নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে “বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা আজ (১১ জানুয়ারী ২০২০ ইং) শনিবার, বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম নগরীর মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হল রুমে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক মোঃ কামাল হোসেন এর সঞ্চলনায় এবং সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোঃ আবির উদ্দীন, প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলা টিভির প্রযোজক ও উপস্থাপক লেখক, গবেষক মোঃ কামাল উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ জহির উদ্দীন তিতাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরামের আহবায়ক শিব্বির আহমদ ওসমান, জাতীয় ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মোঃ ছরওয়ার উল আলম, সহ-সভাপতি মো: ওছমান গনী, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি কে এম নুহু হোসাইন, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলার মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল সময়ে সাংবাদিক তথা গণমাধ্যম ছিল বাকরুদ্ধ। হাতে গুনা কয়েকটা পত্রিকা ছিল মাত্র। সেই উত্তাল সময়ে ক্ষমতাসিন পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে কলম ধরার সাহস তেমন কেউ না করলেও স্রোতের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে সাহসিকতার প্রমাণ রেখেছিলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত “দৈনিক আজাদী” পত্রিকা। সেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তি সংগ্রামে সাংবাদিক তথা গণ মাধ্যমের ভূমিকার কথা বলে শেষ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দৈনিক আজাদীর মত হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি পত্রিকায় সাংবাদিকদের লেখনী বিশ্ব সম্প্রদায় ও দেশের শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এতে এ দেশের স্বাধীনতার পক্ষে যেমন বিশ্ব জনমত সৃষ্টি হয় অন্যদিকে পাকিস্তানের দুঃশাসনের প্রতিবাদে স্বাধীনতার জন্য পাগল হয় বাঙ্গালী জাতি। দেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে সাহসিকতার প্রমাণ রেখে চির স্মরণীয় হয়ে আছে “দৈনিক আজাদী”।