ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ থেকে:
দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী নওগাঁ জেলায় শীতের তীব্রতা চরম আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হতদরিদ্র, বয়স্ক, এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশু সন্তানরা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা হিসেবে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের পোরশা, সাপাহার, পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলা অবস্থিত। এ অঞ্চলটিতে দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে শীতের প্রভাব পড়ে অনেক বেশি। যেহেতু এলাকাটি ভারতীয় সীমান্তের হিমালয়ের প্রভাবে হিমেল হাওয়ায় শৈত্য প্রবাহে বরফের ন্যায় ঠান্ডা বাতাস বইছে।
এমতাবস্থায়, দুস্থরা গরম কাপড়ের দিকে চেয়ে আছেন। গুটি কয়েক সামাজিক সংগঠন গুলো নামে মাত্র শীত বস্ত্র বিতরণ করলেও সরকারি ভাবে বিতরণের কার্যক্রমের তেমন কোন খবর পাওয়া যায়নি।
সরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়ায় ২ দিনে শীত জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধ রোগী আক্রান্ত হয়ে ভর্তির তালিকা বেড়েই চলছে । যার ফলে দিনমজুর, নারী পুরুষ, ক্ষুধা নিবারনে কাজের সন্ধানে বাইরে যেতে পারছেনা।
কাজ করতে না পারায় অর্থ সংকটে কিনতে পারছেনা শীত বস্ত্রসহ সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস।
ব্যবসায়িরা জানায়, খুব প্রয়োজনে- মানুষ বাজারে ক্রয় করতে বাড়ির বাহিরে আসছেন। এতে শীতের কারণে ব্যবসার মন্দা দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে, গ্রাম ও শহরেও শীত হতে রক্ষা পেতে মাঠে ও রাস্তার পাশে এবং মার্কেটের ছাদে খুড়কুটা ও কাগজে আগুন ধরিয়ে উষ্ণতা গ্রহণ করার দৃশ্য চোখে পড়ার মত।
জেলা সদর ও উপজেলা পর্যাযের সরকারি হাসপাতাল গুলোতে ইতোমধ্যে শীতজনিত রোগে শিশু ও বয়স্ক রোগি ভর্তি হয়েছেন। এ অবস্থা থাকলে আরো রোগির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে চিবিৎসকরা জানিয়েছেন।