মানুষ রাজনীতি করে। ন্যায় বা অন্যায়বোধ থেকে একে অপরকে দোষারোপ করে। সত্য-মিথ্যা মিলিয়েও রাজনীতিতে দোষারোপ করা হয়। বস্তুবাদী রাজনীতির এটা প্রায় চিরন্তন বৈশিষ্ট্য।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখছি এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন রাজনীতি করে কিছু “ব্রেইন কন্ট্রোলড” মানুষ।
এদের কোন ন্যায়বোধ নাই এমনকি অন্যায়বোধও নাই। সত্য-মিথ্যা বলে এদের কাছে কিছু নাই। বরং এদের কন্ট্রোলার যেভাবে প্রোগ্রাম সেট করে দেয় এরা সেভাবেই কথা বলে, তর্ক করে ও যুক্তি দাড় করায়।
এজিএস একজন মাইন্ড কন্ট্রোলড নেতা। সে মুদ্রাদোষের মতো অর্থহীনভাবে জপে যাচ্ছে, “ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা ডাকসু ভিপি নুরের সাথে ছিলো।”
এজিএস যদি ব্রেইন কন্ট্রোলড মানুষ না হয়ে যদি স্বাভাবিক কোন মানুষ হতো তাহলে তার অভিযোগের ব্যাপারে পাল্টা প্রশ্ন তোলা যেতো,
১. ডাকসু ভিপির সাথে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা থাকতে সমস্যা কি?
২. ইশা ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা ভিপির সাথে থাকলেই কি তাদের ওপরে হায়েনার মতো হামলা করতে হবে?
৩. ক্যাম্পাসে কে কার সাথে থাকবে বা কে কার সাথে রাজনীতি করবে সেটা নির্ধারন করার অধিকার এজিএসকে কে দিয়েছে?
৪. সে বারংবার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা বলছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সংজ্ঞা কি সে জানে? নাকি তার মাইন্ডে সেট করে দেয়া গান সে গেয়েই যাচ্ছে? কোন নীতির কারণে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে, সেই নীতি কি এদেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
৫. জনাব এজিএস কি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের নীতি আদর্শ, কর্মকৌশল ইত্যাদি কখনো পড়ে দেখেছে?
আমরা জানি, এই ধরনের প্রশ্ন তুলে কোন লাভ নাই। কারণ সাউন্ডবক্সের সামনে গিয়ে সাউন্ডবক্সকে কোন প্রশ্ন করার মানে হয় না। যত যৌক্তিক প্রশ্নই তোলা হোক না কেন সাউন্ডবক্স থেকে সেটাই বের হবে যা দুরবর্তী কোন মেশিন থেকে সাপ্লাই করা হচ্ছে।
এরাও তেমনি মাইন্ড কন্ট্রোলড একদল বোধহীন শব্দযন্ত্র। এরা কোন তথ্য, তত্ত্ব, যুক্তি বা নীতি নৈতিকতা ধারন করে না। এমনকি বাস্তব পরিবেশ সম্পর্কেও এরা উদাসিন থাকে।
দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। বাংলাদেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামের সুতিকাগার স্থানে এমনসব মাইন কন্ট্রোলড লোকজনে ভরে গেছে।
আফসোস!!!