সময়ের সাহসী সু-মহান অকুতোভয় এক অপূর্ব দ্বীনের সৈনিকের নাম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম (দাঃ)। তিনি বাতিল তথ্য পশ্চিমা শক্তি ইয়াহুদী- নাসারা কর্তৃক নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে হুুংকার দিয়ে গর্জে ওঠায় বিশ্বের তেজোদীপ্ত বাঘ হিসেবে সর্ব মহলে সুপরিচিত।
এদেশের ভন্ড- বেদাতীরা তার নাম শুনলে থাকে সদা ভীত সন্ত্রস্ত। বিভিন্ন সভা- সেমিনারে তার নামের পূর্বে ঘোষিত হয় “বাতিলের আতঙ্ক”। তার পিতার নাম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করীম (রঃ)। তিনিও বিশ্বের প্রথম শ্রেনীর কুতুব ছিলেন। বাতিলের বিরুদ্ধে তার তীব্র হুংকারে গোটা বিশ্ব থরথর করে কেঁপেছিল।
তার দাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক (রঃ)। যার জীবন কাহিনী শুনে আজও মানুষ বিগলিত, মুগ্ধ হয়। তার পূর্ব পুরুষ সুদূর ইরাক থেকে এদেশে বাঘের পিঠে চড়ে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে এসে, কিন্তু আর ফিরে যায়নি। এদেশেই হয়েছে তাদের সলিল সমাধি।
পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনে সূরতে সিরাতে পরিপূর্ণ ইসলাম কায়েমে তার সুযোগ্য পিতা আলেম – ওলামাদের পরামর্শক্রমে হাল ধরেছিলেন বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দ্বীনি সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের।
দূঃসময়ে কিংবা স্বার্থের কারণে অনেকেই দূরে সরে গেলেও তিনি তার সুযোগ্য বড় ভাই উক্ত সংগঠনের আমির এবং পীর সাহেব চরমোনাই আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম সহ তার অন্যান্য সুশিক্ষিত ভাই ও উক্ত সংগঠনের শরীয়ত-মারেফাত-ত্বরীকত এবং হাকীকতে স্বয়ংসম্পূর্ণ মুরব্বীগণ শত বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে কালিমার ঝান্ডা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন দূর্বার গতিতে।
চরমোনাইর মুরিদ ছাড়াও অসংখ্য আলেম- ওলামাদের নয়নমনি তিনি।
সমালোচকরাও বিভিন্ন সভা- সেমিনার কিংবা ওয়াজ মাহফিলে তার ভুল ধরতে এসে হয়ে যায় বাকরুদ্ধ। মৃত সাপের মতোই সোজা হয়ে ফিরে যায় গন্তব্যস্থলে। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মগ্রন্থ কোরআন মাজিদ ও আল হাদীসের সুমধুর বাণী বুকে ধারণ করে বীরের বেশেই তার প্রতিটি পদচারনা।
কয়েক বছর পূর্বে সুদূর সৌদিতে দ্বীন প্রচারে গিয়ে লা মাজহাবীদের গভীর ষড়যন্ত্রে তিনি রাজবন্দী হিসেবে গ্রেপ্তার হলেও শরীয়ত মারেফাতের সুঘ্রাণ পেয়ে সৌদি সরকার তাকে স্বব-সম্মানে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়; সকল ভাইয়ের সাথে সৌদির কর্তা ব্যক্তিদের গড়ে ওঠেছে সখ্যতা। প্রতি বছর সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হজ্জ পালনেরও সুযোগ হয়েছে। বিদায় মূহুর্তে দৈনিক ওলামা কন্ঠের পক্ষ থেকে তাকে জানাই লাখো কোটি সালাম।