আন্তর্জাতিক ডেস্ক নিউজ : সাইফুদ্দিন রহমতুল্লাহ
বাংলাদেশকে ভারতের সামরিক বাহিনীর অাগ্রাসনের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে দখল করবে, স্বাধীনতার পর হতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গোপনে চুক্তি ও লেনদেন করে, মনে রাখবেন এটা ভুটান, সিকীম, মায়ানমার নয়, এটা বাংলাদেশ,, ৭১ সালে হানাদার বাহিনীর , ২৪ সালে র এর গোয়েন্দা বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশ হতে পালিয়েছে,এভাবেই হাজারো অভিযান নামে ষড়যন্ত্র রুখে দিবে।
যে কারণে বাংলাদেশে সেনা অভিযান হবে ভারতের জন্য দুঃস্বপ্ন। আমাদের ঘুম হারাম করার জন্য চলছে গোপনে ভারত ভয়ংকর নতুন আগ্রাসনে প্রস্তুতি টার্গেট বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী যদি প্রতিরোধ করতে সক্ষম না হন চাকুরী ছেড়ে দিন
সবাই সর্তক হোন।
ইউনূস সরকার যুদ্ধ লাগাতে চাইছে। বিএসএফ অত্যন্ত ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিচ্ছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কয়েক দিন তো দূরের কথা, কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ সময় ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানান তিনি।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে হিন্দু সম্মিলিত সংঘের ডাকে এক অনুষ্ঠানে এসে স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিনি একথা জানান।
এতদিন শুভেন্দু আওয়ামী লীগের সুরে কথা বললেও এবার সুর বদলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ক্রমাগত আক্রমণের জন্য এবার ইউনূস সরকারের পাশাপাশি শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকেকেও সমান অভিযুক্ত করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, শুধু মোহাম্মদ ইউনূস সরকার নয় এর আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন খালেদা জিয়াও সমানভাবে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের জন্য দোষী। বাংলাদেশে অনেকদিন ধরেই হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয়েছে।
শুভেন্দু বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে মাত্র ৭ শতাংশ হিন্দু বাংলাদেশে রয়ে গেছে। তাদেরকে বাঁচানোর জন্য একটা বড় স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ সময় এক কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলাদেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং সনাতনী ধর্মের রীতি নীতি রক্ষার দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, আলোচনায় যে দাবিগুলো রাখা হয়েছে তার মধ্যে প্রথম দাবিই হল ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা।
মূলত, বাংলাদেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘু হিন্দুদের সামাজিক,রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়াতে ভারতজুড়ে কোটি মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী
ভারত বাংলাদেশ দখলে আসলে কোন কোন দেশ এগিয়ে আসবে?
যদি ভারত কখনও বাংলাদেশ আক্রমণ করে অথবা দখল করতে আসে, তবে এটি বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত বিষয়ের উপর নির্ভর করবে যে, কোন দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে। নিচে বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সমর্থনের একটি বিশ্লেষণ দেওয়া হল
১. চীন
চীন বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থনৈতিক ও সামরিক বিনিয়োগ করেছে, যেমন পদ্মা সেতু এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে। কৌশলগতভাবে, বাংলাদেশকে সমর্থন করলে চীন দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবিলা করতে পারবে। জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক ফোরামে কূটনৈতিক সমর্থন, আর্থিক সাহায্য, এবং সম্ভাব্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ।
২. পাকিস্তান
ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে পাকিস্তান বাংলাদেশকে সমর্থন করতে পারে, যাতে ভারতের কৌশলগত অবস্থান দুর্বল হয়। যদিও পাকিস্তানের সম্পদ সীমিত, তবে তারা প্রতীকী সমর্থন বা সামরিক পরামর্শ দিতে পারে। কূটনৈতিক সমর্থন এবং সীমিত সামরিক সহায়তা, তাদের সক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
৩. মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ
সৌদি আরব, কাতার এবং তুরস্কের মতো দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা বাংলাদেশি কর্মীদের একটি বড় অংশ নিয়োগ করে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন করতে পারে সম্পর্ক আরও জোরদার করার সুযোগ হিসেবে। আর্থিক সাহায্য, আন্তর্জাতিক লবিং,
৪. জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
যেকোনো আক্রমণকে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখবে। জাতিসংঘ এবং বড় শক্তিগুলো শান্তির জন্য চাপ দেবে এবং দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করবে। ভারতের উপর কূটনৈতিক চাপ, নিষেধাজ্ঞা আরোপ, এবং বাংলাদেশের জন্য মানবিক সহায়তা।
৫. অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তি (রাশিয়া, জাপান ইত্যাদি)
ঐতিহাসিকভাবে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, তবে রাশিয়া নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে পারে। তবে ভারতে অতিরিক্ত আধিপত্য দেখলে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে পারে। বাংলাদেশে জাপানের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে এবং তারা কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দিতে পারে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান উৎসাহিত করবে।
৬. আসিয়ান দেশসমূহ
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আসিয়ান দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো নৈতিক বা কূটনৈতিক সমর্থন দিতে পারে। আন্তর্জাতিক ফোরামে সমর্থন এবং সম্ভবত মধ্যস্থতার চেষ্টা।
৭. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শক্তি
বিদেশি সমর্থন ছাড়াও, বাংলাদেশের নিজের কয়েকটি শক্তি রয়েছে যা তাকে এগিয়ে রাখবে:
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের অন্যতম বৃহত্তম অবদানকারী হিসেবে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিভিন্ন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ।
যেকোনো আক্রমণ দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে, যা দীর্ঘমেয়াদী দখল কঠিন করে তুলবে। নদী, জলাভূমি এবং ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল যেকোনো আক্রমণকারী বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
ভারত আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে উল্লেখযোগ্য প্রভাবশালী হলেও, বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া উস্কে দেবে। চীন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সমন্বিত সমর্থন বাংলাদেশের কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি বাড়াবে এবং এর সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করবে।
হে আল্লাহ আমাদের এদেশকে ভারতের আগ্রাসন হতে হেফাজত করুন, যে ভারত গত পনের বছর আমাদের দেশের হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, দেশের বিরোধী দলের হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, তারা এদেশকে আক্রমণ করে, চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে বাংলাদেশ কে ধংসের চেষ্টা চালাচ্ছে, ভারতের মুদি, র গোয়েন্দাদের, আওয়ামী লীগের দালাল চক্রের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করছে তাদের ভয়াবহ ধংস যজ্ঞ হতে এদেশকে জাতিকে, মাটিকে সারভভৌমত্ব রক্ষা করুন