শিরোনাম

অবরোধ শেষে বড় ইলিশ ধরাপরছে বিশখালি নদিতে

 

এম, লুৎফর রহমান, জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি: মা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় রাত ১২টা ১মিনিটে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকেই ঝালকাঠি মাছবার সহ সকল বাজারে ইলিশের ছয়লাপ।

এত স্বল্প সময়ে বিপুল পরিমান ইলিশ কোন জায়গা থেকে এসেছে এই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। মাত্র সাড়ে ৫ঘন্টায় ইলিশের সয়লাব নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন এত ইলিশ এই স্বল্প সময়ে মোকামে আনা অবিশ্বাস্য।

সম্ভবত এই ইলিশ নিষেধাজ্ঞার সময়ই ধরা হয়েছে এবং সেগুলোই মজুদ করার পর এখন বাজারে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। পোর্ট রোডে আসা অনেক ক্রেতাই জানিয়েছেন যে ইলিশ আনা হয়েছে এগুলো বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিলো।

বাজারে যে ইলিশ রয়েছে সেগুলোর সাথে নগদ ধরে আনা ইলিশের অনেক তফাৎও রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে জানান, ‘যে ইলিশ বৃহস্পতিবার বাজারে আনা হয়েছে তা অবরোধের আগের ধরা ইলিশ।

এগুলো নগদ ধরে আনা ইলিশ নয়। আপনারা ভালো করে খোঁজ নেন সব পাবেন।’ বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজনৈতিক সুপারিশ নিয়ে জেলেরা কয়েকদিন আগে থেকেই বিশখালি, কীর্তনখোলা সহ ঝালকাঠি, বরিশালের বিভিন্ন নদী থেকে ইলিশ শিকার শুরু করে। সেই ইলিশগুলো সেসময় মজুদ করা হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বলেন, নদীতে প্রচুর মাছ থাকার কারনে জেলেদের জালে প্রচুর মাছ উঠছে। যে কারনে অল্প সময়ের মধ্যে তারা মাছ ধরে বাজারে নিয়ে আসতে পেরেছে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিলো। বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে ওঠা ইলিশের ৬ থেকে ৯শত গ্রামের পাইকারি দর মন প্রতি ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশের মন ৩০ হাজার টাকা, ১২ শত গ্রামের ওপরে ইলিশের মন ৩৫-৪০ হাজার টাকা ছিলো।

নিউজটি শেয়ার করুন :