মশার ইতিহাস খোঁজলে বেড়ায়ে আসে মিস্টার নমরুদের কথা, সে লম্বা কাহিনী। দেশের সর্বত্র অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হল মশার সৃষ্টি। মশাও আল্লাহর সৃষ্টি মাখলুক স্পেশাল সেনাবাহিনী। এ বাহিনী রাষ্ট্রের বিশেষ অভিযানে অাল্লাহর পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে রাষ্ট্র ও জাতীর বিবেককে নাড়া দেয়ার জন্য আসে।
গত (শনিবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে, এ পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মারা গেছেন এর সঠিক কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। এর সঠিক হিসাব এখন দেওয়া সম্ভব নয়, তবে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানানো হবে।”
এখন পর্যন্ত সারা দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬০০ থেকে ১৭০০ জন। মন্ত্রী বলেন, “লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না, তিন চার দিন ধরে একই হার রয়েছে। বিশ্বের তুলনায় আমাদের দেশে মৃত্যুর সংখ্যা কম।”
তিনি আরো বলেন, “সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে- তবে এটি আরেকটু বাড়তে পারে।”
অপরদিকে গত ২৬ জুলাই মৃত্যু ২৬ জনার। ২৮ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টে বলা হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের গত ১৯ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। একদিনে ভর্তি ৬৮৩ ও ২ অাগষ্ট একদিনে ভর্তি ১৭২২ জন। এ বছর সরকারি হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১০৫২৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তদের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে মারা গেছে ৩৩ জন, ২০১৯ সাল। ২০১৮ সালে ২৬ জন, ২০১৭ তে ৮ জন, ২০১৬ সালে ১৪ জন মারা গেছেন। (২ অাগষ্ট শুক্রবারের রিপোর্টে) সরকারি হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ জন বলা হলেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের হিসাবে ৪৭ জনের মৃত্যু বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে শুধু ঢাকা হাসপাতালেই ১০ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব অালী ইমাম মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, “একজন মন্ত্রী হয়ে সঠিক তথ্য নেই এটা তিনি বলতে পারেন না, তার কাছে সঠিক তথ্য থাকা উচিত।”
তিনি আরো বলেন, “তার এমন বক্তব্য সরকারের জন্য বিব্রতকর। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বহীনতার দায়ভার কে নিবে জনগন না সরকার? তাদের কাছে সাধারণ জনগন আর কী আশা করতে পারে। মন্ত্রী জনগনের জন্য কিছু করতে না পারলেও তার কথায় পুরো দেশের জনগণ খুশীতে আত্নহারা হয়ে যাবে।”
মন্ত্রীর কথায় দেশ ও জাতি হতবাগ ও হতাশায় আছেন। কারণ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই সিটি মেয়র মন্ত্রণলায় থেকে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরজ করেও জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ডেঙ্গু আক্রান্ত থেকে রেহাই দিতে পারেননি। তারা ব্যর্থ, সাধারণ জনগন কার কছে যাবে। শুধু তাই নয় ডেঙ্গু আতঙ্কে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হয়রানির স্বীকারও হচ্ছে। দেশে যখন ডেঙ্গু মশা ছড়িয়ে পড়ে, মশার ভয়েতে স্বয়ং অর্থমন্ত্রীর অফিস বন্ধ! ঢাকার দুই সিটি সহ দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু অতঙ্কে রুগীরা কাতর, নেই হাসপাতালেও ঠাই। রুগির সংখ্যা বেড়েই চলছে, স্টুডেন্টসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ মারা যাচ্ছে, রেহাই পায়নী মেডিকেলের ডাক্তার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীও।
ডেঙ্গু মোকাবেলায় সরকার ব্যস্ত ঠিক সেই মুহুর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রনলায়ের স্ব পদে বহাল থাকা মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো: জাহিদ মালেক দেশ ত্যাগ করাটা দেশের সর্ব মহল ও জনসাধারণ সহজে মেনে নিতে পারেনি। যেখানে যুক্তরাজ্য ভয়ে অতঙ্কিত, গতকাল তারা বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ দেশে ভ্রমনের ক্ষেত্রে নিজ দেশের নাগরীকদের সতর্কতা করে দিয়েছেন।
তবে ধন্যবাদ জানাই লন্ডনে চক্ষু চিকিৎসায় সফররত দেশ নায়ক ও গনপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও আকাশ চুম্ভি জন প্রিয় জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে। কারণ স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশে থেকে যা করছেন, তার থেকে শতভাগ প্রধানমন্ত্রী চলমান ডেঙ্গু আক্রান্ত ও বন্যাবাসীদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। সাথে সাথে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো: নাছিমকেও।
প্রসঙ্গ: বর্তমানে ডেঙ্গু আতঙ্ক চলমান প্রসঙ্গ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশের ভয়াবহ বন্যা আর ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেননি। আক্রান্ত এসব মানুষকে সরকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় দুই সিটির মেয়র ব্যর্থ। জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ জিএম কাদের বলেছেন, সরকার ডেঙ্গু মোকাবেলায় ব্যর্থ। তারা সকলে এ মন্তব্য করেছেন।