মোঃ কামাল হোসেন, চট্টগ্রাম: স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, চট্টগ্রাম নগরীর ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে এক বিশাল বিজয় র্যালী ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০ ঘটিকায় পাথরঘাটা আশরাফ আলী রোড থেকে আরম্ভ করে পাথরঘাটার কয়েকটি সড়ক পদক্ষিণ করে নগরীর চাক্তাই এসে আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়।
সংগঠনের পাথরঘাটার সভাপতি সৌরভ দাশের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক শুভ দাশের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আসফাক আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফজলে আজীম বাবুল, পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সৈনিক লীগ এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মঈন উদ্দীন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারন সম্পাদক রায়হান নেওয়াজ সজীব, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাগর দেবনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন রেজাউল করিম, অমিত তালুকদার, রুবেল মহূরী, অম্লান আইচ, শুভ চক্রবর্তী, জিতেন দাশ, মিটুন দাশ, সমীর, সাগর হোসেন, শুভ দত্ত, রুবেল চৌধুরী, আরাফাত, রবি প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মহান বিজয় বীর বাঙ্গালীর অহংকার। এ বিজয় একদিনে আসেনি। বাঙ্গালী জাতি বার বার স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছে, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙ্গালী তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের কৃষক, শ্রমিক, জনতা, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে দখলদার পাকিস্থানি বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের ফসল বাংলার স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর জন্মের ফসল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী এক ও অভিচ্ছেদ্য বিষয়। বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন ছিল দেশকে সোনার বাংলা গড়ার। কিন্তু স্বাধীনের মাত্র তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে এদেশের স্বাধীনতা বিরুধী, ক্ষমতালোভী কুচক্রীমহল কর্তৃক ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্ব পরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দেশকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন চিরতরে ধ্বংস করে দেয়।
অবশেষে দেশ ধ্বংসের এক পর্যায়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলার স্বাধীনতার সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী। এখন দেশ এবং দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্ন স্বাধ পাচ্ছে। আজ সমগ্র দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের গড় আয় বেড়ে গেছে। কিন্তু এখনো ষড়যন্ত্র পিছু ছাড়েনি, সকল প্রকার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে, মহা উন্নয়ন ও বিজয়ের এই আনন্দ অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে বার বার ক্ষমতায় আনতে হবে।