শিরোনাম

(৫ম পর্ব) সময়ের সাহসী সংবাদপত্র দৈনিক ওলামা কন্ঠ: আ.স.ম আবু তালেব

 

অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর,আপোষহীন “দৈনিক ওলামা কন্ঠ”। এক ঝাঁক সাহসী সাংবাদিকদের আপ্রাণ প্রয়াসে প্রস্ফুটিত গোলাপের ন্যায় চতুর্দিকে সৌরভ ছড়াচ্ছে দৈনিক ওলামা কন্ঠ। দেশ বিদেশে তারই সৌরভে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য পাঠক। প্রতিটি আকর্ষণীয় সংবাদ পাঠ করে সকলেই বিমোহিত, মুগ্ধ।

সংবাদ সংগ্রহের নেপথ্যে রয়েছে সৎ নিষ্ঠাবান সাংবাদিকের ত্যাগ তীতিক্ষার লোমহর্ষক অব্যক্ত করূণ কাহিনী। জীবন নাশের লাগাতার হুমকি, জুলুম – নির্যাতন ও খুন হওয়ার রহস্যময় রূপ কথার ঘটনার মতোই। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগর – রুনির কথা। ক্ষমতাধর অদৃশ্য শক্তিশালীদের কালো থাবায় বলির পাঠার মতোই তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। দূঃখজনক হলেও সত্যি প্রশাসন খুনিদের আজও শাস্তি দেওয়া দূরের কথা সনাক্তও করতে পারেনি। কখনো পারবে কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই।

আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বের একটি ঘটনা। সবে মাত্র আমার সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলাস্থ মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের মাহমুদপট্টী গ্রামের ধনীর এক দুলালী প্রেম ঘটিত কারণে  একই গ্রামের হতদরিদ্র সহজ সরল এক যুবককে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। এ ন্যক্কারজনক ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে সে সময়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ” মাসিক জন জীবন ” ম্যাগাজিন পত্রিকায় রিপোর্ট করি।

মাওয়া বাজারের বিশিষ্ট মুদি ব্যবসায়ী জনাব খোকন ভাই গরম মসলা, চিনি, কালিজিরা সহ বিভিন্ন সওদা কাগজে মুড়ে ক্রেতার নিকট বিক্রির জন্য এক মাস পর নারায়ণগঞ্জ দুই দিন বেড়ানো শেষে কয়েক বস্তা পুরানো ম্যাগাজিন পত্রিকা কিনে নিয়ে আসে। আমি মাওয়া বাজারে বড় মামার অডিও ক্যাসেটের দোকানে বসে রীতিমতো শায়েখ (রঃ) এর ওয়াজের বয়ান শুনছিলাম। হঠাৎ সেই সময়ের প্রভাবশালী জনৈক ইউপি সদস্য দোকানে এসে আমার নাম জিজ্ঞেস করে বুঝতে পারে “আমিই সেই আসামি “।

শ্রোতা ভাই – বোনদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ইতিমধ্যে সুদূর নারায়ণগঞ্জ থেকে আনা পুরানো মাসিক জন জীবন পত্রিকার পাতাগুলো মাহমুদপট্টীর প্রতিটি ঘরে প্রয়োজনীয় সওদার সাথে পৌছতে  শুরু করেছে। আগামীকাল সকাল দশটায় মেদিনীমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদে আপনার বিচার হবে। দেরী করবেন না, তাহলে বিপদে পড়ে যাবেন; বলেই হন হন করে চলে গেলেন তিনি।

এবার আমার সম্বিত জ্ঞান ফিরে এলো। ইউপি সদস্য চলে যাওয়ার পর মোবাইলে পত্রিকার সম্পাদক সাহেবকে অবগত করি। তিনি আমাকে নির্ভয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে বল্লেন। বিচারের দিন চেয়ারম্যান সাহেবকে মন্ত্র হিসেবে তার সালাম জানিয়ে দিতে বললেন। আমি তাই করলাম। যাদুর মতোই কাজ হলো।

এ রিপোর্টটি ভুল ছিল উল্লেখ করে প্রতিবাদ লিপি পত্রিকা অফিসে ফপাঠানোর সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছিলেন চেয়ারম্যান সাহেব। চা বিস্কেটের পর্ব শেষে বাড়ি ফিরে এলেও সাংবাদিকতায় কোন আপোষ করিনি। প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করে আমি ছিলাম অটল, অনড়। কোন প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়ে আমার প্রিয় ম্যাগাজিন পত্রিকার মান হেয় প্রতিপন্ন করিনি। (চলবে)…

নিউজটি শেয়ার করুন :