শিরোনাম

নওগাঁয় ইউএনও হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে হতে রক্ষা পেল সুচিত্রা

 

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ: নওগাঁয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেন আদিবাসী পরিবারের কন্যা ও স্কুল ছাত্রী সুচিত্রা কুজুর।

জানা যায়, সুচিত্রা কুজুর নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জারুল্যাপুর গ্রামের সুজন কুজুরের মেয়ে।

সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পারেন যে, উপজেলার বাহাদুরপুর ইউপির জারুল্যাপুর গ্রামের সুজন কুজুরের মেয়ে গোকুলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সুচিত্রা কুজুরের বিয়ের আগের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল।

আগামী বুধবার বিয়ে হওয়ার কথা । এমন সংবাদে ইউএনও জয়া মারীয়া পেরেরা সঙ্গে সঙ্গে গোকুলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ ও অত্র ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য হানিফকে সুচিত্রা কুজুরের বাড়ি পাঠায় এবং তাদের বুঝিয়ে নিজ কার্যালয়ে আনতে বলে।

গোকুলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুচিত্রা কুজুর ও তার বাবা সুজন কুজুরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন, গোকুলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ এবং অত্র ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য হানিফসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মেয়ের বাবা-মাকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে যে, মেয়ের লেখা পড়ার নিয়মিত করান এতে অর্থনৈতিক সমস্যা হলে উপজেলা প্রশাসন তার শিক্ষার ব্যয় বহন করবে এবং ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিব না বলে মুচলেকা নেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন :