ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ থেকে:
নওগাঁ সীমান্তে দুই বাংলার তথা ভারত-বাংলাদেশের আত্মীয়তার প্রাণের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বোরবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জেলার পত্নীতলা উপজেলার শীতলমাঠ ও ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ও ভারতের অভ্যন্তরে জলঘড় সীমান্তে অবস্থিত তেধারা নামক একটি মাজারকে কেন্দ্র করে বসে এই মিলন মেলা।
প্রতি বছর সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত চলে এই মেলা। বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতিবছর এখানে একদিনের জন্য এই মেলা বসে। এবারও আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করতে কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নেই । বাংলাদেশ ও ভারতীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কিছু সময় কথা বলার সুযোগ করে দেয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা। দুই দেশে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনরা প্রাণের টানে দুই বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসেন ।
আয়োজকরা জানান, দুই দেশের আত্মীয়স্বজনদের মাঝে সুসর্ম্পক বজায় এবং সম্প্রীতি বাড়াতে এই মিলন মেলার আয়োজন করা হয়।
সীমান্তের এলাকাবাসীরা জানায়, মিলন মেলা শুধু নয়, দুই দেশের আত্মীয়রা পছন্দের খাবারসহ উপহার সামগ্রী আদান-প্রদান করে থাকেন।
পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর এস.এম রবিউল ইসলাম বলেন, বাংলা ভাষার মাসে দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষি মানুষের সুসম্পর্ক আরো জোরদার করণে প্রতিবৎসর এ দিনে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্তে এই সুযোগ করা হয়ে থাকে। এতে মিলন মেলায় পরিণত হয় সীমান্ত এলাকায় প্রাণের টানে।