(প্রথম পর্ব)-১
প্রথমেই ডা. জাকির নায়ক দিয়ে শুরু : ভারতের নাগরীক তখনকার সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত বির্তকিত ধর্ম প্রচারক বিশ্ব বিখ্যাত ডা. জাকির নায়ক। ডা. জাকির নায়েকের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৫ই অক্টোবর ভারতের মুম্বাই নগরীতে। খৃস্টান মিশনারীদের স্কুল সেন্ট পিটার্স হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে। অতপর হিন্দুদের কৃষ্ণচন্দ্র রাম কলেজ বোম্বাই থেকে এফ.এস.সি পাশ করে। তারপরে বোম্বের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস ডিগ্রি অর্জন করে।
তার ইসলাম ধর্ম প্রচারের ব্যপারে জানা যায় যে, ডা. আহমদ দীদাতের সাথে ১৯৯৪ সালে বোম্বাই শহরে তার সাক্ষাত হলে তার আদর্শে সে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং ডাক্তারী পেশা ছেড়ে দিয়ে সে ডিজিটাল ইসলামি দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করে। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সে আরবী জানে না, শুধুমাত্র ইংলিশ লিটারেচারই তার উপজীব্য।
তিনি অগাধ মেধার অধিকারী ছিলেন, সেটা হাজারবার বিশ্বাস্য। ডা. জাকির নায়ক কোন মক্তব বা মাদরাসায় লেখা-পড়া করেননী। (তিনি কোন আলেম নন) তাই সে কুরআনের প্রকৃত সহিহ শিক্ষা থেকে বহুত দূরে। ফলে (মনগড়া তাফসীর) করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। না জেনে তাফসীরের (বিকৃতী) করছে। শুধু মাত্র জেনারেল লাইনে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
একই সাথে বিশ্বের অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থের বিদ্যা অর্জন করে তার লেকচারের মাধ্যমে মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। রমায়ন, মহাভারত, গিতা, ভাইবেল সহ বড় বড় গ্রন্থের পন্ডিত্য লাভ করেন জাকির নায়ক। তিনি তার লক্ষে পৌছার জন্য গড়ে তুলেন চ্যানেল পিস টিভি, যার মাধ্যমে মূহুর্তের মধ্যে তার প্রচারনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বব্যাপী। তিনি জীবনের শুরু থেকেই খৃস্টান আর হিন্দুদের সংসর্গে থাকার কারনে ডাক্তার জাকিরের চিন্তাধারা ও মন মানসিকতায় তার ছাপ সুস্পষ্ট। আর তার লেবাস-পোষাক, সুরত-আকৃতি একথার স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে।
ডা. জাকির নায়ক নিজ জ্ঞান অনুযাই দক্ষতার সাথে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ধর্ম তথা ইসলামের প্রচারনায় নামে শুধু বিতর্ক ছড়িয়েছেন। তার লেকচার শুনতে যেতেন মুসলিম-অমুসলিম, ইসলামী স্ককলার, ডক্টরেট, ইয়াহুদী-খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মের অনুসারী সহ অন্যান্য ধর্মঅবলম্বী নারী-পুরুষরা তার নিয়মিতভাবে দর্শক ছিল ও লেকচার শুনতেন। আপরদিকে পিস টিভি’র মাধ্যমে দেশের সর্ব মহলে সমান হারে দর্শক প্রিয়তা ছিলেন বিড়ল। তাদের প্রানের চ্যানেল ছিল পিস টিভি, শুধু বসে বসে দর্শক পিস টিভি’র সিরিয়াল দেখতো।
তখনকার নায়কের প্রচারনার শুরুর প্রথম সময় ভারত ও বাংলাদেশ সরকার এবং দেশের আলেম সমাজ কর্তৃক ডা. জাকির নায়কের প্রচারে বাধা হয়ে দাড়ায়নী। বরংস তাকে আলেমরা ও ধর্মপ্রান মোসলমানগন তাকে সাধুবাদ জানান ও তাঁর প্রশংসা করেন। ফলে তাঁর প্রচারের কাজ ও প্রচার-প্রসার আপন গতিতে চালাতে থাকেন।
কিন্তু ঠিক সেই মুহুর্তে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন ভ্রান্ত আকিদা ও ফতুয়াবাজীতে। ঈমান ধ্বংসীয় বক্তব্য (লেকচার) বিতর্কিত ফতুয়া, মাজহাব বিরোধীতা ইত্যাদি পেশায় জড়িয়ে পড়েন। যা দেশের আলেম সমাজ ও মোসলমানদের মেনে নিতে রিতিমতন কষ্টদায়ক।
জাকির নায়েক অসংখ্য সাধারণ মুসলমানদের ঈমাণ নষ্ট করছে। তার মুখে ইসলামের নাম নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাধারন মুসলিমদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে এই জাকির নায়ক। একজন বিধর্মী ইসলামের জন্য যতটুকু ক্ষতিকর, তার চেয়ে বেশী ক্ষতিকর ছিলেন এই জাকির নায়ক।
ডা. জাকির নায়েক’র ফিত্না থেকে ঈমান বাঁচান খুবই কষ্টকর! তখন ঐ সময় প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলাম নামক দলটির নেতা-কর্মিরা ডা. জাকির নায়কের পক্ষে ছাপাই গাইছে আর ক্বওমীদের জা তা ভাষায় গালি দিছেলেন। পরে ডা. নায়কের ভূলগুলী জাতির কাছে উম্মুক্ত হওয়াতে জামায়াত নিরাবতা পালন করলেও তারা পরোক্ষ তার (নায়ক)’র পক্ষেই ছিল-আছে।
ডা. জাকির নায়ক যখন সীমা লঙ্গন করে ক্রমেক্রমে ভূল করেই যাচ্ছে, তখনই দেশের আলেম সমাজ তাকে সংযম হতে বললেও তিনি একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এক পর্যায় ওলামায় কেরামগন তার বিরুদ্ধে লেখা-লেখী, ফতুয়া দেওয়া ও বক্তব্যের জবাব দেওয়া শুরু করেন। এমন কি বিভিন্ন রাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে (তদীয় রাষ্ট্রের মোসলমারা) তার বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেন। কোন কোন রাষ্ট্র তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনাও করেন। সর্বশেষ ভারত কর্তৃক তার বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে। ফলে জম্মভূমি ভারত ত্যাগ করে সৌদিআরব যেও ঠাই হয়নী। ভারত সরকার তার চ্যানেল পিস টিভিও বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি জাকির নায়ক ডা. হিসেবে বির্তকিত বক্তব্য না দেওয়াটাই তার জন্য বেটার ছিল। যে হে তু তিনি কোন আলেম নন, সে হে তু কুরআন-হাদিসের আলোচনা ও ফতুয়া দেওয়া আলেমদের কাজ, তা আলেমরাই করবে। তা না করে একজন এম বি এস ডাক্তারী পরে নিজেই ফতুয়াবাজী শুরু করেছেন। ফলে এক দিকে নিজে ধ্বংশ, অপর দিকে গোটা জাতিকে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিছে। তিনি সর্ব মহলে জোকার নায়ক ও কাফের নামেও ভূষিত হয়েছেন! তার বিভিন্ন আপক্তিকর বক্তব্য রয়েছে যা পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বিপরীত।
জাকির নায়িককে বিশ্বের ৫০০ এর অধিক ইসলামিক ইন্সটিটিউট থেকে “কাফির” ফতোয়া দিয়েছে বিস্তারিত দেখুন-
www.cifiaonline.com/drzakirnaik.htm http://www.cifiaonline.com/drnaiksislamicmask.htm Zakir Naik loves killer of imama hussain hypocrite “YAZID” who now burns at lowest level of hell Dr. Zakir Naik on yazid(l.a): http://youtube.com/watch?v=1mMQbR_48IU&feature=related Press Conference Part: 1 http://youtube.com/watch?v=6x40ozVtubw&feature=related Press Conference Part: 2 http://youtube.com/watch?v=fz_Sbc6aueI Press Conference Part: 3 http://youtube.com/watch?v=G2g0J948yzc&feature=related Press Conference Part: 4 http://youtube.com/watch?v=xL8dIu2SW0M&feature=related Press Conference Part: 5 http://youtube.com/watch?v=5Az8k6Ts9Mg&feature=related Dr. Bilal Philips: http://www.youtube.com/watch?v=T83e59dB-ps&feature=related Dr. Bilal Philips (Defending Wahabis): http://youtube.com/watch?v=m3_ZqeR27Mg Times of India Link: http://timesofindia.indiatimes.com/…/articl…/2653996.cms
ডা. জাকির নায়েকের ঈমানবিধ্বংসী কিছু বক্তব্য:
(১) সে বলেছে ‘ওযু ছাড়া পবিত্র কুরআন স্পর্শ করা ও পড়া যাবে ‘ (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ২ পৃষ্টা নং ৬২৬) ভিডিও দেখুনঃ www.youtube.com/watch?v=RaMwSNWFhzI
(২) হিন্দুদের রাম ও কৃষ্ণ নবী হতে পারেন। তাদের নবী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিশ্চিত নয়।” (দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম-২/১৬২ ভিডিও দেখুনঃ www.youtube.com/watch?v=Ngg_Ygff1N4
(৩) ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন, জুমার খুতবা আরবীতে হওয়া জরুরী নয়, অন্য ভাষায় হলেও চলবে। (লেকচার সমগ্র-৪/২৩৯)
(৪) ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন, নারী ও পুরুষের নামাজ একই। (লেকচার সামগ্র, ভলিয়ম-১/৫৮০)
(৫) জাকির নায়েক বলেছেন, মহিলাদের চেহারা না ঢাকলেও পর্দা হয়ে যাবে। (খুতবাতে জাকির নায়েক-১/৩২৬)
(৬) সে একমত হয়েছে যে, ‘পবিত্র কুরআনে ব্যাকরণগত ভুল আছে’ (নাউযুবিল্লাহ) (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ১ পৃষ্টা নং ৫১২) ভিডিও দেখুনঃ www.youtube.com/watch?v=ZtfrJ6prJQo
(৭) সে ‘নবীজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ব্যাপারে এমন বাক্য ব্যবহার করেছে যা সুরা বাকারা ১৫৪নং আয়াত ও সুরা ইমরান ১৬৯নং আয়াত মতে আল্লাহর আউলিয়াদের ব্যাপারেও ব্যবহার করা যাবে না ‘ ভিডিও দেখুনঃ www.youtube.com/watch?v=vU7b1_EisVk
(৮) সে ‘ইয়াজিদের নামের সাথে ‘রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ‘ [Peace Be Upon Him] এই পবিত্র বাক্য ব্যবহার করে হযরত ঈমাম হোসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে অপমান করেছেন ‘ ভিডিও দেখুনঃ www.youtube.com/watch?v=1mMQbR_48IU
(৯) সে বলেছে ‘হিন্দুদের বেদ আল্লাহর বাণী হতে পারে বলেছে, (নাউযুবিল্লাহ) (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ২ পৃষ্টা নং ১৬২)
(১০) সে বলেছে ‘ইসলামে চারজন মহিলা নবী ছিলেন ‘ (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ১ পৃষ্টা নং ৩৫৫)
(১১) বিশ্ব-বিখ্যাত যুগশ্রেষ্ঠ তাবেয়ী ও শ্রেষ্ট ফকীহ ইমাম আযম আবু হানীফা (রাহঃ) সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ ও মিথ্যা অপ-প্রচার করছে। সে বলেছে ‘মাজহাবের চারজন ইমামই ভুল করেছেন (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ৫ পৃষ্টা নং ৯২) ডা. জাকির নায়েক বলেন- ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ভুল করেছেন, ইমাম শাফেয়ী (রহ) ভুল করেছেন, ইমাম মালেক (রহ) ভুল করেছেন, ইমাম হাম্বলী সবাই শুধু ভুল করেছেন।
(১২)সে মাজহাব মানার বিপক্ষে। মাজহাব মানা জরুরী নয়। (লেকচার সমগ্র:০৫/ পৃষ্টা নং ১০২।)
তার যুক্তি- কুরআন সুন্নাহ অনুসরন করা উচিত মাজহাব কেন? তাই মাযহাব অনুসরন করা যাবে না।
(১৩) তারাবীর নামাজ ৮ রাকাত পড়া সুন্নত। আবার বলেছে তা যত খুশি তত আদায় করা যাবে।
( লেকচার সমগ্র:০৫/ পৃষ্টা নং ২৪৭।)
প্রমান) অথচ বিশুদ্ধ মত দেখেন ২০ রাকাতের পক্ষে (পর্ব ১-২) :-
http://goo.gl/kVZGZr
http://goo.gl/vB9NC9
(১৪) মহিলাদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কোন অসুবিধা নাই। (লেকচার সমগ্র:০৪/ পৃষ্টা নং ২৩৪।)
জবাবঃ
(১৫) যারা হিন্দুস্থানে বাস করে তারা সকলে হিন্দু! কাজেই আমাকে বলতে পারেন। (খোদবাতে জাকির নায়েক:০২/ পৃষ্টা নং ৩৬৯)
(১৬) পুরুষ এবং মহিলাদের নামাজে কোন পার্থক্য নাই। (লেকচার সমগ্র:০৪/ পৃষ্টা নং ২৪৫।)
(১৭) শিয়াদের মধ্যে আর সুন্নীদের মধ্যে কোন আকিদাগত পার্থক্য নাই, রাজনৈতিক পার্থক্য । (লেকচার সমগ্র:০৪/ পৃষ্টা নং ৩৬৮)
(১৮) ঈদের দিন জুমার নামায পড়া লাগেন না, ডাঃ জাকির নায়েক লেকচার, ভলিয়াম ৫, পৃষ্ঠা=৪৭৬)
(১৯) তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ একই নামায।
(২০) ফজরের আযানের পর সাহরী খাওয়া যাবে।
(২১) ৩ তালাক কে ১ তালাক বলে চালিয়ে দেওয়া।
(২২) খৃষ্টান শার্ট-প্যান্ট-টাই -কোর্ট এই গুলো নামায আদায়ের সবচাইতে উত্তম পোষাক
(২৩) কাকড়া ও কচ্ছপ খাওয়া হালাল।
(২৪) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর একাধিক বিবাহ ছিল”রাজনৈতিক উদ্দেশ্য”।
(২৫) জাকির নায়েক এক লেকচারে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনাকে যে কোন সুন্দর নামে ডাকা যাবে। যুক্তি হিসেবে সে হিন্দুদের বেদ থেকে কতগুলো শ্লোক তুলে ধরে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনাকে হিন্দুদের দেবতার নাম ধরেও ডাকা যাবে। যেমনঃ ব্রহ্মা অর্থ সৃষ্টিকর্তা (খলীক্ব), বিষ্ণু অর্থ প্রতিপালক (রব) ইত্যাদি। (নাউযুবিল্লাহ)
(২৬) জাকির নায়েক সুরা বাকারা এর আয়াত শরীফ ১০৬ ও ১০৮, সূরা আল ইমরান আয়াত শরীফ ২৯, সূরা নেহাল আয়াত শরীফ ৭৭ এবং সূরা ফাতির আয়াত শরীফ ১ ইত্যাদি উল্লেখ করে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনার সবকিছুর উপর ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু আল্লাহ পাক সব কিছু সৃষ্টি করতে অক্ষম।
সে আরো বলেছে যে, আল্লাহ পাক সৃষ্টি করতে অক্ষম এমন ১০০০ জিনিসের তালিকা সে তৈরী করতে পারবে। যেমনঃ আল্লাহ পাক লম্বা বেটে মানুষ তৈরী করতে অক্ষম, আল্লাহ পাক তাকে উনার সৃষ্টি জগতের বাহিরে নিক্ষেপ করতে অক্ষম ইত্যাদি। (নাউযুবিল্লাহ)
(২৭) জাকির নায়েক শিশুদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছে যে, শিশুদের “সিরাতুম মুস্তাকিম” এর উপর দৃঢ় রাখতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি ও ইসলামিক খেলাধুলা প্রয়োজন।(নাউযুবিল্লাহ)
(২৮) জাকির নায়েক বলেছে যে, সে অন্ধভাবে পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম, রূহ, জ্বিন, ফেরেস্তা বিশ্বাস করে না। (নাউযুবিল্লাহ)
(২৯) জাকির নায়েক আযানকে মুসলমানদের আন্তর্জাতিক সংগীত হিসেবে উল্লেখ করেছে।
(নাউযুবিল্লাহ)
(৩০) জাকির নায়েক নাস্তিকদেরকে স্বাগত জানায় কারণ তারা কলেমা শরীফের প্রথম অংশ “লা ইলাহা” অর্থাৎ “কোন প্রভু নেই” স্বীকার করে। (নাউযুবিল্লাহ)
(৩১) জাকির নায়েক বলেছে যে, মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে মুল পার্থক্য হলো মুসলমান বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তার অর্থাৎ everything is God’s অন্যদিকে হিন্দুরা বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ everything is God. (নাউযুবিল্লাহ)
(৩২) জাকির নায়েক তার চরম মূর্খতা জাহির করে বলেছে যে, কোন ধর্মীয়গ্রন্থটি প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টিকর্তা উনার কালাম?, তার চুড়ান্ত পরীক্ষা বিজ্ঞান দ্বারা সম্ভব। (নাউযুবিল্লাহ)।
তার সব লেকচার থেকে বাচাই এগুলী দেওয়া হল পাঠকের জন্য।
অতএব লেকচার পদ্ধতিতে আধুনিক প্রচার মাধ্যম গ্রহণ করে যে কাজ সে চালিয়ে যাচ্ছে, তার সারাংশ হল
(ক) গোটা উম্মতকে হযরত আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন ও ইসলামের প্রসিদ্ধ চার ইমাম (রহ.)-এর অনুসরণ থেকে বের করে লা-মাজহাবী বানানো।
(খ) দ্বীনের বিজ্ঞ উলামায়ে কিরামের প্রতি সাধারণ মুসলমানদের যে আস্থা ও নির্ভরতা রয়েছে, তা উঠিয়ে দেয়া এবং এ আস্থা ও নির্ভরতাকে কলঙ্কিত করতে যত রকমের কলাকৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তা ব্যবহার করা।
(গ) ফাসিক বেদ্বীনদের চাল-চলন ও বেশ-ভূষার প্রতি সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে যে ঘৃণা রয়েছে, তা উপড়ে ফেলা।
(ঘ) ইসলামী শরীয়তের আহকাম ও আকায়িদ-ইবাদতেরতাহকীক-বিশ্লেষণএবং আমল করার ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানগণ যে বিজ্ঞ আলেম-উলামাগণের সাথে জুড়ে আছেন, তাদের সেই সম্পর্ককে আলেমগণ থেকে ছিন্ন করে তার নিজের ও তার কম্পাউন্ডের স্কলারদের সাথে জুড়ে দেয়া ইত্যাদি।
চলবে-
লেখক: কলামিষ্ট, গনমাধ্যম, মানবাধিকার কর্মি, সাংবাদিক ও সম্পাদক: দৈনিক ওলামা কন্ঠ।