এম.কলিম উল্লাহ, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী এলাকার ইয়াবা ডন সোনালী মেম্বার বাহিনীর হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে ) মাগরিবের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পরপরই এই হামলার শিকার হন দুই সহোদর।
জানা গেছে, বাহারছড়া উত্তর শীলখালী এলাকার মৃত জাফর আলমের দুই ছেলে পাশ্ববর্তী মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষ করে বের হওয়ায় সাথে সাথেই স্থানীয় ইয়াবা ডনখ্যাত সোনালী মেম্বারের নেতৃত্বে ৭/৮ জন দুবৃত্ত তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। হামলাকারী সোনালী মেম্বার হচ্ছে আত্মস্বীকৃত ও আত্মসমর্পনকারী মো.আবু ছৈয়দ এর বাবা।
স্থানীয় লোকজন আহত দুই সহোদরকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছে।
আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আজিজ উল্লাহ জানান, মসজিদে নামাজ পড়ে বাহিরে বের হওয়ার পরপরই কিছু বুঝে উঠার আগে ধারালো দা, ছুরি ও ইট নিয়ে সোনালী মেম্বারের নেতৃত্বে রহিম উল্লাহ, হেলাল উদ্দিন, ফায়সাল সহ ৭/৮ জন তাদের উপর হামলা করে।
তিনি আরো জানান, আমাদের স্বত্ত্ব দখলীয় জমির উপর দিয়ে জোর করে সোনালী মেম্বার প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তিগত একটি রাস্তা নির্মাণ করেছে।
এনিয়ে প্রতিবাদ করায় এবং সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে সরকারী ত্রাণ চুরির বিষয়ে কথা বলার জের ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিত ভাবে এই হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ঘটনাটি টেকনাফ থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় আহত শিক্ষার্থী আজিজ উল্লাহ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, শীলখালীর সোনালী মেম্বার, তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজব আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী।
সোনালী মেম্বারের ছেলে মো. আবু ছৈয়দসহ ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি ২০১৯ সালের ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ওই দিনই দুটি মামলায় আটক দেখিয়ে আত্মসমর্পণকারীদের কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই টেকনাফের বাসিন্দা।
আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলায় ১০১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। গত ২০ জানুয়ারি কক্সবাজার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এর আদালতে পুলিশ এ চার্জশিট জমা দেন।
সোনালী মেম্বারের ছেলে মো. আবু ছৈয়দ কারাগারে থাকলেও পিতা সোনালী এবং তার আত্মীয় স্বজনেরা ইয়াবা কারবার অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।