শিরোনাম

কাশ্মীর ইস্যুতে পটুয়াখালীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র বিক্ষোভ মিছিল

এম এ ইউসুফ আলী,পটুয়াখালী প্রতিনিধি : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে ৯ আগষ্ট শুক্রবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুর ইমান শিকদারের সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আর.আই.এম অহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় পটুয়াখালী লঞ্চঘাট চত্বরে মিছিল পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলার উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাওলানা নাজমুল হুদা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান বোখারী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিন শিকদার, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আবুল বাশার জিহাদি, সাধারণ সম্পাদক কে.এম ইউনুছ আলী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা আন্দোলন জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আল আমিন, ইশা আন্দোলনের সভাপতি এইচ.এম আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, হাফেজ কাওসার উল্লাহ, হাফেজ জাকারিয়া আল হামিদী, নকীব শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচালক ইলিয়াস আহমাদ, ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম ফয়সাল প্রমুখ।

বক্তারা আলোচনায় বলেন অবিলম্বে ভারত সরকারকে কাশ্মীরী জনগনকে অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। খুন, গুম, নির্যাতন বন্ধ করে সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আহ্বান জানান।

জেলা সেক্রেটারি আর.আই.এম অহিদুজ্জামান তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন- আপনি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সঙ্গত কারণেই আপনাকে কাশ্মীরের মুসলমানদের পক্ষ অবলম্বন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার আন্তর্জাতিক নীতি ও আদর্শ বিসর্জন দিয়ে শাসিত কাশ্মীরের জনগণের নাগরিক ও মানবিক অধিকার হরণ করে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে গোটা কাশ্মীরকে কারাগারে পরিণত করেছে। সমগ্র বিশ্বের মুসলমান বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের কাশ্মীরের দ্বীনি ভাইদের রক্তাক্ত পরিস্থিতি মেনে নিতে পারি না। ভারত কাশ্মীরের জনগণকে হত্যা করে স্বাধীনতা রুখতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।

বক্তারা আরও বলেন তিন দশক ধরে ভারত কতৃক কাশ্মীর এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ১০ হাজারের উপরে। এটা কোনো ক্রমেই মেনে নেয়া যায়না। যদি মোদি সরকার এই নারকীয় হত্যাযঞ্জ বন্ধ না করে তাহলে পীর সাহেব চরমোনাইর নির্দেশে ভারত অভিমুখে লংমার্চেরও হুমকি দেন নেতারা।

পরে বিক্ষোভ মিছিলটি লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে সদর রোড-প্রেসক্লাব হয়ে নিউমার্কেট গোল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন :