শিরোনাম

এবার এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী-আলী হাসান ওসামার দ্বন্দ্ব!

বেয়াদব বে নসীব, বা-আদব বা-নসিব।

নিজস্ব প্রতিবেদ:

ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী কর্তৃক ইসলামী গবেষণা পরিষদ বাংলাদেশের পেজ থেকে হুবাহু দর্শকের জন্য পেশ করা হল। আলী হাসান ওসামার একটি ভিডিও ক্লিপের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তাদের গবেষণা পেইজে প্রতিবাদ জানান

আলী হাসান ওসামা সাহেব!  আপনি যখন মক্তবে লেখাপড়া করেন তখন থেকে শায়খুল হাদিস ডঃ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী সমগ্র বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। তার বক্তব্য নিয়ে কোনদিন কোন ওলামায়ে কেরাম বলেন নি যে, তার এই বক্তব্যটি গ্রহণযোগ্য নয়। যেমনটি আমরা কিছু কিছু বক্তার ক্ষেত্রে দেখেছি তওবাতুন নাসুহার নামে কি ধরনের কল্পকাহিনী স্টেজের মধ্যে বলে বেরিয়েছেন।

আমি মনে করি, ডক্টর এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব যথেষ্ট পরিমাণ কোরআন এবং হাদিস নিয়ে গবেষণা করেন। তাই তার বক্তব্যের মধ্যে গাল-গল্প কোন বর্ণনা পাবেন না। অতএব, তার মত একজন বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ আলেম মওজু হাদিসকে সমর্থন করবেন, এটা একজন পাগলও বিশ্বাস করবে না।

আপনি হুজুরের বয়ানটি ভাল করে শুনেননি। যদি শুনতেন তাহলে আপনি এমন বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলতে পারতেন না। মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে হুজুর কিন্তু “মওজু বা জাল হাদিস এর হুকুম কি ” সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আপনি তার এই বক্তব্যটি বাদ দিয়ে চরম পর্যায়ের খেয়ানত করেছেন।

আর আমরা তো আপনাকে দেখেছি, বিগত কয়েক মাস আগেও আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা আব্বাসী হুজুরের দরবারে এসে বসে থাকতেন। হুজুরের সাথে সাক্ষাতের জন্য আপনি কয়েকবার এসেছেন। অতএব আপনার যদি কোন বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই থাকে, তাহলে আপনি হুজুরের কাছে এসে সেই বিষয়টি আলোচনা করলেই পারতেন। এভাবে স্টেজে বসে হুজুরের বিষয়ে আলোচনা করাটা আমি মনে করি চরম পর্যায়ের বেয়াদবি করেছেন।

কেননা, আপনি হুজুরের ছাত্রের ছাত্রের পর্যায়ে। আর এ বিষয়টি আপনি নিজেও স্বীকার করবেন। হুজুরের পাশে বসে হুজুরকে “শায়েখ – শায়েখ” বলে সম্মোধন করেছেন বহুবার। হুজুর আপনার থেকে সর্বদিক থেকে বড়। আর বড়দের ব্যাপারে এভাবে কথা বলাটা বেয়াদবির পর্যায়ে পরে। পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই,
বেয়াদব বে নসীব, বা-আদব বা-নসিব।

প্রসঙ্গিক রবিউল আউয়াল মাসের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নিয়ে, আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ও আলি হাসান ওসামার ফতুয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও পূর্বে চরমোনাইয়ের মুফতি ফয়জুল করীম, শায়েখ চরমোনাইর নির্বাচন-গণতন্ত্র ও শ্রেষ্ঠ জিহাদ নিয়ে একটি বক্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে, তারা উভয়েই ঐক্যমত পোষণ করেছিলেন। যেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ঠিক কয়েকদিন পরেই নারায়ণগঞ্জের এক মাহফিলে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ও আলী হাসান অসামা এক স্টেজে বয়ান করেছিলেন।

Mufti Baratul Islam (মুফতি বারাতুল ইসলাম) গবেষক, ইসলামী গবেষণা পরিষদ বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন :