শিরোনাম

(পর্ব ২) মিজানুর রহমান আজহারীকে ডা. জাকির নায়ক থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ: কে. এম. নূহু হোসাইন

 

মিজানুর রহমান আজহারী আপনাকে জানতে হবে এক সময়ের মাঠ কাপানো বক্তা ছিলেন বিশ্বজনন্দীত বক্তা আল্লামা দিলোয়ার হোসেন সাঈদী, মির মাও. হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী, মাও. নাছিরুল্লাহ চাঁদপুরী (রহ.) মাও. জোবায়ের আহমেদ আনছারী, তারেক মানোয়ার সহ আরো অনেকে। এখন যারা বর্তমানে বয়ানের মাঠ কাপাচ্ছেন আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ, আল্লামা মামুনুুল হক, যুবকদের মধ্যে সর্ব প্রথম মাও. হাফিজুর রহমান কুয়াকাটা, তার পর মিজানুর রহমান আজহারীকেই ধরলাম, মুফতি হাবিবুর রহমান মিজবাহ, মুফতি রিজওয়ান রফিকী, মুফতি আমির হামজাহ, মাও. আ. খালেক শরিয়াতপুরী, মাও. ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী, মাও. আল- আমিন আবদুল্লাহ, মাও. মোল্লা নাজিম, মাও. আশরাফী, মাও. কাইয়ুম মিয়াজি সহ আরো অনেকে।

মাও. মিজানুর রহমান আজহারীকে আমি ব্যাক্তিগভাবে সম্মান করি ও তার বক্তব্যওশুনী। লোকমূখে শুনেছি আজহারীর বয়স নাকী ২৭ বছর, সে হিসেবে আমি আজহারীর ৩- ৪ বছরের বড়- তবে আমি মনে করি আমার থেকে আজহারীর জ্ঞান ও এলেমের দিক থেকে বড়। আমার লেখা-পড়া আলিয়া মাদরাসা থেকে (কামিল-হাদিস) ফিকাহ ও কওমীর সর্টকোর্স চলছে। আজহারীও আলিয়ার আলেম ও উচ্চতর কিছু ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তবে আমি কওমীদের সম্মান করি, কারন তারা ইলম-আমলের দিক থেকে ১০০% খাটি আলেম, তাতে বিন্ধু মাত্র সন্ধেহ নেই, এটা সকলের মানতে হবে।

আজহারীকে প্রশ্ন রেখে বলছি, তার সাথে মুলত কওমী আলেমদের ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা আছে? না। আজহারী তো ডা. জাকির নায়কের মতন শুরু থেকেই ওয়াজের ময়দানে দ্বীনের দাওয়াত তথা ওয়াজ-নছীহত করতেছেন। কখনও কি কোন কওমী আলেম বা বক্তাগন তাকে বয়ান করতে বাধা দিয়েছিল? না। তার বিরুদ্ধে কোন সময় কওমী বক্তারা কথা বলছে? গালি বা হিংসাত্বক মনোভাব দেখাইছেন? না। বরংস আরো ক্বওমী বক্তারা ও আলেমগন আজহারীর পক্ষে ছিলেন, অনেক দিক থেকে।

সুন্নী আলেম এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী তাকে কাফের বলাতে কওমী বক্তারা তার জোরাল প্রতিবাদ করেছেন। কেনোইবা তারা তার (আজহারীর) শত্রু হবে? তাদের কোন সার্ত আছে? ওয়াজের মাঠে কাহারও থেকে কাহারও তো কোন অংশে জনপ্রিয়তা কম নয়। এগুলী শুধু আজহারী পহ্নিদের ভ্রান্ত ধারনা ও অহেতুক অভিযোগ ক্বওমীদের বিরুদ্ধে। এ কাদা ছোড়া-ছুড়ি শুরু হয় তার কিছু বির্তকিত বক্তব্যের দ্বারা, এটাই সত্ত কথা।

তিনি ডা. জাকির নায়কের মতন যখন লাগামহীন বক্তব্য ও ফতুয়া দেওয়া শুরু করেছেন- তখনই দেশের আলেম সমাজ ও বক্তারা আজহারীকে সংকেত দিলেও তার বক্তব্য আরো চরম পন্থায় চলে যায়। ফলে তার বিরুদ্ধেও ডা. জাকির নায়কের মতন বাধ্য হয়ে বিভিন্ন মহলে ফতুয়া ও বক্তব্য দিতে শুরু করেন, এ দেশের আলেম সমাজ। তখনই তার দলের সমর্থকরা বলে উঠলো আজহারীর জনপ্রিয়তা দেখে ক্বওমী বক্তাদের হিংসা, তাদের মাঠ খালী ও পীর-মুরিদদের ব্যবসা শেষ! এটাও কি কথা?

জামায়েত ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা সাইয়্যেদ আলা মৌদুদী থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত অধ্যক্ষ গোলাম আজম, মাও. মতিয়ার রহমান নিজামী, মাও. দিলোয়ার সাঈদী, আলী অহসান মুজাহিদ, মো: কাদের মোল্লারা এ দেশের ক্বওমীদের ও হক্কানী পীরদের শরীরের একটা লোমও উগরে ফেলতে পারেননী। যেখানে বড় বড় বাঘা নেতারা পীর মুরিদের ব্যাবসায় বারটা বাজাইতে পারলোনা! কওমীদেরও কিছু করতে পারলোনা! সেখানে আজহারী আর আমির হামজার কারনে নাকী পীরের ব্যবসা সব শেষ! বলে কতিপয় কিছু দালালরা প্রচার চালাচ্ছে। ক্বওমীদের মাঠ নাকী খালী! তাদের কোন জনপ্রিয়তা নেই। এটা একটা জ্ঞানহীন কান্ড মুরুর্খের কথা, যেটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু নয়। এতে তাদের দুর্বলতা প্রমান করে।

আজহারীর বির্তকিত বক্তব্য- বয়ান খোদ তার দলের সমর্থিত মুফাচ্ছিরে কোরআন মাওলানা তারেক মনোয়ার ও মাওলানা আল আমিন, মোল্লা নাজিম সহ আরো যারা আলেম আছেন, তারা কি সমর্থন করেন? আমার মনে হয় তারাও এ বক্তব্য সমর্থন করেননা। ইতিপূর্বে কিছু বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন, তারপরও থামেননী ক্রমেই একেরপর এক ভুল করেই যাচ্ছেন।

আর তার দলীয় বক্তা- ভক্তরা ও সমর্থক গোষ্ঠীরা রিতিমতন ক্বওমীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের গালি থেকে রেহাই পায়নী বড় বড় আলেমরা। মাও. হাফিজুর রহমানকে তো গালির মধ্যেই ঢুকীয়ে রেখেছেন! আর চরমোনাইর নায়বে আমির মুফতি ফয়জুল করীমকে জাহাজ বাবা, পীর বাবা বলে জা তা ভাষায় গালি দিয়েছে। শেষমেষ আল্লামা মামুনুল হকও রেহাই পায়নী জামায়েতের গালি থেকে। ধর্মমন্ত্রী আজহারীকে জামায়েতের পডাক্ট বলার কারনে তাকেও গালী শুনতে হয়েছে। অর্থাৎ তারা যেটা বলবে ঐটাই সব সত্ত, ভূল বললেও তাও সত্ত! কিন্তু তোমরা কওমী ও পীর মুরিদেরা এখানে নাক গলাতে ও ভূল ধরতে আসলেই হিংসুক হয়ে জাহান্নামে যাইবা (ফতুয়ায়, জামাত-শিবির)।

দোষ আপনাদের বাট অন্যকে হিংসুক বলে গালি দিয়ে লাভ নেই। নিজেদের ভূল নিজেরাই শুধরান। আজহারীর প্রতি অনুরোধ থাকবে বাকি বিতর্কিত সব বক্তব্যের ভূল স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান। তবেই আলেম সমাজ আবারও সাদরে গ্রহন করে নিবেন। অন্যথায় ডা. জাকির নায়কের মতনও হতে পারে। আজহারীর বিষয় জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে (বিষয়টা সরকারের নজরেও পড়েছে)। জামায়েতে ইসলামের কিছু হলে, সরাসরি দোষ পড়ে গিয়ে কওমীদের ঘারে! ডা. জাকির নায়কের বক্তব্যের সাথে আজহারীর বির্তকিত বক্তব্য ৮০% মিল আছে।

মিজানুর রহমান আজহারী একজন বড় আলেম। অন্যদিকে জাকির নায়ক একজন ডাক্তার হিসেবে তার ফতুয়াবাজী করার কোন অধিকার নেই। আজহারীর ফতুয়া দেওয়ার ১০০% অধিকার আছে, কিন্তু মনগড়া নয়, সাথে রেফারেন্স থাকতে হবে গ্রহনযোগ্য কিতাবের। তবে ফতুয়া দেওয়ারও একটা আদপ আছে, যেখানে-সেখানে যে কোন ফতুয়া দেওয়া ঠিক নয়। মাসআলা-মাসায়েল (ফতুয়ার) দায়িত্ব মুফতি বা কাজীদের উপরে ছেড়ে দেয়া জ্ঞানীর কাজ। আজহারী অল্প বয়সে যে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করেছে, সে অর্জন অটুট থাক, সেটা সকলের প্রানের দাবী। সাঈদীর ওয়াজের মাঠ তিনিই ধরে রাখতে পেরেছেন। তবে ধর্মমন্ত্রীর মন্তব্য যাতে বাস্তবায়ন না হয়, একজন বক্তা ও দ্বীনের দাঈ হিসেবে আগামীর দিনগুলীর অগ্রযাত্রা সফল হোক। বর্তমান সময় আজহারীকে বয়ানের মাঠে খুবই প্রয়োজন-।

বিশেষ করে ভার্সিটিরমাল আমির হামজাহ পূর্বে চরমোনাইর কথা ভাল বললেও বর্তমানে তাদের পিছানে লাডা কষের মতন এটে আছেন। তাঁর (হামজার) মাথা এখন ঠিক নেই! কাকে কখন কি বলে সে নিজেও জানেনা! তাকে পাবনায় ম্যান্টাল হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। আজহারীকে ধন্যবাদ- জানাই, কারন তার মূখ থেকে কখনও একটা অসৌজন্য মূলক কথা বের হয়নী, চলমান বিতর্কিত ফতুয়া ছাড়া। এ কারনেই যুবসমাজ সল্পসময় হলেও তাকে গ্রহন করেছেন।

যে কারনে মাও. মিজানুর রহমান আজহারীর বিরুধীতা:

মিজানুর রহমান আজহারীকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করি ও তার বয়ান শুনী। কারন ওনী বেদায়াতী, মাজার পুজারী, লা মাজহাবী বক্তানন। কম কথায় ইসলামীক অনেক বিষয় সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলেন। বর্তমানে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তাই তিনি প্রশংসার যোগ্য। তিনি যদি এই জনপ্রিয়তাটাকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মাসআলা-মাসায়েল বা আকীদা-বিশ্বাসের গন্ডির ভিতরে রেখে জাতিকে ইসলামের দিকনির্দেশনা দিতেন, তাহলে ওনার ও দ্বীনের ফায়দা হত।
তবে সবাই আজহারীর অন্ধবক্ত নয়, তাই বিতর্কিত বক্তব্য গুলো মোটেই সমর্থন করিনা।

সুন্নিমতাধর্ষীর এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সহ অনেক আলেম তাকে কাফের পর্যন্ত ফতুয়া দিয়েছেন। যার প্রতিবাদ ক্বওমী আলেমরাই করেছিলেন। তবে তিনি কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমা চাওয়াতে আলেমসমাজ তার পাশে দাড়িয়েছিলেন। কারন মানুষ ভুল করে তাওবা করে ফিরে আসলে তাকে গোমরা বলা যায়না ৷ এখন দেখাযায় তিনি একই ভুল বার বার করেই আসছেন। ফোকাহায়ে কেরামের মতকে উপেক্ষা করে নিজে নিজে ইজতেহাদ করে মনগড়া ফতুয়া দিয়ে একটি জাতিকে পথভ্রষ্টাতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অতএব আমরা মুসলিম জাতিকে সতর্ক করার সার্থে তার ভুল ফতুয়া গুলীর বিরুদ্ধে কলম ধরতে বাধ্য হলাম। ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, বরং বাস্তবতাকে জাতির সামনে তুলে ধরতে।

মিজানুর রহমান আজহারীর ভক্তদের প্রতি কিছু কথা:

হক্কানী ওলামায়ে কেরাম ও হক্ক পীর-মাশায়েখদের প্রতি ক্ষিপ্ত হবেন না, রাগ হয়ে গালি দিবেন না, কারণ ব্যক্তি বিশেষের ভক্তির চেয়ে ধর্মের ভক্তিটা অন্তরে বেশি রাখা দরকার। ধর্মের যদি সামান্য অপব্যাখ্যা হয়ে যায় তখন ধর্মের অভক্তি অন্তরে নিয়ে কোন ব্যক্তিকে বেশি ভক্তি করা যুক্তিযুক্ত হতে পারেনা। এর জন্য ধর্মের ঈমানের শরীয়তের ইসলামের ভক্তিকে অন্তরে পোষন করে শরীয়তের সহি বিধানগুলো জানার চেষ্টা করুন। কোন ব্যক্তির প্রতি ভক্তি অন্তরে পোষন করে ধর্মের প্রতি অভক্তি প্রদর্শন করবেন না। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন- আমিন।

মিজানুর রহমান আজহারীর কিছু গোমরাহী বক্তব্য:

যা ডা. জাকির নায়কের বক্তব্যের সাথে প্রায়ই সামাঞ্জস্ব।

(১) প্রজেক্টরের মাধ্যমে মহিলাদের বয়ান শোনা জায়েজ (নাউজুবিল্লাহ)।

(২) রাসূল (সা.) মক্কী জীবনে টেষ্ট ইনিংস খেলেছেন, আর মাদানী জীবনে ছক্কা মেরেছেন। বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন (নাউজুবিল্লাহ)। রাসূলের জীবনকে ক্রিকেট খেলার মাঠ মনে করেছেন!

(৩) তারাবির নামাজ ৪ রাকাত পরলেও হয়ে যাবে (নাউজুবিল্লাহ)।

(৪) খাদিজাতুল কুবরা হলেন তিনবার তালাক খাওয়া বৃদ্ধা মহিলা। তিনি ছিলেন পৌঢ়া ইনটেক বা ভার্জিন ছিলেন না (নাউজুবিল্লাহ)।
কোনো হাদিসের কিতাবে খাদিজাতুল কুবরা (রা.)’র তালাকের কথা পাওয়া যায় নি, হাদিসে শুধুমাত্র বিধবা কথাটি পাওয়া যায়। অথচ রাসুল (সা.) খাদিজাতুল কুবরা (রা.) কে তাহেরা বলে ডাকতেন। যার অর্থ হল পুত:পবিত্রা নারী। তাঁর জীবদ্দশায় আল্লাহ তায়ালা তাকে সালাম পাঠিয়েছেন।

(৫) সু্ন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ না পড়লেও কোন গুনাহ হবেনা (নাউজুবিল্লাহ)

(৬) মহিলারা রাস্তা-ঘাটে, হাট-বাজারে যেখানেই যাবে চেহারা ও হাত খোলা রাখবে কোন সমস্যা নেই। তার মতে চেহারার পর্দা করা কোনো জরুরী বিষয় নয়।(নাউজুবিল্লাহ)

(৭) রাসূল (সা.) এর বডি ছিল বডি বিউল্ডারদের মত সিক্স প্যাক। (নাউজুবিল্লাহ)

(৮) আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর শানে আবে হালা শব্দ ব্যবহার।

(৯) আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) এর শানে বেয়াদবী, আব্দুল্লাহ (রা.) মদ খেয়ে ওমর (রা.) কে গালি দিয়েছেন।
(১০) আলী (রা.) শানে বেয়াদবী মদ খেয়ে মাতাল হয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে মাতলামি করে। (নাউজুবিল্লাহ)

মিশরের জামিয়াতুল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পর্দাবিষয়ক ফতুয়া প্রকাশ করা হয়েছে:

যারা মিজানুর রহমান আজহারীর পক্ষে কথা বলতেছেন, তারা একটু কষ্ট করে পরবেন।

বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক ইসলামি বিদ্যাপীঠ মিসরের জামিয়াতুল আযহার প্রতিষ্ঠানের ফতোয়া বিভাগের ওয়েবসাইটে গত (২২ নভেম্বর-১৯) বৃহস্পতিবার “পর্দা ফরজ বিধান এ ব্যাপারে যুক্তিতর্কের সুযোগ নেই” শিরোনামে আল আযহার থেকে একটি ফতোয়া প্রকাশিত একটি হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, পর্দা কুরআন দ্বারা সাব্যস্ত অকাট্য ফরজ বিধান, এতে ইজতিহাদ বা গবেষণা অগ্রহণযোগ্য, যুক্তিতর্কের কোন স্থান পর্দার বিধানে নেই। মুসলিম নর-নারীর জন্য সমানভাবে পর্দা পালন অতি আবশ্যকীয়। এ নিয়ে মূর্খদের নেতিবাচক মন্তব্য অসার। খবর আল উম্মাহ ডটকম-এর: যারা পর্দা আবশ্যক না হওয়ার নেতিবাচক শিক্ষা দেয়, তাদের থেকেও মুসলিমদের সতর্ক থাকতে আহবান জানিয়েছে আল আযহারের ফতোয়া বিভাগ।

সম্প্রতি মিসরে হিজাবের বিধান নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়, কিছু সাংবাদিক ও শোবিজ তারকা হিজাব ও নেকাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কোন প্রমাণ ছাড়া এমন দাবি করা অসৎ লোকদের মুখ বন্ধ করার জন্য এই ফতোয়া প্রদান করেছে জামিয়াতুল আযহার।

কুরআনের সূরা আন নুরের ৩০ ও ৩১ নাম্বার আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পর্দা এবং যে কোন ফরজ বিধানের বিরোধিতা করার অধিকার কারও নেই। যে কেউ এ ব্যাপারে কথা বলার অধিকার রাখেননা। কেননা পর্দা ফরজ হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন (২৪:৩০)।

৩১ নাম্বার আয়াতও সংযুক্ত করা হয় প্রকাশিত বিবৃতিতে ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাদি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পাদচারণা না করে। হে! মুমিনগণ তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (২৪:৩১) তথ্যসূত্র- সহ দিলাম।

https://www.probashshomachar.com/?p=6602

প্রসঙ্গ: মাও. মিজানুর রহমান আজহারীর কিছু বির্তকিত বক্তব্য নিয়ে ফেসবুক সহ দেশের আলেম সমাজের মধ্যে তোলপার সৃষ্টি হয়।

(চলবে..) 

লেখক- কলামিস্ট,  গণমাধ্যম, মানবাধিকার কর্মী,  সাংবাদিক ও সম্পাদক- দৈনিক ওলামা কণ্ঠ। 

নিউজটি শেয়ার করুন :