শিরোনাম

কলাপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন

 

এম এ ইউসুফ আলী, পটুয়াখালীঃ

কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের দারোগার তলব গ্রামের মোঃ নুরুল হক হাওলাদারের ছেলে মোঃ বশার হাওলাদরকে অহেতুক মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন হয়রানী করার অভিযোগে চাকামইয়া চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির কেরামত হাওলাদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন বশারের বড় ভাই মোঃ নেছার হাওলাদার।

কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয় শুক্রবার (২৪জানুয়ারী) বেলা ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তালতলী উপজেলা কলারং গ্রামের চম্পা বেগমকে তার স্বামী কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামুরবুনিয়া গ্রামের মৃতঃ কাদের হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদার বন্ধুর বাড়ী বেড়াতে নেওয়ার কথা বলিয়া তালতলী শ্বশুর বাড়ী বাড়ী থেকে নিয়া যায় এবং নিয়ে যাবার পর থেকেই নববধূ চম্পা নিখোঁজ আর স্বামী বাবুল হাওলাদার পলাতক থাকে।

খোঁজাখুঁজির পর কোনো সন্ধান না পেয়ে চম্পার বাবা চানমিয়া সিকদার জামাতা বাবুলের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অবশেষে ১২দিন পর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামুরবুনিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে বুধবার (২২জানুয়ারী) কলাপাড়া থানা পুলিশ চম্পার মৃত্যুদেহ উদ্ধার করে।

এই ঘটনায় এইদিনই কলাপাড়া থানায় ১১জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়। মামলা নং ২৩/২০২০। অহেতুক হয়রানী ও স্বার্থ হাসিলের জন্য চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমার ভাইকে উক্ত মামলায় ৫নং আসামীতে অন্তর্ভুক্ত করেন। চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঈর্ষান্বিত হইয়া প্রতিনিয়ত আমার ভাইকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন ও ফায়দা লোটার জন্য মামলায় জড়াইয়াছে। চেয়ারম্যানের অসৎ কাজে বাঁধা দেওয়া যেমন গরীব লোকদের ঈদ কোরবানীর চাল লুটপাট করা। চাল লুটপাট করার কারণে কয়েকবার জেল কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে। ভিজিডি, ভিজিএফ, নলকূপ, বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা নামের দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এগুলোর প্রতিবাদ ও তার পক্ষে কাজ না করার কারণে বহু পূর্ব হইতেই তাহার হুকুমে ও নিয়োজিত লোকজন দ্বারা আমার পরিবার ও আমার ভাইকে শারীরিক, মানসিক ও পাশ্ববিক নির্যাতন করিয়া আসিতেছে।

৪ বছর পূর্বে আমার ভাইকে তারিকাটা বাজারে ফেলে তার হুকুমে তার গুন্ডা বাহিনী দ্বারা আমার ভাইকে কুপিয়ে জখম করে।

এ ঘটনায় আমরা কলাপাড়া থানায় তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলা নং জিআর ২৮২/২০১৬।

গত ১৫ দিন পূর্বে চাকামইয়া গামুরবুনিয়া ষ্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে ও দিবালোকে চেয়ারম্যানের হুকুমে তাহার বাহিনী দ্বারা আমার ভাইকে হত্যার জন্য আক্রমন করিলে স্থানীয় লোকজন ও ইউপি সদস্য জাকির হোসেন অভি মৃধা তাহাকে রক্ষা করে। আমার ভাইকে হত্যা করতে না পারিয়া পরিশেষে সুযোগ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলাপাড়া থানার ২২/১/২০২০ তারিখের ২৩নং মামলায় ৫নং আসামীতে অন্তর্ভুক্ত করে। এই মামলার প্রকৃত আসামীদের সাথে আমার ভাই আবুল বশার হাওলাদারের সাথে কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক, বন্ধুত্ব সম্পর্ক এমনকি একসাথে কোন দিন চলাফেরাও করেনি। এছাড়াও বাদীপক্ষও আমার ভাইকে আদৌ চিনে না ও জানে না। শুধুমাত্র চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবির কেরামত হাওলাদারের অসৎ উদ্দেশ্যে অত্র মামলায় জড়ানো হয়েছে।

তিনি তার বক্তব্যে আরো জানান, মানবিক দিক বিবেচনা করে একজন নিরপরাধ লোক যাহাতে নির্দোষ প্রমাণিত হতে পারে তাই সকল প্রশাসক ও সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতার চান।

এসময় কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবির কেরামত হাওলাদারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য দেয়া হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন :