ওলামা কণ্ঠ ডেস্ক: আজ সোমবার ২৮ জুন’২১ সকাল থেকে দেখা যায়, অফিসগামীদের অনেকেই পিকআপ, ট্রাকে উঠে অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। রিকশা চালু থাকলেও চালকদের দ্বিগুণ কিংবা তারও বেশি ভাড়া চাইতে দেখা যায়। গন্তব্য এক হওয়ায় দুজন কিংবা তিনজন মিলে একটি রিকশায় উঠছিলেন, যাতে ভাড়া একটু কম লাগে। পাঠাও এবং উবারের রাইড শেয়ারিংয়ের বাইক চালু থাকলেও চালকেরা অ্যাপসের মাধ্যমে না গিয়ে চুক্তি ভিত্তিতে যাত্রী পরিবহন করছে। এতে নিজেদের ইচ্ছামতো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিতে পারছেন উবার-পাঠাওয়ের চালকেরা। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেককে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা গেছে।
গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও খোলা আছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। নিজেদের ব্যবস্থাপনায় অফিসগুলোকে তাদের কর্মী আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেক প্রতিষ্ঠানই তা করেনি। ফলে সকাল থেকে অফিসগামীদের মধ্যে ভোগান্তি দেখা গেছে।
লকডাউন ঘোষণায় বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা—এসব গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাসসহ অন্য সব ধরনের পরিবহন রাস্তায় দেখা গেছে। বড় ও প্রধান সড়কের পাশে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও পাড়ামহল্লায় প্রায় সব ধরনের দোকানপাট খোলা দেখা যায়। ছোট ছোট অনেক হোটেল–রেস্তোরাঁ এবং বিরিয়ানি ও তেহারি বিক্রির দোকানে ক্রেতাদের বসে খাবার খেতে দেখা গেছে।
মাহবুব হোসেন ফার্মগেটে ছোট একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অফিসের কর্মী বেশি না থাকায় তাঁদের অফিস থেকে কোনো স্টাফ বাস অথবা পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি বলে তিনি জানান। সকাল পৌনে নয়টার দিকে তিনি গাবতলী থেকে ফার্মগেটে রিকশায় যেতে চাইলে এক রিকশাচালক ২৫০ টাকা ভাড়া চান। ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে তিনি পায়ে হেঁটে ফার্মগেটের উদ্দেশে রওনা দেন।