শিরোনাম

অবিলম্বে বাংলাদেশে মোদীর সফর বাতিল করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই      

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ঘিরে দেশটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মধ্যে মুসলমানদের ওপর চালানো নির্যাতনের প্রতিবাদে ও  ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিতর্কিত সাম্প্রদায়িক নরেদ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

বুধবার  ৪ মার্চ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে বিকেলে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় । বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

বুধবার দুপুর থেকেই মিছিলে যোগ দিতে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা।  বিকালে জনসমুদ্রে রুপ ধারণ করে গোটা বায়তুল মোকাররম এলাকা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।  এসময় সাময়িক কিছুটা উওেজনা ছড়িয়ে পড়ে।  বাকবিতন্ডায় হয়।  পরে একই স্থানে দাড়িয়ে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোঃ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

মিছিলে বাধা দেয়ার তীব্র নিন্দা ধিক্কার জানিয়ে  তিনি বলেন,  সাম্প্রদায়িক উগ্র মুসলমান গনহত্যাকারী কিভাবে বাংলাদেশে আসে।  এটা মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দেয়ার মতো।  ভারতে আমাদের মুসলমান ভাইদের হত্যা করবে আর বাংলাদেশের মাটিতে মোদি আসবে আমরা তাকিয়ে দেখব  এটা সহ্য করার মতো না।  অবিলম্বে মোদীর সফর বাতিল করতে হবে।   শুক্রবার ৬ মার্চ ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা, উপজেলায়  বাদ জুমা  বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।  এতে সবাইকে যোগদান করার আহবান জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে  সভাপতিত্ব করবেন নগর উত্তর সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ। এসময় বক্তব্য রাখেন,  দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী,  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ ইউনুছ আহমদ,  যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান,  মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, শ্রমীক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন,   যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোঃ নেছার উদ্দীন,  সাধারণ সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান , ইশা ছাএ আন্দোলন সভাপতি এম হাসিবুল ইসলাম সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী (সিএএ) আইনকে কেন্দ্র করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লির উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন শহরে দাঙ্গা-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও তিন শতাধিক মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন :