শিরোনাম

[১] জামায়াতের মিশন সফল: সরকার-হেফাজতকে মুখোমুখী, চরমোনাইকে বিতর্কের পায়তারা: কে. এম. নূহু হোসাইন

[প্রথম পর্ব]
(প্রথমে জামায়াতের ইতিহাস-৭৯/৮০বছর’র কার্যকলাপ সম্বন্ধে জানতে হবে) ব্রিটিশ ভারত (১৯৪১-১৯৪৭)-পাকিস্তান সময়কাল (১৯৪৮-১৯৭১):

ব্রিটিশ ভারত (১৯৪১-১৯৪৭): সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট লাহোরের ইসলামীয়া পার্কে সামাজিক-রাজনৈতিক ইসলামী আন্দোলনের অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ নামে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। জামায়াত ভারতের মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল। জামায়াত ১৯৪৬ সালের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল মুসলিম লীগকে সমর্থন করেনি। স্বাধীনতা ও ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর মওদুদী ভারত থেকে পাকিস্তান চলে যান।

পাকিস্তান সময়কাল (১৯৪৮-১৯৭১):
পাকিস্তান সৃাষ্টির পর জামায়াতে ইসলামী ভারত ও পাকিস্তান দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের শাখা থেকে সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনাম ছিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।‌ এটি ছিল বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশে ইসলামী শরীয়া আইন বাস্তবায়ন এই দলের উদ্দেশ্য। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন-ইসলামী ছাত্র শিবিরের পূর্বেকার নাম ছিল, ইসলামী ছাত্র সংঘ। সংক্ষেপে (জামাত-শিবির) শব্দদ্বয় ব্যবহৃত হয়।

১৯৬২ সালে আইয়ুব খান প্রণিত মুসলিম পরিবার আইন অধ্যাদেশের বিরোধিতা করার কারণে ১৯৬৪ সালের ৪ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর কর্মকান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মওদুদী সহ ৬০ জন জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের ১৩ জন জামায়াত নেতা ছিলেন। অধ্যাপক গোলাম আযম তাদের একজন। ঐ বছর অক্টোবরেই আবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। জামায়াতে ইসলামী, জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক আইন ঘোষণার সময় পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৬৫ সালে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক জোট গঠিত হয়।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ প্রদত্ত ছয় দফা এবং মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঘোষিত ১১ দফার তারা তীব্র বিরোধিতা করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী পশ্চিম পাকিস্তানে ৪ টি আসন লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ডাঃ আব্দুল মালিক কে গভর্নর করে ১৭ই সেপ্টেম্বার একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়।সে সরকারের মন্ত্রী সভায় পরবর্তীকালে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

লেখক, কলামিস্ট, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও সম্পাদক: দৈনিক ওলামা কন্ঠ, চেয়ারম্যান: শাপলা টিভি।

চলবে……

নিউজটি শেয়ার করুন :