শিরোনাম

বাংলাদেশ দূতাবাসের দুর্নীতি ফাঁস করায় বাংলা টিভির জর্ডান প্রতিনিধি সেলিমকে গ্রেফতারে প্রতিবাদ(jskf)

ওলামা ডেস্ক:

সাংবাদিক সেলিম গ্রেফতারে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আজ এক বিবৃতিতে সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মহাসচিব এম এ আবির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিহিংসা মূলক সাংবাদিক গ্রেফতারে জর্ডান হাইকমিশন ঘৃণিত কাজ করেছে যা ক্ষমার যোগ্য নয়। মহাসচিব এম এ আবির বলেন অনতিবিলম্বে সাংবাদিকে মুক্তি না দিলে হাই কমিশনার সহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন নামবে।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজতান্ত্রিক দেশ জর্ডানে প্রবাসী সাংবাদিক সেলিম আকাশ কে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির গোয়েন্দা পুলিশ। সাংবাদিক সেলিম আকাশ বাংলা টিভি,জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজ, দৈনিক আমাদের সময়,আকাশ যাত্রাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের এর জর্ডান প্রতিনিধি হিসেবে জর্ডান প্রবাসীদের তথ্য গুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ করতো।

গত এক সপ্তাহ আগে করোনা ভাইরাসের কারণে বিপাকে পড়া প্রবাসীদের নিয়ে সেলিম আকাশ বাংলাদেশের গনমাধ্যম গুলোতে প্রকাশ করে।এতে তিনি উল্লেখ করেন প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী খাদ্য সংকটে রয়েছে। উক্ত সংবাদ প্রেরণ করায় দূতাবাসের বিভিন্ন কর্মকর্তারা সেলিম আকাশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য যে জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাস টি বিভিন্ন কারণে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ?

জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি অদৃশ্য সিন্ডিকেট কাজ করে।এই সিন্ডিকেট দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মনিরুজ্জামান ও দূতালয় প্রধান মোঃবশিরের ইশারাতেই চলে। সদ্য যোগ দেওয়া রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহানকে ভুলভাল বুঝিয়ে সাংবাদিক সেলিম আকাশকে গ্রেফতার করিয়েছে।
উল্লেখ্য যে জর্ডান বাংলাদেশ দূতাবাস মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় দূর্নীতি গ্রস্থ দূতাবাস। এই দূতাবাসের পিয়ন থেকে শিল্পপতি হওয়ার গৌরব আছে। আছে জর্ডান গামী কর্মীদের মেডিকেল চেক আপ করা সেন্টার গুলো থেকে কমিশন বানিজ্যের মতো গুরুতর অভিযোগ। এর আগে ২০১৭ সালে সাবেক প্রথম সচিব (শ্রম) লুবনা ইয়াসমিন প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের দেওয়া জেলে আটক নারীদের বাংলাদেশে প্রেরণের টিকিট গুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ৫০ টিকেট নারীদের দেয় এবং বাকি টিকেট গুলো জর্ডান ও বাংলাদেশের নারী কর্মী প্রেরণ কারী অফিস গুলো থেকে সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ টিকেট গুলোর অর্থ আত্নসাত করে।

দূতাবাসের অদৃশ্য সিন্ডিকেটের হোতা শ্রম শাখার রেজাউল মোস্তফা। এই বিষয়ে রেজাউল মোস্তফা কে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরো অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।আম্মানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এই সিন্ডিকেট অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া সদস্যরা পরিচালনা করে। যাদের আম্মান দূতাবাসে চাকুরির বয়স ৭,১০,২০ বছর। মুলত সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি রাষ্ট্রদূত, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান। এমন অনেক তথ্যই রয়েছে বলে জানান দেশটিতে অবস্থান রত জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন :