এম.এস আরমান:
৫-৫-২০১০ইং থেকে কোম্পানীগঞ্জের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপিঠ সরকারি মুজিব কলেজ পড়ুয়া কিছু তরুণের হাত দরে প্রতিষ্ঠিত হয় সেচ্ছায় রক্তদানকারী সংগঠন “উই ফর ইউ,
প্রতিষ্ঠা লগ্নে আর্তমানবতার ব্রত নিয়ে পুরোদস্তুর কাজ শুরু করে, তাদের সাথে সামিল হয় কিছু মানবতা বোধসম্পন্ন মানব।
তারপর রক্ত সংগ্রামে মানবতার পতাকা নিয়ে দেশকে শতভাগ সেচ্ছায় রক্তদানের আওতায় আনতে নিরলস পরিশ্রম অব্যহত রেখেছেন এই সংগঠনটি।
মানবতাবাদী এই ছেলে গুলো যখন দেশকে শতভাগ রক্তদানের আওতায় আনার জন্য প্রস্তুত তখনই বাজে বিপত্তি! কারন একজন মানুষের মানবতা বোধ তখন জাগ্রত হবে,যখন তার ভেতর সুশিক্ষা প্রবেশ করবে।
একজন অশিক্ষিত মানুষ যেমন কখনও সমাজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনা, ঠিক একজন অশিক্ষিত মানুষের মানবতা বিকাশ আশাকরা যায় না।
সরকারী শতভাগ নিরক্ষরতা অভিযান যেখানে চলমান, ঠিক তখন উই ফর ইউ’র নজরে আসে কোম্পানীগঞ্জের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ “আদর্শ গ্রামের দিকে।
কারণ ডিজিটাল দেশে বসবাস করেও যেন এই গ্রামের মানুষেরা আদিম যুগের মানুষের মত দিনযাপন করছে।
এই গ্রামে না আছে বিদ্যুত,না আছে চিকিৎসা,না আছে শিক্ষা! মোট কথা মানুষের যে সব মৌলিক চাহিদার প্রয়োজন তার ছিটেফোঁটা স্পষ্টতই রয়ে গেছে এই গ্রামের মানুষের জন্য!
আদর্শ গ্রামে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩হাজার, তার ভেতর শিশুকিশোর প্রায় ১৮’শ! বাল্য বিবাহ, প্রসূতি কালে মায়ের মৃত্যু নানা রকম কুসংস্কার এই গ্রামের কালচার! স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রামে শিক্ষার আলো পড়েনি, সারা গ্রামে একজন এসএসসি পাশ লোক নেই।
ঠিক এই রকম একটা জনপদে শিক্ষার মর্শাল নিয়ে হাজির হয়েছে “উই ফর ইউ”! ফেণী নদী সংলগ্ন মুছাপুর ক্লোজারের বুকে সরকারী খাস জায়গার উপর নিজস্ব তহবিলে উই ফর ইউ গড়ে তুলে “উই ফর ইউ পাঠশালা ”
উদ্যেশ্য বাল্যবিবাহ সহ নানারকম কুসংস্কার দূর করনে আধুনিক শিক্ষাই পারে এই কুসংস্কার ময় সমাজকে সুন্দর আধুনিক সমাজে রুপান্তরিত করতে।
স্কুলটির প্রতিষ্ঠার পর বেশ সাড়া জাগে, অবিবাবক, শিক্ষাবঞ্চিত ছেলে মেয়ে এবং উই ফর ইউ’র প্রচেষ্টায় চালু করে ক্লাশ! ধীরে ধীরে একজন দুইজন করে আজকে সত্তর জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়মিত পাঠদান করে আসছে উই ফর ইউ সংগঠনটি!
লেখার শুরুতে লেখেছিলাম কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের হাতে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন!
আজ ও তেমন…..।
বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ ও অবিবাভকদের চাহিদার কাছে স্কুল পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে স্কুলের পরিচালক পর্ষদ! কারণ সত্তর জন ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষাদান করতে কমপক্ষে ৪ জন শিক্ষকের প্রয়োজন, শিক্ষকদের বেতন, আনুষাঙ্গিক আরো বহু খরচের চাপায় আজকে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন দিশেহারা প্রায়।
সরকারী জায়গায় স্কুলটি দাঁড়িয়ে আছে, লাইনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করছে স্কুলের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা। তারা জানেনা সামনে কি করে চলবে স্কুলটি, কিন্তু তারা চায় এইখানেই হোক তাদের শিক্ষার প্রথম দাপ এবং এই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর আদর্শ গ্রাম স্থাপিত হোক আমাদের কোম্পানীগঞ্জে।
তাই আমার এই লেখার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী সারা বাংলার অহংকার প্রিয় ওবায়দুল কাদের স্যার সহ সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সামাজিক ও কোম্পানীগঞ্জের জনপ্রতিনিধি সহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি অনুগ্রহপূর্বক এই স্কুলের দিকে আপনারা দৃষ্টি দিন এবং স্কুলের সার্বিক পরামর্শ এবং সহযোগিতার হাত প্রসস্থ করুন।
আমাদের বিশ্বাস আপনাদের আন্তরিকতার ছোঁয়ায় এই প্রতিষ্ঠান একদিন মহাবিদ্যালয়ে পরিবর্তিত হয়ে শত শত শিশু শিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসবে।