মোস্তাফিজুর রহমান :
একটু হলে সচেতন ডেঙ্গু যেতে কতক্ষণ ১৯শে আগষ্ট সোমবার চারদিকে ডেঙ্গু নিয়েই আলোচনা। কেননা এ বছর রাজধানীতে ডেঙ্গু হানা দিয়েছে পূর্ণশক্তি নিয়ে।ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগের তেমন কোনো ওষুধ নেই। নেই কোনো ভ্যাকসিন যদিও ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে। তাই এখন পর্যন্ত প্রতিরোধই একমাত্র ভরসা।সচেতনতাই প্রধান পদক্ষেপ।
এডিস মশার বংশ নাশ করতে হবে,ডেঙ্গুর ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের দেহে ছড়ায় মশার মাধ্যমে। মশাই এই রোগের একমাত্র বাহক।ডেঙ্গু ভাইরাস যে বিশেষ মশার মাধ্যমে ছড়ায় তার নাম সবাই জানে এডিস মশা। এডিস মশার দুই রকম প্রজাতি রয়েছে। একটির নাম “এডিস ইজিপ্টি” ও অপরটি “এডিস এলবোপিক্টাস”। তবে আমাদের এই অঞ্চলে এডিস ইজিপ্টিই বেশি।এরা কামড়ায় সাধারণত দিনের বেলায়,বিশেষ করে শেষ বিকেলে।
এডিস মশা একটু গৃহী ধরনের পছন্দ করে আবদ্ধ জলাধার। এরা বাসাবাড়ির টবে, ফ্রিজের পেছনে জমে থাকা পানি, এসির পানিতে আটকে থাকা ও ইত্যাদিতে বংশবিস্তার করে। রাস্তার খালখন্দ,পরে থাকা পুরোনো টায়ার, যেকোনো রকমের পাত্র, জেরিক্যান, মোটকথা যেখানে পানি কিছুদিন জমে থাকতে পারে সেখানেই এদের বসবাস ও প্রজন্ম।
যেহেতু মশাই এই রোগের একমাত্র বাহক সুতরাং মশার আবাস ও প্রজন্মক্ষেত্র ধ্বংশ করতে পারলেই এডিস নির্বংশ হবে স-মুলে।ডেঙ্গু প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় এডিস মশার বংশ নাশ। তাই বসতবাড়ির এ রকম আবদ্ধ জলাধার ধ্বংশ করতে হবে।ফ্রিজের বা এসির পানি দুই দিন পরপর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। বাসার বারান্দায়, টেরিসে বা কার্নিশে খোলা টব থাকলে সেটা পরিষ্কার করতে হবে। রাস্তার আশপাশে খালখন্দ ভরাট করে ফেলতে হবে। শুধু রাজধানীতেই নয় চট্রগ্রামসহ সারা শহরকে পরিচ্ছন্ন ও মশামুক্ত করতে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব তো আছেই, কিন্তু নাগরিক হিসাবে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।
এর আগেও আপৎকালে ও দুর্যোগে যেমন এ দেশের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমে এসেছে এখনও তেমন সময় এসেছেদ। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দিকে না তাকিয়ে পাড়া-মহল্লায় তরুণেরা দল বেঁধে নিজেরাই নেমে পড়তে পারেন এই কাজে। তবে কাজগুলো করতে হবে ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই।ডেঙ্গু মৌসুম মানে মে থেকে সেপ্টেম্বর এই পাঁচ মাস। শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগ জটিল হয়ে উঠতে পারে। তাই আগে থেকেই আমাদের সচেতন হতে হবে।