভালো লাগছে।