আ.স.ম. আবু তালেবঃ
ধুমপান মানেই বিষ পান। ধুমপানে সিগারেট-বিড়ির নিকোটিন ফুসফুস সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়া সিগারেটের বর্জনকৃত ধোঁয়া অন্য মানুষের নাক দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে এবং সিগারেটের ধোঁয়ায় আশেপাশের মানুষের কষ্টও হয়।
আলেম-ওলামাদের মতে, ধুমপান করা মাকরূহে তাহরিমী তথা হারাম। এতে অার্থিক অপচয় হয়। এদেশের সংবিধানে প্রকাশ্যে জনসম্মূখে ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনা না থাকায় প্রতিদিন ধূমপায়ীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছেই।
শিক্ষক, ছাত্র, সাংবাদিক, আইনজীবী, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের অনেক কর্তা ব্যক্তিরাও ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে বলে নির্ভরঘোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সিগারেটের প্যাকেটের উপর ধূমপান করার কারণে ফুসফুস নষ্ট হওয়ার ভয়ানক ছবি সহ “ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর,” “ধূমপান মৃত্যু ঘটায়” ইত্যাদি হ্নদয় বিদারক উক্তি ছাঁপা থাকলেও জেনে শুনেই মানুষ যেন বিষ পান করছে।
উল্লেখ যে, জেনে শুনে জান মালের ক্ষতি করা মারাত্মক গুনাহ। পবিত্র কুরআন মাজীদে মহান আল্লাহু তায়ালা ফরমান, “তোমারা নিজ হাতে নিজেদেরকে ধবংসের দিকে নিক্ষেপ করোনা” (সূরা বাকারা, আয়াত -১৯৫)।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক (খবার) আর প্রত্যেক নেশার জিনিসই হারাম (সহীহ মুসলিম হাদীস নং ২০০৩)। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর শপথ সে ব্যক্তি মুমিন নয়। জিঞ্জাসা করা হলো হে আল্লাহর রাসূল ! কে সে লোক? তিনি বল্লেন যে লোকের প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে না (সহীহ বুখারী ঃ হাদীস নং ৬০১৬)।
ধুমপায়ীদের মুখের দূর্গন্ধে অন্যের কষ্ট হয়। যা স্বতন্ত্র একটি গুনাহ। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। মহান আল্লাহু তায়ালা পবিত্র কুরআন মাজিদে আরো ফরমান, যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, নিশ্চয়ই তারা অপবাদ ও সুস্পষ্ট গুনাহ বহন করে (সূরা: আহযাব, আয়াত নং ৫৮)।
উল্লেখ যে, ধুমপায়ীদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ। কঠোর আইন সংবিধানে না থাকায় প্রকাশ্যে জনসম্মূখে ধূমপানে আসক্ত লোকজন কাউকে কোনই পরোয়া করছে না। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার বিশেষ বিবেচনায় পবিত্র সংসদে প্রকাশ্যে ধুমপায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাশ করে যথাযথ ব্যাবস্থা নিবেন এটাই সচেতন মহলের প্রত্যাশা।